মণিরামপুরের কৃষকরা পাট নিয়ে পড়েছেন বিপাকে

■ মণিরামপুর (যশোর) প্রতিনিধি।। | প্রকাশিত: ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ০০:০৭

■ মণিরামপুর (যশোর) প্রতিনিধি।।
প্রকাশিত: ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ০০:০৭

ছবি- মণিরামপুর

যশোরের মণিরামপুরে পানির অভাবে পাট পচাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। তার ওপর উৎপাদন খরচের চেয়ে বর্তমান বাজারমূল্য কম থাকায় পাট নিয়ে কৃষকরা পড়েছেন বিপাকে। এক মণ পাট উৎপাদন করতে কৃষকের খরচ হয় প্রায় দুই বর্তমান বাজারে পাট বিক্রি হচ্ছে ১৫শ থেকে ১৭শ টাকা মণ দরে।

উপজেলা কৃষি অফিস জানায়, চলতি মৌসুমে মনিরামপুর উপজেলায় পাট চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয় পাঁচ হাজার দুইশ হেক্টর। চাষ করা হয় পাঁচ হাজার ৪২৫ হেক্টর জমিতে। পাট কাটার সময় কাঙ্ক্ষিত বৃষ্টিপাত না হওয়ায় পানির অভাবে পচাতে হিমশিম খেতে হয়।

হালসা গ্রামের কৃষক বাবর আলী এবার পাট চাষ করেন পাঁচ বিঘা জমিতে। বীজ, সার, কীটনাশক, শ্রমিকের মজুরিসহ এক মণ পাট উৎপাদন করতে খরচ হয়েছে প্রায় দুই হাজার টাকা। বর্তমান তিনি বাজারে বিক্রি করেছেন ১৬ থেকে ১৭শ টাকা মণ। প্রতিমণে চার থেকে পাঁচশ টাকা ক্ষতি হয়েছে তার।

হাজরাকাটি গ্রামের কৃষক জামাল হোসেন তিন বিঘা জমিতে পাট চাষ করেছেন। তিনি গত সপ্তাহে বিক্রি করেছেন এক হাজার ছয়শ টাকা মণ।

শহরসহ মারে কেন সহ উপজেলার চিনাটোলা, নেহালপুর, ঢাকুরিয়া, কুয়াদা, কাশিমনগর, নেঙ্গুড়াহাট বাজার ঘুরে দেখা যায়, এসব বাজারে বর্তমান প্রতি মণ পাট বিক্রি হচ্ছে এক হাজার ছয়শ থেকে এক হাজার সাতশ টাকায়।

পৌর শহরের পাট ব্যবসায়ী মোকতার আলী বলেন, পাটের গুণগত মানের ওপর নির্ভর করে বাজারদর কম-বেশি হয়। তবে বর্তমান পাটকলগুলোতে চাহিদা কম থাকায় দর কমে গেছে। অপর ব্যবসায়ী আসাদুজ্জামান দোলন জানান, বাজারদর হঠাৎ করে পড়ে যাওয়ায় এবার বেশি পরিমাণ পাট কেনা বন্ধ করে দিয়েছেন তিনি।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ঋতুরাজ সরকার বলেন, মৌসুমের শেষ পর্যায়ে এবার পাটের দাম কমে যাওয়ায় কৃষকরা বেশ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।




আপনার মূল্যবান মতামত দিন: