২০০৮ সালের নির্বাচনে বিএনপি ২০ দলীয় জোট করে ৩০ আসন পায় - প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

নিউজ ডেক্স।। | প্রকাশিত: ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ০৭:২৮

নিউজ ডেক্স।।
প্রকাশিত: ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ০৭:২৮

দৈনিক সমসাময়িক ফটো।

গোপালগঞ্জের কোটালিপাড়ার টিটি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে স্থানীয় আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথির প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, কেউ কেউ বলেন বড় দুই দল। কিন্তু আওয়ামী লীগের সঙ্গে বিএনপির তুলনা হয় কীভাবে?
২০০৮ সালের নির্বাচনে বিএনপি পেয়েছিল ৩০ আসন, তিনশ আসনের মধ্যে। আর আওয়ামী লীগ মহাজোট করেছিল। বিএনপির ছিল ২০ দলীয় জোট। বিএনপি পেল ৩০ আসন। বাকি সব আসন পেয়েছে আওয়ামী লীগ। তাহলে দুই দল সমপর্যায়ের হয় কীভাবে?
প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, বিএনপি সরকার আমলে জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস, গ্রেনেড হামলা, পাঁচশ জায়গায় একই সঙ্গে বোমা হামলা, ৬৩ জেলায় বোমা হামলা, দুর্নীতিতে পাঁচবার চ্যাম্পিয়ন। তারা মানুষকে কিছু দেয়নি, মানুষের অর্থ লুট করে বিদেশে নিয়ে গেছে। তিনি বলেন, বিএনপি এমন একটি রাজনৈতিক দল, তারা নিজেরাই দলের গঠনতন্ত্র মানে না। বিএনপির সাজাপ্রাপ্ত কোনো আসামি দলের নেতৃত্বে আসতে পারবে না, খালেদা জিয়া ও তার ছেলে তারেক দুই জনই সাজাপ্রাপ্ত, অথচ তারাই সেই দলের নেতা। সুতরাং সেই দলের সঙ্গে আওয়ামী লীগের তুলনা চলে না। যারা তুলনা করে ভুল করেন।
আন্দোলন-সংগ্রামের মধ্য দিয়ে দল গঠন হয়েছে আওয়ামী লীগ, আর জিয়া অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করেছে। বিএনপি মানুষকে আগুন দিয়ে পোড়ায়, তারা সন্ত্রাস করে। আওয়ামী লীগের সঙ্গে তাদের তুলনা হয় না। তিনি বলেন, কথা দিয়েছিলাম ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ দেব, সব ঘর আলোকিত করেছি। তবে বিদ্যুৎ ব্যবহারে সাশ্রয়ী হতে হবে। বিশ্বব্যাপী সংকট চলছে। আমরা বিদ্যুতে অর্ধেকের বেশি ভর্তুকি দিচ্ছি। আগে ঢাকা থেকে গোপালগঞ্জে আসতে সময় লাগত ২২ ঘণ্টা। আর আজ সকালে তিনি ঢাকা থেকে রওয়ানা দিয়ে মাত্র আড়াই ঘণ্টায় পৌঁছে গেছেন। এটা সম্ভব হয়েছে পদ্মা সেতুর কল্যাণে। বাংলাদেশের মানুষ আত্মমর্যাদা নিয়েই চলে। কেউ অপবাদ দিলে মানবো না। শেখ হাসিনা বলেন, পদ্মা সেতু নির্মাণ নিয়ে অনেক অপবাদ দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছিল, সেটি চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছিলাম। কারণ দুর্নীতি করে নিজের ভাগ্য পরিবর্তন করতে আসিনি। জনগণের ভাগ্য গড়তে এসেছি। তাই কেউ যখন মিথ্যা অপবাদ দেয়। সে অপবাদ নিতে আমি রাজি না।
তিনি আরও বলেন, ওয়ার্ল্ড ব্যাংক অপবাদ নিতে চেষ্টা করেছিল। কিন্তু তারা সফল হয়নি। আমরা নিজেদের টাকায় পদ্মা সেতু নির্মাণ করেছি বলেই আজ এত দ্রুত কোটালিপাড়া, গোপালগঞ্জ ও টুঙ্গিপাড়া এবং দক্ষিণ অঞ্চলের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করতে পেরেছি।

আজকের জনসভায় কোটালীপাড়া ছাড়াও আশপাশের অনেক এলাকা থেকে মানুষ দলে দলে প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় অংশ নেন বলে জানান স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা।

৪৯টি প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে- স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর ৩১টি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ৪টি, শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর ৩টি, কোটালীপাড়া উপজেলা পরিষদ ২টি, গোপালগঞ্জ পৌরসভা ২টি, গণপূর্ত বিভাগ ২টি, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর ২টি, কোটালীপাড়া পৌরসভা ১টি, গোপালগঞ্জ জেলা পরিষদ ১টি এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণায়ল ১টি প্রকল্প বাস্তবায়ণ করেছে।

এছাড়াও রয়েছে- কুশলী জিসি-ধারবাশাইল জিসি ভায়া মিত্রডাঙ্গা, সোনাখালী সড়কে ১৪৭০ মিটার চেইনেজে ৯৯.০০ মিটার গার্ডার ব্রিজ। কুশলী জিসি ধারাবাশাইল জিসি ভায়া মিত্রডাঙ্গা সোনাখালী সড়কে ১৬৬০০ মিটার চেইনেজে ২০.০০ মিটার আরসিসি গার্ডার ব্রিজ। সিঙ্গিপাড়া আরএইচডি-মুন্সিরচর ভায়া শেখ কামাল সড়কে ১২৭০ মিটার চেইনেজে ২০.০০ মিটার আরসিসি স্লাব ব্রিজ। কুশলীহাট জিসিসি ধারবাশাইল জিসিসি ভায়া মিত্রডাঙ্গা সোনাখালী সড়কে ৭৭৫০ মিটার চেইনেজে ৭৫.০০ মিটার আরসিসি ব্রিজ। কুশলী ইউনিয়ন কৃষক সেবা কেন্দ্র। বাঁশবাড়িয়া জিসি ঝনঝনিয়া-ঘাঘর জিসি সড়ক (চেইনেজে০০-১২৬৩৫মিটার)। বাঁশবাড়িয়া জিসি-বিশারকান্দি জিসি ভায়া করফা বাজার,তরু বাজার,কাচারিভিটা বাজার সড়ক প্রশস্ত ও শক্তিশালী করণ (চেইনেজে ০০-৯২২৫ মিটার), ছিকুটিবাড়ী মাইকেল চেয়ারম্যানের বাড়ীর সড়কে ৫৬০ মিটার চেইনেজে ১৮.০০ মিটার আরসিসি গার্ডার ব্রিজ। রাধাগঞ্জ ইউপিসি-উত্তরপাড়া হাটখোলা-নাগরা বাজার সড়কে ০০ মিটার চেইনেজে ২৫.০০ মিটার আরসিসি গার্ডার ব্রিজ। দেবগ্রাম আশ্রায়ণ প্রকল্পের সামনে ০০ মিটার চেইনেজে ৩০.০০ মিটার আরসিসি গার্ডার ব্রিজ। রাধাগঞ্জ ইউপিসি -ডগলাস হাইস্কুল-ভাঙ্গারহাট জিসি সড়কে ১০ মিটার চেইনেজে ৩৯.০০ মিটার আরসিসি গার্ডার ব্রিজ। রাজৈর কোটালীপাড়া সড়ক হতে লুৎফর রহমান বাচ্চুর বাড়ী ছোট দিঘলিয়া জিপিএস সংযোগ সড়কে ০০ মিটার চেইনেজে ৩০ মিটার আরসিসি গার্ডার ব্রিজ। কুশলা ইউপি হতে টুপুরিয়া আরএ্যান্ডএইচ সড়কে ২৪৩০ মিটার চেইনেজে ৩৬.০০ মিটার আরসিসি গার্ডার ব্রিজ। টুপুরিয়া আরএ্যান্ড এইচ হতে কুশলা ইউপিসি ভায়া জামুলা সড়কে ০৮ মিটার চেইনেজে ৩০.০০ মিটার গার্ডার ব্রিজ। হরিণাহাটি ডিবি-হরিণাহাটি জিপিএস সড়কে ১০ মিটার চেইনেজে ৫১.০০ মিটার আরসিসি গার্ডার ব্রিজ। সাদুল্যাপুর ইউপিসি হতে চলবল বাজার সড়ক ( চোইনেজে ৮০০-৬৩৪০ মিটার)। নাগরা আরএইচডি-বান্ধাবাড়ী-রামশীল-শশীকর জিসি সড়ক চেইনেজে ৫২০০-১৪৪০৫ মিটার প্রশস্ত ও শক্তিশালী করণ। নাগরা বাজার-রামশীল ইউপি সড়ক চেইনেজে ৩২০০-৫৯৯০ মিটার প্রশস্ত ও শক্তিশালী করণ। কদমবাড়ী-কালিগঞ্জ-গান্ধিয়াশুর জিসি সড়ক নির্মাণ চেইনেজে ০০-৬২৫৬ মিটার। কোটালীপাড়া সদর ভূমি অফিসের সামনে আর এ্যান্ড এইচ বিশারত বাড়ী পর্যন্ত সড়কে ০০ মিটার চেইনেজে ১৮.০০ মিটার আরসিসি গার্ডার ব্রিজ। কাগডাঙ্গা চেয়ারম্যান বাড়ী হতে কাটাভিটা ভায়া এমএ সাইদ স্কুল এ্যান্ড কলেজ সড়ক ( চেইনেজে ০০-১৩২০ মিটার) ইউনিব্লক দ্বারা উন্নয়ন। চাটখালি ব্রিজ-মহিষডাঙ্গা ভায়া ফুলবাড়ি জিপিএস সড়ক নির্মাণ (চেইনেজে ০০-৮১৬০ মিটার)। চিতশী জিপিএস কান্দিপাড়া ওয়াপদা বেড়িবাঁধ সড়ক নির্মাণ ( চোইনেজে ২৫০০-১১১০০ মিটার)। আশুতিয়া শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধা মোক্তার হোসেন দাড়িয়া মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি জাদুঘর। শুয়াগ্রাম ইউনিয়ন কৃষক সেবাকেন্দ্র। কেটালীপাড়া উপজেলা হেডকোয়ার্টার হতে ধারবাসাইল কান্দি সড়ক নির্মাণ ( ০০-১১৩৪৪ মিটার)। কোটালীপাড়া উপজেলার বঙ্গলক্ষী বাজার হতে রামশীল ইউপি অফিস সড়কে ৬৮১৫ মিটার চেইনেজে ৯৯.৭০ মিটার আরসিসি ব্রিজ। উত্তরপাড়া হাটখোলা ব্রিজ হতে পারকোনা পৌরসভা বাসস্ট্যান্ড ভায়া কুঞ্জুবন সড়কে ৩৫০০ মিটার চেইনেজে ৪২.০০ মিটার আরসিসি গার্ডার ব্রিজ।




আপনার মূল্যবান মতামত দিন: