এই প্যাকেজ ২ হাজার কোটি টাকার। কৃষি, ক্ষুদ্র ব্যবসা, কুটিরশিল্প, বিদেশফেরত শ্রমিকদের চারটি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ঋণ দেওয়া হবে। ৫০০ কোটি টাকা করে পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক, প্রবাসীকল্যাণ ব্যাংক, কর্মসংস্থান ব্যাংক এবং পল্লী কর্মসহায়ক ফাউন্ডেশনকে (পিকেএসএফ) টাকা দেবে সরকার। তারা স্বল্প সুদে গ্রাহকদের ঋণ দেবে। পিকেএসএফ ও অন্য তিন ব্যাংক ২৫০ কোটি করে ১ হাজার কোটি টাকা পেয়েছে। প্রতিবেদন বলছে, এ থেকে বিতরণ কার্যক্রম এখনো শুরু হয়নি।
৫০ লাখ দরিদ্র পরিবারকে আড়াই হাজার টাকা করে দিতে ১ হাজার ২৫৮ কোটি টাকার প্যাকেজ রয়েছে। ১৫ লাখ পরিবার এখনো টাকা পায়নি। এর বাস্তবায়নের দায়িত্ব প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, অর্থ মন্ত্রণালয় এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের। বিনা মূল্যে খাদ্যসামগ্রী বিতরণের জন্য ২ হাজার ৫০৩ কোটি টাকার একটি প্যাকেজ রয়েছে, যা থেকে ৯৪৪ কোটি টাকার চাল, ৯৫ কোটি টাকার নগদ এবং ২৭ কোটি টাকার শিশুখাদ্য বিতরণ করা হয়েছে।
কৃষকের উৎপাদিত ধান-চালের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে এবং বাজারে চালের দাম স্থিতিশীল রাখতে সরকারি সংগ্রহ ও বিতরণ লক্ষ্যমাত্রা বাড়ানো হয়েছে ২ লাখ টন। এতে ৮৬০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ১ লাখ ৭০ হাজার টন কেনা হয়েছে
বলে অর্থ বিভাগের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
অর্থ বিভাগ এখন থেকে প্রতি মাসেই প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্যাকেজগুলোর অগ্রগতি চিত্র তুলে ধরবে।
করোনায় যে অর্থনৈতিক ক্ষত হচ্ছে, তা থেকে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরতে এক বছর সময় লেগে যাবে। করোনার কারণে আমরা উৎপাদন কমিয়ে দিয়েছি, সবাই খরচ সমন্বয়ের চেষ্টা করছে।
আবুল কাসেম খান, বিল্ড ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারপারসন
সার্বিকভাবে জানতে চাইলে বিজনেস ইনিশিয়েটিভ লিডিং ডেভেলপমেন্টের (বিল্ড) ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারপারসন ও এ কে খান অ্যান্ড কোম্পানির পরিচালক আবুল কাসেম খান প্রথম আলোকে বলেন, ‘করোনায় যে অর্থনৈতিক ক্ষত হচ্ছে, তা থেকে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরতে এক বছর সময় লেগে যাবে। করোনার কারণে আমরা উৎপাদন কমিয়ে দিয়েছি, সবাই খরচ সমন্বয়ের চেষ্টা করছে। এ কারণে বড়দের আরও সহায়তা লাগবে। আর এসএমই খাত ও ক্ষুদ্রদের জন্য যে প্রণোদনা দেওয়া হয়েছে, তা বাস্তবায়ন হচ্ছে না। এসব খাত এমনিতেই ঋণবঞ্চিত। এ জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংককে তদারকি বাড়াতে হবে।’