নূরুল হক, মণিরামপুর প্রতিনিধি।। মণিরামপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের প্রবীণনেতা রওশন আলী সরদার (৮৫) বার্ধক্যজনিত কারণে মঙ্গলবার রাত ৮টা ২০ মিনিটে ইন্তেকাল করেছেন। (ইন্না লিল্লাহি.........রাজেউন)। তিনি উপজেলার শ্যমকুড় ইউনিয়নের হালসা গ্রামের মরহুম জহির সরদারের পুত্র। বুধবার বেলা ১১টায় মরহুমের নামাজে শেষে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন সম্পন্ন হয়েছে। মরহুমের পারিবারিক সূত্রে জানাযায়, রওশন আলী সরদার বার্ধক্যের সাথে সাথে দীর্ঘদিন যাবৎ উচ্চ রক্তচাপসহ নানাবিধ অসুখে ভুগছিলেন। গত ১মাস যাবৎ তার শাররীক অবস্থার খুই অবনতি হয়। চিকিৎসকের পরামর্শে বর্তমানে তাকে বাড়ীতে রেখে চিকিৎসা করানো হচ্ছিল। এ অবস্থায় গত ১ সপ্তাহ যাবৎ তার শাররীক অবস্থার মারাত্মক অবনতি ঘটে এবং মঙ্গলবার রাত ৮টা ২০ মিনিটে তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। বুধবার বেলা ১১টায় মরহুমের নিজ গ্রাম হালসায় স্থানীয় মাদরাসা মাঠে নামাজে জানাযা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন সম্পন্ন হয়। মৃত্যুকালে তিনি ৩ পুত্র, ৪কন্যা, নাতী-নাতনীসহ অসংখ্যা গুনাগ্রাহি রেখে গেছেন। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনি বলেন, রওশন আলী সরদার ছিলেন একজন দেশ প্রেমিক ও মুক্তিযুদ্ধের অন্যাতম সংগঠক। সকল শ্রেণির মানুষের কাছে একজন আদর্শবান মানুষ তিনি। সৎ এবং খাটি দেশপ্রেমিক মানুষ হিসেবে তিনি সমাধিক পরিচিত। বিভিন্ন সময়ে উপজেলা আওয়ামীলীগের গুরুত্বপূর্ণ পদে থেকেও সকল লোভ-লালসার উর্ধে থেকে নিজের এবং দলের আদর্শ থেকে এক চুল পরিমাণও বিচ্যুতি হয়নি কখনো। তার মৃত্যুতে গভীর শোক ও মরহুমের শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা ও মরহুমের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে জানাজা নামাজ পূর্ব সিনিয়র সাংবাদিক অধ্যাপক বাবুল আকতারের পরিচালনায় সংক্ষিপ্ত আলোচনা করেন যশোর জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলন, মণিরামপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও পৌর মেয়র আলহাজ্জ্ব অধ্যক্ষ কাজী মাহমুদুল হাসান, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক প্রভাষক ফারুক হোসেন, মরহুমের জৈষ্ঠ্য পুত্র অধ্যাপক আব্বাস উদ্দীন, আওয়ামীলীগনেতা অ্যাড. বশির আহমেদ খানসহ প্রমুখ। এছাড়া জানাজা নামাজে উপস্থিত ছিলেন মণিরামপুর প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি এসএম মজনুর রহমান, সম্পাদক মোতাহার হোসেন, মণিরামপুর পাবলিক লাইব্রেরির সম্পাদক প্রভাষক নূরুল হকসহ প্রেসক্লাবের সাংবাদিকবৃন্দ, জেলা ও উপজেলা আওয়ামীলীগসহ দলটির সহযোগী ও অঙ্গ সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ এবং এলাকাবাসি।