একবার না পারিলে দেখ শতবার, পাঁচ বারের বার চেয়ারম্যান হলেন- জিন্নাহ

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ৩০ নভেম্বর ২০২১ ০৯:১১

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ৩০ নভেম্বর ২০২১ ০৯:১১

ছবি সমসাময়িক
মোঃ আরিফুল ইসলাম (মণিরামপুর)।। টানা পাঁচ বার ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে অংশ নিয়েছেন যশোরের মণিরামপুরের খেদাপাড়া ইউনিয়নের হেলাঞ্চি গ্রামের আব্দুল আলিম জিন্নাহ। ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নানা পদে থেকে নৌকা নিয়ে লড়েছেন তিন বার। বার বার হেরেছেন। তবু হাল ছাড়েননি। চেষ্টা করেছেন ভোটারদের মত ছুঁতে। অবশেষে ভোটারদের মন জয় করতে পেরেছেন জিন্নাহ। চেয়ারম্যান পদে পঞ্চমবারে জয়ের দেখা পেয়েছেন তিনি। গত রবিবারের (২৮ নভেম্বর) ভোটে নৌকা প্রতীক নিয়ে নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বর্তমান চেয়ারম্যান আব্দুল হককে প্রায় ৫ হাজার ভোটে হারিয়ে জয় ছিনিয়ে এনেছেন জিন্নাহ। খেদাপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাথে দীর্ঘদিন জড়িয়ে আছেন আব্দুল আলীম জিন্নাহ। গেলো চার বছর ধরে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহবায়কের দায়িত্বে তিনি। দলে নিবেদিত হওয়ায় কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ তাকে টানা তিনবার নৌকা দিয়েছেন। দুই বার নৌকা নিয়ে হেরে তৃতীয় বার জয়ের মুখ দেখেছেন তিনি। আব্দুল আলীম জিন্নাহ ২০১১ সালে চেয়ারম্যান পদে স্বতন্ত্র নির্বাচনে নামেন। ভোটের আগে আওয়ামী লীগের সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থী সরদার মুজিবর রহমানকে ছাড় দিয়ে সরে পড়েন তিনি। সেবার জয়ী হন বিএনপি সমর্থিত ওমর ফারুক। ২০১৪ সালের দিকে দায়িত্বে থাকা অবস্থায় মারা যান এ চেয়ারম্যান। তখন উপ-নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সমর্থন না পেয়ে স্বতন্ত্র নির্বাচন করেন আব্দুল আলিম জিন্নাহ। সে বার হেরে যান দলের প্রার্থী সরদার মুজিবর রহমানের কাছে। ২০১৬ সালে ইউপি নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রথম বারের মত দলীয় ইউপি চেয়ারম্যান প্রার্থীদের জন্য নৌকা প্রতীক চালু করলে খেদাপাড়া থেকে মনোনয়ন পান জিন্নাহ। সেবার বিদ্রোহী প্রার্থী সরদার মুজিবর রহমানের কাছে বিপুল ভোটে হারেন তিনি। ২০১৯ সালে আকস্মিক মৃত্যু হয় চেয়ারম্যান মুজিবরের। তখনো উপ নির্বাচনে নৌকা পান জিন্নাহ। সে বার আব্দুল হকের কাছে ১২৪ ভোটে হেরে যান জিন্নাহ। বার বার হেরেও হাল ছাড়েননি তিনি। চেষ্টা করেছেন ভোটারদের কাছে পৌঁছাতে। এবারের নির্বাচনে এ ইউনিয়ন থেকে ১৮ জন নৌকা চান। কিন্তু দল আবারো জিন্নাহকে নৌকা দেন। বারবার নির্বাচন করে নিঃস্ব হয়ে পড়ায় জিন্নাহর অসহায়ত্বের কথা চিন্তা করে তার দিকে ঝুঁকে পড়েন ভোটাররা। নৌকা প্রতীকে ৮ হাজার ২৮৯ ভোট পেয়ে জিতে যান এ প্রার্থী। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী চেয়ারম্যান আব্দুল আনারস প্রতীকে পেয়েছেন ৩ হাজার ৫৪৪ ভোট।


আপনার মূল্যবান মতামত দিন: