মোঃ শাহ্ জালাল।। প্রায় ১ মাস ধরে হাটু পানিতে তলিয়ে আছে স্কুল আঙ্গিনা। ফলে সভাপতির বাড়ি উঠানে তাবু টানিয়ে চলছে পাঠদান ও পরীক্ষা কার্যক্রম। ভবদহের জলাবদ্ধতার শিকার হয়ে এভাবেই ভোগান্তি পোহাচ্ছে যশোরের মণিরামপুরের ভূলবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। শুধু এই বিদ্যালয় নয়; উপজেলার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ অন্তত অর্ধশত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাঠ পানিতে তলিয়ে আছে। এতে করে সিংহভাগ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ রাখতে বাধ্য হয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

সরজেমিন বন্যাকবলিত উপজেলার হরিদাসকাটি ইউনিয়নে গেলে ভূলবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এই চিত্র চোখে পড়ে। গতকাল সোমবার ছিল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় সাময়িক পরীক্ষার প্রথম দিন। তখন পরীক্ষার দায়িত্ব পালন করছিলেন বিদ্যালয়ের ইংরেজি শিক্ষক সিপ্রা সরকার। শিক্ষার্থীদের বাড়ি-ঘরে পানি উঠেছে। পানি ভেঙ্গে বিদ্যালয়ে এসেছে। শুধু এই স্কুল নয়; উপজেলার কুমাসীমা, হাটগাছা, পাঁচকাটিয়া, মহিষদিয়া সরকারি প্রাাথমিক বিদ্যালয়েও বিকল্পভাবে চলছিল শিক্ষা কার্য্যক্রম।
বিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষার্থী জানায়, বিদ্যালয়ে যাওয়ার রাস্তায় কোমর পানি। আবার স্কুলের উঠানে হাটু পানি। আবার পানি ভেঙ্গে বাড়ি থেকে স্কুলে যেতে হয়।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক প্রাণেশ বিশ্বাস বলেন, গত এক মাস ধরে স্কুলের মাঠ তলিয়ে গেছে। বিদ্যালয়ের পিটিএ (প্যারেন্টস্ টিসার্স এ্যাসোসিয়েশন) সভাপতির বাড়িতে তাবু টানিয়ে তার নিচে চলছে পাঠদান কার্যক্রম। পিটিএ সভাপতি নিত্য বিশ্বাস জানান, শিক্ষার্থীদের পাঠদান কার্য্যক্রম চলমান রাখতে গ্রাম থেকে বাঁশ- খুঁটি সংগ্রহ করে তার বাড়ির উঠানে তাবু টানানো হয়েছে।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এএসএম জিল্লুর রশীদ জানান, উপজেলার কমপক্ষে ২৫টি স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসা মাঠ পানিতে তলিয়ে গেছে। অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পাঠদান বন্ধ রয়েছে। উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আবু মোতালেব জানান, উপজেলার ১৪টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠ পানিতে তলিয়ে গেলেও বিকল্পভাবে শিক্ষা কার্যক্রম চালানো হচ্ছে।