কেশবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করলেন জহিরুল আলম

অলিয়ার রহমান | প্রকাশিত: ১৩ নভেম্বর ২০২৩ ০০:৫৮

অলিয়ার রহমান
প্রকাশিত: ১৩ নভেম্বর ২০২৩ ০০:৫৮

ছবিঃ নিউজ

অলিয়ার রহমান, কেশবপুর প্রতিনিধিঃ


যশোরের কেশবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করলেন জহিরুল আলম। গত শনিবার (১১ নভেম্বর) রাতে বিদায়ী ওসি মোহাম্মদ মফিজুর রহমানের কাছ থেকে তিনি দায়িত্ব বুঝে নেন।
এর আগে কেশবপুর থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) হিসেবে তিনি দায়িত্বরত ছিলেন। সদ্য বিদায়ী ওসি মফিজুর রহমান যশোর জেলায় ডিএসবি'তে যোগদান করেছেন। নবাগত ওসি দায়িত্ব বুঝে নেওয়ার পর থানার অফিসারগণ তাকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেন।

উল্লেখ্য, ওসি জহিরুল আলম ১৯৮১ সালের ১০ অক্টোবর নারায়ণগঞ্জ জেলার ফতুল্লা গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব ফরিদ উদ্দীন আহমেদ।ব্যক্তি জীবনে তিনি বিবাহিত এবং দুই কন্যা সন্তানের জনক। তিনি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ২০০৬ সালে অ্যাকাউন্টিং (হিসাববিজ্ঞান) এ অনার্স ও মাস্টার্স সম্পন্ন করেন। ২০০৭ সালে আউট সাইড ক্যাডেট হিসেবে এক বছরের মৌলিক প্রশিক্ষণ শেষে ২০০৮ সালে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীতে সাব-ইন্সপেক্টর পদে ডিএমপি'তে যোগদান করে কর্মজীবন শুরু করেন। চাকুরী জীবনে ঢাকার ডেমরা, সুত্রাপুর ও নিউমার্কেট থানায় চাকরি করেন। ২০১৭ সালের এপ্রিল মাসে ইন্সপেক্টর হিসেবে পদোন্নতি পেয়ে নরসিংদী জেলার রায়পুরা থানা, পলাশ থানা, মনোহরদী থানা এবং গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়া থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) হিসেবে সুনামের সহিত চাকরি করেন। এরপর যশোর জেলার কেশবপুর থানায় ইন্সপেক্টর (তদন্ত) হিসেবে তিনি যোগদান করেন।
ইতিমধ্যে তিনি কেশবপুর থানায় যোগদানের পর অসীম সাহসিকতা ও বীরত্বপূর্ণ কাজের জন্য এলাকায় বেশ সাড়া ফেলেছেন।

সন্ত্রাসী, জঙ্গি, জুয়া, ইভটিজিং, মাদক নির্মূলে জনসাধারণের সহযোগিতা কামনা ও সকল অপরাধীদের সতর্ক বার্তা দিয়ে থানার নবাগত অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জহিরুল আলম সাংবাদিকদের বলেন, এ উপজেলার সন্ত্রাসী, জঙ্গি, মাদক, জুয়া, সুদখোর ও চোরাকারবারি, অস্ত্ররাধীদের তথ্য দিয়ে আপনারা পুলিশকে সহযোগিতা করবেন। সে যেই হোক-না কেন, তাদের কোন প্রকার ছাড় দেওয়া হবে না। গোটা উপজেলার আইনশৃঙ্খলার পরিস্থিতি স্বাভাবিক ও পুলিশ বাহিনীর সুনাম অক্ষুণ্ণ রাখতে সকল অপরাধীদের আইনের আওতায় আনা হবে। মাদকের জন্য আজ যুবসমাজ নষ্ট হচ্ছে। মাদক ব্যবসায়ীরা দেশ ও জাতির শত্রু। সেজন্য এ উপজেলা থেকে মাদককে জিরো টলারেন্স করতে সকল মাদক ব্যবসায়ীদের তথ্য আমাকে দিবেন, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এছাড়াও বর্তমান সরকারের উন্নয়ন কর্মকান্ড ও অগ্রযাত্রা বাধাগ্রস্ত বা ব্যহত করে এবং সরকারি ও জনগণের জানমালের ক্ষতি সাধনের লক্ষে কেউ যদি কোন প্রকার নাশকতামূলক কর্মকান্ড করার চেষ্টা চালায় তাদেরকে কঠোর হস্তে দমন করা হবে বলেন তিনি । পরিশেষে এ উপজেলায় সকল প্রকার অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড কঠোর হস্তে দমন এবং আইনশৃঙ্খলার পরিস্থিতি উন্নয়নের লক্ষ্যে সকলের সহযোগিতা কামনা করেছেন ।#




আপনার মূল্যবান মতামত দিন: