নির্বাচনী সহিংসতায় মুমূর্ষ অবস্থায় শয্যাসহী বিদ্রোহী প্রার্থী নৌকা হটিয়ে ব্যাপক ভোটে বিজয়

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ২৯ নভেম্বর ২০২১ ১৮:০৫

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ২৯ নভেম্বর ২০২১ ১৮:০৫

ছবি সমসাময়িক

মণিরামপুর প্রতিনিধি।। 

গত ২৮ নভেম্বর মণিরামপুর উপজেলার ইউপি নির্বাচনে ৫ নং হরিদাসকাটি ইউনিয়নে বর্তমান চেয়ারম্যান নৌকা প্রতীকের প্রার্থী বিপদ ভঞ্জন একই দলের ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের বহিস্কৃত সাধারন সম্পাদক আলমগীর লিটনের কাছে ব্যাপকভাবে পরাজিত হয়েছেন। বিজয়ী আলমগীর কবির লিটন উপজেলার হোগলাডাঙ্গা গ্রামের আব্দুর রশিদের ছেলে। এবার তিনি আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রাথী হিসেবে নির্বাচনী মাঠে ছিলেন। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ছিলেন আওয়ামী লীগের মনোনীত বিপদ ভঞ্জন পাড়ে। গত ৯ নভেম্বর সন্ধ্যায় আলমগীর কবির লিটন নির্বাচনী কাজে ইউনিয়নের হোগলাডাঙ্গা বাজারে প্রচার-প্রচারণায় যখন ব্যস্ত ছিলেন এসময় প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী নৌকার কর্মীরা তাকে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াতে ব্যাপক মারপিট করে গুরুতর আহত করেন। এ সময় উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেন লাভলুর গাড়িতেও হামলা হয়। তবে আমজাদ হোসেন লাভলু নৌকার প্রার্থী বিপদ ভঞ্জন এর প্রচার প্রচারণায় ছিলেন। একই সময় বিদ্রোহী প্রার্থী আলমগীর কবির লিটনের ছোট ভাই জাহাঙ্গীর হোসেনও নৌকার সমর্থিত কর্মীদের আক্রমণে মারপিটের শিকার হয়ে হাসপাতালে যান । দু’ভাই একসাথে মুমূর্ষ অবস্থায় হাসপাতালের বেডে। পরবর্তীতে উন্নয়ন চিকিৎসার জন্য যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে প্রার্থী আলমগীর কবির লিটনকে নেওয়া হয় ঢাকা শ্যামলী নিউরোসাইন্স হাসপাতালে। এ হাসপাতালে গত তিন আগে তার অপারেশন করা হয় বলে পারিবারিক সূত্র জানায়। হাসপাতালে বেডে শুয়েই তিনি আওয়ামী লীগের দলীয় সিন্ধান্ত অনুযায়ী বহিস্কারের ম্যাসেজ পান। পরিবারের কেউ ছিলো না তার পক্ষে নির্বাচন কার্যক্রমের কাজ করার মত। শেষ পর্যন্ত ওই ইউনিয়নের ভোটার যশোরের সাংবাদিক রাহুল রায় তার নির্বাচনী হাল ধরেন। আলমগীর কবির লিটন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী বিপদ ভঞ্জন পাড়েকে অতিক্রম করে ৩ হাজার ৭৬১ ভোট বেশি পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তবে এ বিজয়ের আনন্দের সাদ গ্রহণ করতে পারেননি ওই পরিবারের কেউ।


আপনার মূল্যবান মতামত দিন: