গজারিয়া চিকিৎসকের অবহেলায় নবজাতকের মৃত্যুর অভিযোগ

ওসমান গনি, গজারিয়া প্রতিনিধি | প্রকাশিত: ৭ মে ২০২৩ ০৪:৩৭

ওসমান গনি, গজারিয়া প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ৭ মে ২০২৩ ০৪:৩৭

ফটো:নিউজ প্রতিনিধি

 গজারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অবহেলায় এক নবজাতকের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে আইনি পদক্ষেপ নিতে গেলে মৃত ওই নবজাতকের বাবাকে সমঝোতা করতে বাধ্য করা হয়েছে।

নবজাতকের পরিবার সূত্রে জানা যায়, প্রসব ব্যথা নিয়ে কুমিল্লার মেঘনা উপজেলার লুটেরচর ইউনিয়নের চর কাঁঠালিয়া গ্রামের মাসুম বিল্লাহর স্ত্রী নাসরিন আক্তার (১৯) গজারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হন।

নাসরিনের বড় ভাই বিল্লাল হোসেন বলেন, টেস্ট রিপোর্ট ও শারীরিক পরীক্ষা শেষে হাসপাতালের চিকিৎসক রোগীর অবস্থা স্বাভাবিক এবং বাচ্চা ভালো আছে বলে জানান তার বোনের আবার প্রসব ব্যথা উঠলে নরমাল ডেলিভারির চেষ্টা করেন হাসপাতালের নার্সরা। এ সময় রোগীর অবস্থা খারাপ হতে থাকলে পারভীন সুলতানা নামে এক ডাক্তার সেখানে উপস্থিত হন।

বিল্লাল হোসেন আরও বলেন তাদের জানানো হয়, নাসরিনের ছেলে হয়েছে। তবে জন্মের কিছুক্ষণ পরই বাচ্চা মারা গেছে। বাচ্চার নাকি শারীরিক সমস্যা ছিল। কিন্তু আমরা বাচ্চার মাথায় আঘাতের চিহ্ন দেখেছি। আমাদের ধারণা, নার্স ও ডাক্তারের অদক্ষতার কারণেই বাচ্চাটি মারা গেছে। যদি বাচ্চা বা বাচ্চার মায়ের কোনো শারীরিক সমস্যা থাকত, তবে সেটা পরীক্ষায় আগেই ধরা পড়ত।’

মৃত নবজাতকের বাবা মাসুম বিল্লাহ বলেন, ‘আমরা ভর্তি করানোর পর থেকে বলেছি, যদি অবস্থা আশঙ্কাজনক হয়, আমরা ভালো হাসপাতালে চলে যাব। কিন্তু তারা আমাদের জানান, বাচ্চা ও তার মায়ের অবস্থা ভালো এবং নরমাল ডেলিভারি হবে। এখন বলছে, এ ধরনের বাচ্চা নাকি বাঁচানো খুব কঠিন। আমি পুরোপুরি বুঝতে পেরেছি, এখানে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অবহেলা রয়েছে। তারা নিজেদের অবহেলার বিষয়টি ঢাকতে এ কথা বলছে।’

মাসুম বিল্লাহ আরও বলেন, ‘এই দেশে তো আর বিচার নাই। এ ঘটনায় প্রথমে আইনি পদক্ষেপ নিতে চেয়েছিলাম। কিন্তু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও পারিপার্শ্বিক চাপে তা আর করব না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’

এ বিষয়ে ডেলিভারির সময় দায়িত্বে থাকা চিকিৎসক ডা. পারভীন সুলতানার সঙ্গে কথা বলতে চাইলে হাসপাতাল থেকে জানানো হয়, তিনি ডিউটি শেষ করে বাসায় চলে গেছেন। পরে তার মুঠোফোন একাধিকবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।

গজারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোবাশ্বেরা বিনতে আলম জানান, এ ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ পেলে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে। বিষয়টিতে কারও কোনো গাফিলতি আছে কি না, সেটিও খতিয়ে দেখা হবে।




আপনার মূল্যবান মতামত দিন: