ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রার্থী হিসাবে কঠোর অবস্থানে জিন্নাহ, রিপন, কামরুজ্জামান,আকতারুজ্জামান ও মিল্টন

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ২১ এপ্রিল ২০২১ ০৮:০৪

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ২১ এপ্রিল ২০২১ ০৮:০৪

ছবি সমসাময়িক
  আনোয়ার পারভেজ অনুজ।। যশোরের মনিরামপুরের ৭ নং খেদাপাড়া ইউনিয়নে আব্দুল আলীম জিন্নাহ, ৮ নম্বর হরিহরনগর ইউনিয়নের রিপন কুমার ধর, ১৬ নম্বর নেহালপুর ইউনিয়নে মোঃ কামরুজ্জামান,১ নম্বর রোহিতা ইউনিয়ন মোঃ আক্তারুজ্জামান ও ৬ নম্বর মনিরামপুর ইউনিয়নে মনিরুজ্জামান মিল্টন থেমে নেই। আগামী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে এরা নিজ নিজ ইউনিয়ন থেকে নৌকা প্রতীকের বা আওয়ামীলীগের শীর্ষ সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থী। মহামারী করোনার কারণে নির্বাচন কমিশন থেকে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন আপাতত স্থগিত ঘোষণার পর অধিকাংশ সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থীরা থমকে গেছেন অর্থাৎ সাধারণ মানুষের সাথে যোগাযোগ অনেকাংশে কমিয়ে দিয়েছেন, কিন্তু এই ৫ টি ইউনিয়নে এই পাঁচ নেতাসহ সীমিত কয়েকটি ইউনিয়নে কয়েকজন সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থী যারা গরিবের মনের কথা বা হৃদয়ের পালস বুঝে রাজনীতি করেন তারা গোপনে অসহায় গরীব মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছেন। ৭ নম্বর খেদাপাড়া ইউনিয়নে গত ইউপি নির্বাচনে এবং উপনির্বাচনে দুই বারই নৌকা প্রতীকের প্রার্থী হয়ে আব্দুল আলীম জিন্নাহ বিজয়ী হতে পারেননি, এটা সত্য। কিন্তু প্রথম বারের তুলনায় দ্বিতীয়বার ইউনিয়নের ভোটাররা তাকে ব্যাপকভাবে পছন্দ করেছিল তার প্রমান হলো সীমিত সংখ্যক ভোটে উপনির্বাচনে তিনি পরাজিত হয়েছিলেন। পরাজয়ের পর থেকে অদ্যবধি আব্দুল আলীম জিন্নাহ গোটা ইউনিয়নে গণসংযোগ অব্যাহত রেখে দল-মত নির্বিশেষে ভোটারদের যেন হৃদয়ে মিশে যেতে সক্ষম হন। আসছে নির্বাচনেও তিনি সবকিছু ঠিক থাকলে নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী হবেন, সেভাবেই চলছিল গণসংযোগ,কিন্তু করোনা ভাইরাস মহামারীর কারণে নির্বাচন সাময়িকভাবে স্থগিত করায় এবং সরকার লকডাউন দেয়ায় অন্যান্য গণবিচ্ছিন্ন প্রার্থীরা লাপাত্তা হলেও আব্দুল আলীম জিন্নাহ গরীব ও অসহায় মানুষের দুরবস্থা বুঝতে পেরে তিনি স্বাস্থ্যবিধি মেনে অসহায় মানুষের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করছেন এবং বলা যায় খানিকটা গোপনীয়ভাবে নিজের সাধ্যমত সাহায্য সহযোগিতা করছেন এছাড়া গরীব ও অসহায় মানুষের জন্য সরকার কি কি সুবিধা দিচ্ছে এবং প্রকৃত গরিবরা যাতে পান সেই বিষয়ে কি কি পদক্ষেপ নেয়া যায় সেসব বিষয়েও সচেষ্ট আছেন' বলে সূত্র জানিয়েছে। ৮ নম্বর হরিহরনগর ইউনিয়নের খুবই অল্প বয়স থেকে ছাত্রলীগ এরপর যুবলীগ এবং বর্তমানে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক (দীর্ঘদিনের সাধারণ সম্পাদক ) রিপন কুমার ধর এই লকডাউনে খুবই সমস্যায় যারা রয়েছেন তাদের পাশে আগের মতোই রয়েছেন বা সাধ্যমত সহযোগিতা করে চলেছেন। সূত্রমতে,বিগত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে রিপন কুমার ধরকে ইউনিয়নবাসী এগিয়ে রাখলেও রাজনৈতিক নেতাদের কোটায় ভাগাভাগি প্রার্থীতার কারণে তিনি দলীয় মনোনয়ন বঞ্চিত হন। তবে আসছে নির্বাচনে দলীয় লোকজন তো বটেই ইউনিয়নের গণ্যমান্য ব্যক্তিরা রিপন কুমার ধর নৌকা প্রতীকের প্রার্থী হয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হোক তেমনটি প্রত্যাশা করছেন। চলমান লকডাউনে অন্যান্য কথিত নেতারা নিজেকে গুটিয়ে নিলেও রিপন কুমার ধর ক্ষতিগ্রস্ত ও গরীব মানুষের জন্য নিজেকে ব‍্যক্তিগত সামার্থানুযায়ী সহযোগিতা করে চলেছেন। তাছাড়া সরকারের পক্ষ থেকে যেসব সাহায্য-সহযোগিতা দিবে সেই সহযোগিতা যাতে প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্তরা পান সেজন্য রিপন কুমার ধর বিভিন্ন মহলে যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছেন বলে সূত্র জানায়।উল্লেখ্য এই উপজেলার অন্যান্য ইউনিয়নে নির্বাচন সম্পন্নের দুই/ আড়াই বছর পর হরিহরনগর ইউনিয়ন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। অন্যদিকে, ১৬ নম্বর নেহালপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক এবং ইউনিয়নের গুরুত্বপূর্ণ ওয়ার্ডের পরপর তিনবার নির্বাচিত ইউপি সদস্য বিশিষ্ট ব্যবসায়ীসমাজসেবক,শিক্ষানুরাগী মোঃ কামরুজ্জামান নৌকা প্রতীকের সম্ভাব‍্য শীর্ষ জনপ্রিয় চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসাবে গণসংযোগ চালিয়ে আসছিলেন।কিন্তু নির্বাচন স্থগিত হলেও তিনি নিজ বাড়িতে বসে নেই। তার রাজনৈতিক সামাজিক অবস্থান থেকে ও মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে লকডাউনের শুরু থেকেই মানুষকে স্বাস্থ্যবিধি সম্পর্কে সচেতন করাসহ অদ্যবধি অসহায় গরীব মানুষ যারা বেশি সমস্যায় আছেন তাদেরকে গোপনে তিনি সাধ্যমত সহযোগিতা করে চলেছেন বলে সূত্র জানায়। ১ নম্বর রোহিতা ইউনিয়নে আসছে নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে ওই ইউনিয়নের শীর্ষ ক্লিন ইমেজের আক্তারুজ্জামান এর পক্ষে ব্যাপক জনমত সৃষ্টি হয়েছে। ইউনিয়নে যেকয়টি পরীক্ষিত আওয়ামীলীগ পরিবার আছে আকতারুজ্জামানের পরিবার তাদের মধ্যে অন্যতম। মুড়াগাছা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় একাধিকবার সভাপতি, শিক্ষা অনুরাগী ও সমাজ সেবক, তরুণ এই বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও রাজনীতিক আকতারুজ্জামানের সার্বিক গুণাবলী ইউনিয়নব্যাপী সর্ব সাধারণের মধ্যে প্রতিষ্ঠিত সত্য। এ কারণে আসছে নির্বাচনে জনগণ তাকে চেয়ারম্যান হিসেবে দেখার জন্য খানিকটা মুখিয়ে ছিলেন। কিন্তু নির্বাচন স্থগিত হওয়ায় সম্ভাব্য প্রার্থীদের মধ্যে অনেক প্রার্থী জনগণ থেকে সটকে পড়লেও আকতারুজ্জামান ইউনিয়নবাসীকে স্বাস্থ্য বিধি মানার বিষয়ে সহযোগিতা করার পাশাপাশি এই লকডাউনে যারা অসহায় হয়ে পড়েছেন তাদের পাশে আগের মতোই মানবিক গুনাবলীর প্রেক্ষিতে গোপনীয়ভাবে দাঁড়িয়েছেন বলে সূত্র জানায়। ৬ নম্বর ইউনিয়ন মনিরামপুর সদর ইউনিয়ন হিসেবে পরিচিত। এই ইউনিয়নে বিগত নির্বাচনে গোটা মণিরামপুরের প্রিয় মুখ ছাত্রলীগের দীর্ঘদিনের উপজেলা কমিটির সভাপতি বর্তমানে তরুণ আওয়ামীলীগ নেতা মনিরুজ্জামান মিল্টন নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী হওয়ার বিষয়টা সব মহলেই নিশ্চিত ছিল। কিন্তু এক অদৃশ্য খেলায় তিনি মনোনয়ন বঞ্চিত হয়েছিলেন এবং নৌকা প্রতীক পেয়েছিলেন ওই সময়ের ইউনিয়ন বিএনপি'র সহ-সভাপতির ছেলে। ফলাফল যা হবার তাই, নৌকা প্রতীকের প্রার্থী পরাজিত হয়েছিলেন। আসছে নির্বাচনে মনিরুজ্জামান মিল্টনের পক্ষে প্রচার প্রচারণা ও জনমত যখন তুঙ্গে ঠিক সেই মুহুর্তে মহামারীর কারণে নির্বাচন স্থগিত হলেও তিনি তার কর্মকাণ্ড কিন্তু স্থগিত করেননি। অন্যান্য সম্ভাব্য প্রার্থীদের মধ্যে যখন গাছাড়া অবস্থা তখনও ব‍্যতিক্রম মনিরুজ্জামান মিল্টন। ইউনিয়নের যেসব নাগরিকরা বেশি সমস্যার মধ্যে তাদেরকে বিভিন্নভাবে তিনি সহযোগিতা করে চলেছেন বলে সূত্র নিশ্চিত করেছে।


আপনার মূল্যবান মতামত দিন: