মণিরামপুরে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে মাছের ঘেরে বিষ প্রয়োগ

মণিরামপুর প্রতিনিধি: | প্রকাশিত: ১২ জুন ২০২৩ ০১:০২

মণিরামপুর প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: ১২ জুন ২০২৩ ০১:০২

ফটো:নিউজ প্রতিনিধি

যশোরের মনিরামপুরের মুড়ো গাছা মদনপুরে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে মাছের ঘেরে গ্যাস ট্যাবলেট প্রয়োগ করে মাছ মেরে ফেলার অভিযোগ উঠেছে । এ বিষয়ে মনিরামপুর থানায় একটি অভিযোগ হয়েছে। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বাদী এস এম ইমরান আলীর১৬ শতকের একটি পোনা মাছের ঘের আছে। ঘেরের পাশেই বিবাদী মন্টু খায়ের জমি আছে। জমিজমা ও বিভিন্ন বিষয়াদি নিয়ে পূর্ব বিরোধ নিয়ে বিবাদী বাদির মাছের ঘেরের বিদ্যুৎ সংযোগ গোপনে কেটে দেয়। গত ৯ জুন তারিখে ৭ঃ১০ ঘটিকার সময় বাদীর ঘেরে বিবাদী প্রবেশ করে ১৬ শতক পোনা মাছের ঘেরে মাছ মারার বিষ ট্যাবলেট প্র‍য়োগ করে।সে সময় বাদীর পাশের ঘেরে কাজ করতে থাকা আমিনুর রহমান ও হাসিনা বেগম বিষয়টি দেখতে পান। দেখতে পেলে বিবাদী কাপড় দিয়ে মুখ লুকিয়ে দ্রুত ঘটনা স্থান ত্যাগ করে। পরবর্তীতে স্থানীয় লোকজন বাদীকে সংবাদ দিলে বাদী ঘটনাস্থলে যায়ে দেখে মাছ মারা যাচ্ছে। মাছের ঘেরে দেওয়া বিষের নমুনা পলিথিনে সংরক্ষণ করে। বাদীর ঘেরে আনুমানিক এক লাখ বিশ হাজার টাকার ক্ষতি সাধন করেছে বলে অভিযোগ করেন বাদী এস এম ইমরান আলী ।

এ বিষয়ে প্রত্যক্ষদর্শী আমিনুর বলেন,সকাল ভোর বেলায় আমি বড় ঘেরের মধ্যে ছিলাম আমি তখন দেখি মন্টু খালের মধ্যে দিয়ে ঘের পাড়ে আসে। তখন মাঠে কোন লোকজন নেই।ঘের পাড়ে আসার পরে ঘেরের পূর্ব পাশে বড়ি মারে, তারপর ঘেরর মাঝের দিকে যেয়ে বড়ি মারে তারপর আমার বড় ঘেরের কাছে জাই,যায়ে বলে তোর কয়টা গরু এতো গোবর তারপর মন্টু চলে গেলো। তারপর আমার ভাইপো মাছের ঘেরে ১৫ মিনিটের মধ্যে আসলো, আসে আমাকে বললো কাকা ওঠো, মাছ লাফাচ্ছে। আমি আইসা দেখি মাছের মাথা উপরের দিকে মাছ লাফাচ্ছে।

হাসিনা বেগম বলেন, আমি মন্টু খা কে রাস্তায় মুখ ঢাকা অবস্থায় দেখেছি। ঘেরে কি হয়েছে আমি জানিনা। দুই বার আমার সাথে দেখা হয়েছে দুই বার ই মুখ ঢাকা অবস্থায় ছিলো।

এ বিষয়ে মন্টু খা বলেন, আমি প্রতিদিনের মতো আমি আমার জমিতে গিয়েছিলাম সকাল ৭ টার দিকে জমিতে কাজ করা শেষে হাসিনা বেগম,সাত্তার ও আমিনুর এর সাথে দেখা হয়। আমার হাতে উচতে ছিলো। তারা যে অভিযোগ করছে সেটা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তি হীন। আমাকে পরিকল্পিত ভাবে ফাসানো হচ্ছে।

 

 

 




আপনার মূল্যবান মতামত দিন: