মণিরামপুর উপজেলায় মাছ চাষে ব্যবহার হচ্ছে শ্যাওলা

দৈনিক সমসাময়িক নিউজ ডেস্ক।। | প্রকাশিত: ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১৯:২৬

দৈনিক সমসাময়িক নিউজ ডেস্ক।।
প্রকাশিত: ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১৯:২৬

ছবি,- দৈনিক সমসাময়িক নিউজ।

মোঃ শাহ্ জালাল।। যশোরের মণিরামপুর উপজেলায় মাছ চাষে প্রাকৃতিক শ্যাওলা ব্যবহার করে সফল ঘের ব্যবসায়ীরা। পতিত বিল ও জলাশয় থেকে ‘পাটা শ্যাওলা’, ‘চুনে শ্যাওলা’ ও ‘চিকুন শ্যাওলা’ সংগ্রহ করে মাছের খাদ্য হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। এতে মাছ দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে, সতেজ থাকছে এবং রোগবালাই থেকেও রক্ষা পাচ্ছে। একই সঙ্গে বাণিজ্যিক খাদ্যের খরচও উল্লেখযোগ্যভাবে কমছে।

উপজেলা মৎস্য অফিস সূত্রে জানা গেছে, মণিরামপুরে বর্তমানে ১১ হাজার ৬৪৩টি মাছ চাষের পুকুর রয়েছে। ঘের মালিকদের দাবি, শ্যাওলা ব্যবহারে মাছ প্রাকৃতিক ভাবে বেড়ে ওঠে, পরিবেশের ক্ষতি হয় না এবং দেশি প্রজাতির মাছের জন্যও অনুকূল পরিবেশ তৈরি হয়।

সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন বিল এলাকায় দেখা যায়, সকাল থেকে ঘের মালিক ও শ্রমিকরা পাটা বা চিকুন শ্যাওলা সংগ্রহ করছেন। হাজিরহাট নেবুগাতী বিল থেকে শ্যাওলা সংগ্রহ করছিলেন এলাকার ঘের ব্যবসায়ী সমির, প্রশান্ত, ঝন্টু। ঘের ব্যবসায়ী প্রশান্ত বলেন, “ঘেরের মাছ মোটাতাজা রাখা ও রোগবালাই থেকে রক্ষা করতে শ্যাওলা খুবই উপকারী।”

হরিদাসকাঠি ইউনিয়নের বাহাদুরপুরের ঘের ব্যবসায়ী বিদ্যুৎ বলেন ঘের মালিকরা মাছ চাষে বিল ও নদীর শ্যাওলা ব্যবহার করায় এলাকার অসহায় শ্রমিকরা প্রতিদিন কাজ পাচ্ছেন। মুক্তেশ্বরী নদী ও নেবুগাতী বিল থেকে প্রতিদিন এই ‘চুনে শ্যাওলা’ সংগ্রহ করে আলমসাধু গাড়ি প্রতি ৯০০ থেকে ১ হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি করেন তারা।

ঘের ব্যবসায়ী সমির বলেন “শ্যাওলা মাছকে রোগমুক্ত রাখে এবং মাছের স্বাদ সুস্বাদু করে তোলে। অন্যদিকে স্থানীয় শ্রমজীবীরাও প্রতিদিন শ্যাওলা সংগ্রহের কাজে যুক্ত হয়ে আয় করছেন।”

সিনিয়র উপজেলা মৎস্য অফিসার মোঃ সেলিম রেজা বলেন, মাছের ঘেরে“শ্যাওলা" ব্যবহারে কোন বাধ্যবাধকতা নেই। শ্যাওলা গ্রাস কার্প,সরপুটি, সিলভার কার্প জাতীয় মাছ এ ধরনের জলজ উদ্ভিদ খায়। অনেক মাছ চাষি মাছের খাদ্য হিসেবে এ ধরনের জলজ উদ্ভিদ ব্যবহার করেন। তবে প্রয়োজনের চেয়ে অধিক হারে ব্যবহার করলে পুকুর বা ঘেরের পরিবেশ নষ্ট হয়ে মাছের ক্ষতি হতে পারে।ফলে সর্তকতার সহিত ব্যবহার করা ইচিত তবে শ্যাওলা পরিবেশবান্ধব। মাছের উৎপাদন বৃদ্ধির পাশাপাশি স্থানীয় মানুষের আয়-রোজগার বাড়াতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে শ্যাওলা।”




আপনার মূল্যবান মতামত দিন: