সহশিল্পী থেকে মূল শিল্পী, সুযোগের হাতছানি

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২০ ১১:০৮

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২০ ১১:০৮

ছবি সমসাময়িক
কুমিল্লার দেবীদ্বার উপজেলার গুনাইঘর গ্রামের ছেলে সবুজ। স্কুলের পর বাড়িতে বইখাতা রেখেই ছুটতেন বন্ধুদের কাছে। তাদের নিয়ে ফুটবল বা ক্রিকেট খেলা, নয়তো আড্ডা তাঁকে টেনে নিয়ে যেত। আড্ডায় কেউ গাইত গান, কেউ বলত গল্প, কেউবা পাঠ করত কবিতা। সবুজ ছিলেন সে রকম আড্ডার মধ্যমণি। বন্ধুরা বলত, ‘তুই অভিনেতা হতে পারবি।’ ‘অভিনয়’! সেটার প্রতি তখনো তাঁর মোহ জাগেনি। তবে ২০০৩ সালে ঢাকায় এসে সুবজ যোগ দেন বঙ্গরঙ্গ নাট্যদলে। থিয়েটার থেকে আসে টেলিভিশনের ছোট ছোট চরিত্রে অভিনয়ের সুযোগ। কিন্তু মনে তৃষ্ণা প্রধান চরিত্রে অভিনয়ের। সেই সুযোগ তিনি পেলেন প্রায় ১৩ বছর পর, কোটিপতি নাটকে।
তত দিনে তিনি টেলিভিশন অঙ্গনে শহীদুল্লাহ সবুজ নামে পরিচিতি পেয়েছেন। অভিনয় করা হয়ে গেছে তিন শতাধিক নাটকে। সবুজের মতো আরও অনেক অভিনয়শিল্পী আছেন, যাঁদের অভিনয়জীবন শুরু হয়েছে পার্শ্বচরিত্র দিয়ে। এখন তাঁরা পেতে শুরু করেছেন প্রধান চরিত্রের কাজ। সেই তালিকায় আছেন আনন্দ খালেদ, রাশেদ সীমান্ত, পায়েল, মুশফিক আর ফারহান, দোলন দে, শরিফুল ইসলাম প্রমুখ।
ধরা যাক আনন্দ খালেদের কথা। প্রায় এক যুগ আগে মঞ্চনাটক দিয়ে অভিনয় শুরু হয় তাঁর। ২০১০ সালে আংশিক সাদাকালো নাটকে আনিসুর রহমান মিলনের বন্ধুর চরিত্রে অভিনয় করে ক্যারিয়ার শুরু হয় টেলিভিশনে। এরপর থেকে খালেদের জন্য যেন সংরক্ষিত থাকে নায়কের ভাই নয়তো বন্ধুর চরিত্র। খালেদ সেসব যত্ন নিয়েই করেছেন। কিন্তু প্রধান চরিত্রে কাজ করতে না পারলে অভিনয়জীবনে তৃপ্তি আসে?



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: