ভাগ্যবতী ও ভাগ্যরাজে ভাগ্য বদল করতে চাই, মহম্মদপুরের রিক্তা-শফিকুল দম্পতি

রাশেদ রেজা মাগুরা প্রতিনিধি।। | প্রকাশিত: ৮ জুন ২০২২ ২২:০২

রাশেদ রেজা মাগুরা প্রতিনিধি।।
প্রকাশিত: ৮ জুন ২০২২ ২২:০২

ফাইল ফটো

মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলার পলাশবাড়ীয়া ইউনিয়নের উথালী গ্রামের ছেরে মোঃ শফিকুল ইসলাম, পেশায় শফিকুল একজন গরু ব্যবসায়ী। এবারের পবিত্র ঈদুল আযাহায় ভাগ্যবতী ও ভাগ্যরাজ নামক দুটি উন্নতজাতের গরু বিক্রির মাধ্যমে ভাগ্যের বদল ঘটাতে চান রিক্তা-শফিকুল দম্পতি। রিক্তা-শফিকুল দম্পতি দীর্ঘদিন ধরে সন্তানের মতো লালন-পালন করে বড় করে তুলেছেন ভাগ্যবতী ও ভাগ্যরাজকে। তাদের দীর্ঘ চার বছর পরিশ্রমের ফসল ভাগ্যবতীর বর্তমান ওজন প্রায় ৪৬ মন আর ভাগ্যরাজের ওজন প্রায় ৪৮ মন। এ বছর কুরবানির ঈদে (ঈদুল আযহা) ভাগ্যবতী ও ভাগ্যরাজকে বিক্রয়ের মধ্য দিয়েই ভাগ্যের চাকা ঘুরাতে চান এই গরু পালনকারী দম্পতি। এটা কোনো গল্প নয়; পুরোটায় সত্যি। এলাকার মানুষের কাছে একজন সফল গরু পালনকারী হিসেবে পরিচিত শফিকুল, সেই সুবাদে সমাজে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করার লক্ষ্যে তার স্ত্রী রিক্তা সুলতানার অনুপ্রেরণায় একটি গরু দিয়ে গড়ে তোলে ছোট একটি গরুর খামার, আজ সেখানে চারটি উন্নত জাতের গাভী ও দুইটি এড়ে গরু রয়েছে। যাদের নাম ভাগ্যবতী ও ভাগ্যরাজ রেখেছিলেন এই পশুপালনকারী দম্পতি। গরু ব্যবসায়ী শফিকুল প্রায় প্রতিদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত বিভিন্ন হাট-বাজারে গরু ক্রয়/বিক্রয়ের সাথে জড়িত, এবং এভাবেই চলে তার সংসারের সকল দারিদ্রমুক্ত পরিশ্রমী জীবন। আর পরিবারকে দেখাশুনার পাশাপাশি গরুর পরিচর্চা সহ খামারের যাবতীয় দেখাশোনা তার স্ত্রী রিক্তা সুলতানা। সৎ ও পরিশ্রম দিয়ে এই দম্পতি তাদের ভাগ্যবদল করতে ভাগ্যবতী ও ভাগ্যরাজকে গড়ে তুলেছেন সন্তানের মত পরম মততায়। তাইতো এ বছর কুরবানির ঈদে ভাগ্যবতী ও ভাগ্যরাজ নামের এই দুইটি গরু বিক্রি করে সংসারের পরিবর্তন ঘটাতে চান রিক্তা-শফিকুল দম্পতি। গরু পালনকারী শফিকুল ইসলাম সংবাদ মাধ্যমকে জানান, "গরুর ব্যবসা করার কারণেই আমার গরু পালন শুরু হয়। আমার স্ত্রী রিক্তা অনেক কষ্ট করে এই গরুর জন্য। এবার ঈদে আমাদের পরিশ্রমের ফসল ভাগ্যবতী ও ভাগ্যরাজকে বিক্রি করতে চায়। তাই সকলের সহযোগিতা কামনা করছি" (শফিকুল-০১৯১৭-২৮৪৫১১) পলাশবাড়ীয়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান, প্রধান শিক্ষক এম রেজাউল করিম চুন্নু বলেন, সততা আর পরিশ্রমের মাধ্যমে যে কোনো কাজ করলেই সফলতা অর্জন করা সম্ভব। শফিকুল ও তার স্ত্রী প্রচুর পরিশ্রম করে। তাদের দু’জনের পরিশ্রমেই আজ এই অর্জন, এছাড়াও তাদের খামারের উৎপাদিত দুধ এলাকার চাহিদা পূরণ করছে। আমি শফিকুল-রিক্তা দম্পতির মঙ্গল কামনা করছি। পাশাপাশি এলাকার বেকার যুব সমাজ ও মধ্যবিত্ত পরিবারের প্রতি দৃষ্টি আর্কষন করছি যেন এভাবে শফিকুল-রিক্তা দম্পতির মত তাদেরও ভাগ্য বদল করতে পারে।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: