কবিতা থেকে গান

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২০ ১১:০৫

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২০ ১১:০৫

ছবি সমসাময়িক
যাঁরা গান লেখেন, সাহিত্যে তাঁদের নামডাক আছে—এমন দৃষ্টান্ত বিরল। বিশ্বকবি বা জাতীয় কবির উদাহরণ টেনে এর উল্টো গীতও গাওয়া যায়। তবে তাঁরা দুজনেই প্রথমে কবি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন। ২০১৬ সালে বব ডিলান সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পাওয়ায় সাহিত্যাঙ্গনে উঠেছিল সমালোচনার ঝড়। অথচ গানের কথায় কাব্যিক অভিব্যক্তির স্বীকৃতি হিসেবে ডিলানের এই নোবেল জয় স্পষ্ট করে তোলে গান ও কবিতার প্রগাঢ় বন্ধন! তবে কবিতা কিন্তু বরাবরই সংগীতজগতে দারুণ সমাদৃত। কখনো কবি নিজেই সুর বসান গানে, কখনো আবার বহু বছর পর কবিতানুরাগী গায়ক বা সুরকার প্রিয় কবিতাকে গানে রূপান্তর করেন। কবিতা থেকে অনুপ্রাণিত গানের তালিকাও তো বেশ বিশাল! ‘কবিতা থেকে গান’–এর এমন কিছু জানা-অজানা নিয়েই এই আয়োজন।

‘একুশের গান’ থেকে প্রভাতফেরির গান

২১ ফেব্রুয়ারি ১৯৫২। রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবিতে রাজপথে নেমে আসা ছাত্রদের ওপর গুলি চালাল পুলিশ; সালাম-রফিক-বরকতসহ বহু তরুণ সেদিন শহীদ হলেন। কবি আবদুল গাফফার চৌধুরী তখন ঢাকা কলেজের ছাত্র। আহতদের দেখতে ঢাকা মেডিকেলে ছুটে গিয়ে দেখতে পেলেন আউটডোরে পড়ে আছে ভাষাসংগ্রামী রফিকের রক্তমাখা লাশ। তীব্র আবেগে-প্রতিবাদে উত্তাল সে সময়ে তিনি লিখলেন কালজয়ী কবিতা ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি, আমি কি ভুলিতে পারি’। ভাষা আন্দোলনের প্রথম প্রকাশিত লিফলেটে এটি ‘একুশের গান’ শিরোনামে প্রকাশিত হয়। পরবর্তী সময়ে যুবলীগের তৎকালীন সাংস্কৃতিক সম্পাদক আবদুল লতিফ এতে সুরারোপ করলে গানটি বিভিন্ন অনুষ্ঠানে গাওয়া শুরু হয়। ঢাকা কলেজের কিছু ছাত্র কলেজ প্রাঙ্গণে শহীদ মিনার স্থাপনের চেষ্টা করার সময়ও গানটি গেয়েছিলেন। সে সময় গানটি গাওয়া ও লেখার অপরাধে ঢাকা কলেজ থেকে ১১ ছাত্রকে বহিষ্কার করা হয়েছিল। ১৯৫৪ সালে সুরকার আলতাফ মাহমুদ নতুনভাবে এ কবিতায় সুরারোপ করেন, সে বছরই প্রথম এটি প্রভাতফেরিতে গাওয়া হয়।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: