অভয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স অনিয়মের আখড়ায় পরিণত  দেখার কেউ নেই 

কে এম আলী।। | প্রকাশিত: ১৮ ডিসেম্বর ২০২২ ০৫:৫২

কে এম আলী।।
প্রকাশিত: ১৮ ডিসেম্বর ২০২২ ০৫:৫২

ছবি- নিউজ প্রতিনিধি
অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনার আখড়া হয়ে উঠেছে অভয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও এ-র আশপাশের এলাকা। একাধিক বার বিভিন্ন পত্রপত্রিকা ও অনলাইন গণমাধ্যমে অনিয়মের বিষয় তুলে ধরা হলেও কতৃপক্ষের উদাসীনতায় কোন ব্যবস্থা না নেওয়ার ফলে ক্রমশ বেড়েই চলেছে এর মাত্রা। কতৃপক্ষের উদাসীনতা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে জনমনে। 
 
ডাক্তার নার্স স্টাফ ও বিভিন্ন ডায়াগনস্টিক সেন্টারের নিয়োগকৃত দালালদের দৌরত্বে সেবা কেন্দ্রের নামে ব্যবসা কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে হাসপাতালটি। সঠিক সময়ে কর্মস্থলে যোগ দেন না এখানকার অধিকাংশ ডাক্তারেরা সকরারি চাকুরী করা সত্ত্বেও তারা ব্যস্ত সময় পার করেন মালিকানাধীন বিভিন্ন ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক ও তাদের ব্যক্তিগত চেম্বার নিয়ে। যেটুকু সময় হাসপাতালে কর্মরত থাকেন তখন তারা ব্যস্ত থাকেন টেস্ট বাণিজ্য নিয়ে।  অভিযোগ আছে বিভিন্ন ডায়াগনস্টিকের সাথে ডাক্তারদের রয়েছে গোপন চুক্তি। চুক্তি অনুযায়ী টেস্টের ৪০-৬০% টাকা আসে ডাক্তারের পকেটে। হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের খাবার নিয়েও অনিয়মের শেষ নেই। টেন্ডার অনুযায়ী পর্যাপ্ত খাবার সরবরাহ করেননা ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান। এদিকে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে হাসপাতাল  চত্বর দখল করে রীতিমতো স্ট্যান্ড বানিয়ে ফেলেছে এ্যাম্বুলেন্স ভ্যান ও ইজিবাইকের ড্রাইভারেরা। এসকল অনিয়ম দূরীকরণে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও কর্তৃপক্ষ বারবার প্রতিশ্রুতি দিলেও প্রয়োজনীয় কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। 
স্থানীয়  একাধীক ব্যক্তির সাথে কথা বলে জানা যায়, হাসপাতালের ডাক্তাররা বিভিন্ন ডায়াগনস্টিক সেন্টারের সাথে জড়িত, তাদের কাছে চিকিৎসা সেবা নয় বরং ব্যবসাটাই মূখ্য। যে কারনে আজ হাসপাতালের সেবার  এ অবস্থা।
হাসপাতালে সেরা নিতে আসা একাধিক রোগী জানান, হাসপাতালে টিকেট কেটে চিকিৎসা সেবা নিতে আসলে ডাক্তার ঔষধের চেয়ে বেশি টেস্ট দেয় যেসব টেস্ট রোগের সাথে সম্পৃক্ত না। 
এছাড়াও হাসপাতালে ভর্তি একাধিক রোগী খাবার ও চিকিৎসা সেবা নিয়ে হতাশা ব্যক্ত করে বলেন, এ হাসপাতালের খাবার ও চিকিৎসার মান ক্রমশ খারাপ হচ্ছে। দ্রুত এসব সমস্যার সমাধান করে চিকিৎসার মান সুনিশ্চিত করা জরুরি।


আপনার মূল্যবান মতামত দিন: