তবে বুড়িচংয়ের পদ্মের উৎপত্তি, এর বিকাশ নিয়ে গবেষকেরা কাজ করে যাচ্ছেন। এ নিয়ে শেষ কথা বলার সময় যে আসেনি, তা তাঁরা জোর দিয়েই বলছেন। শুধু গবেষকেরা একটি বিষয় নিশ্চিত, এ পদ্ম একেবারে নতুন। আর দেশের উদ্ভিদ প্রজাতির পরিবারে এ এক নতুন সংযোজন। সংগত কারণে, এটি গবেষণার একটি নতুন উপাদান।
জলাশয় কমে আসার সঙ্গে সঙ্গে দেশের অনেক এলাকা থেকে পদ্ম হারিয়ে যাচ্ছে। গবেষকদের কথা, বছর আট-দশ বছর আগে যেসব বিলে বা জলাশয়ে পদ্ম ছিল তা এখন পাওয়া যায় না। পদ্ম কেবল জলাশয়ে শোভা বৃদ্ধিকারী ফুল না। এটি অনেক ভেষজ গুণ সম্পন্ন এবং পুষ্টিকর খাদ্য হিসেবে ব্যবহৃত হয়। বিশেষ করে পদ্মের শিকড় চীন, জাপানসহ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অনেক দেশে স্বীকৃত ও সমাদৃত। এখন বুড়িচংয়ের এ পদ্মের যদি যথাযথ সংরক্ষণ হয়, এর বিস্তার হয় তবে আমাদের প্রকৃতির জন্য এ হবে এক বড় শুভ সংবাদ।