আজ লাইলাতুল মেরাজ

সমসাময়িক ডেক্স।। | প্রকাশিত: ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১২:০৪

সমসাময়িক ডেক্স।।
প্রকাশিত: ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১২:০৪

দৈনিক সমসাময়িক ফটো।

ইসলাম ধর্মমতে লাইলাতুল মেরাজ বা মেরাজের রাত (শবে মেরাজ নামে অধিকতর পরিচিত) হচ্ছে যে রাতে ইসলামের নবী মুহাম্মদ (সা:) ঐশ্বরিক উপায়ে ঊর্ধ্বাকাশে আরোহণ করেছিলেন এবং স্রষ্টার সাথে সাক্ষাৎ করেছিলেন।

অনেক মুসলমান এবাদত-বন্দেগির মধ্য দিয়ে এই রাতটি উদ্‌যাপন করেন, আবার অনেক মুসলমান এই রাত উদ্‌যাপন করেন না বরং এই রাত উদ্‌যাপন করাকে বিদআত বলেন। 
ইসলামে মেরাজের বিশেষ গুরুত্ব আছে, কেননা এই মেরাজের মাধ্যমেই ইসলাম ধর্মের পঞ্চস্তম্ভের দ্বিতীয় স্তম্ভ অর্থাৎ নামাজ, মুসলমানদের জন্য অত্যাবশ্যক (ফরজ) করা হয় এবং এই রাতেই দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ কায়েম করার বিধি মুসলমানদের জন্য নবী মুহাম্মদ (সা:) নিয়ে আসেন।

ইসলামের ইতিহাস-অনুযায়ী মুহাম্মাদের (সা:) নবুওয়াতের দশম বৎসরে (৬২০ খ্রিষ্টাব্দ) রজব মাসের ২৬ তারিখের দিবাগত রাতে ইসলামের নবী মুহাম্মাদ (সা:) প্রথমে কাবা শরিফ থেকে জেরুজালেমে অবস্থিত বায়তুল মুকাদ্দাস বা মসজিদুল আকসায় গমন করেন এবং সেখানে তিনি নবীদের জামায়াতে ইমামতি করেন, অতঃপর তিনি বোরাক নামক বিশেষ বাহনে আসীন হয়ে ঊর্ধ্বলোকে গমন করেন। ঊর্ধ্বাকাশে সিদরাতুল মুনতাহায় তিনি আল্লাহর সাক্ষাৎ লাভ করেন। নবী মুহাম্মদ (সা:)-এর আল্লাহর সাথে সাক্ষাৎ করার আগ পর্যন্ত এই সফরে ফেরেশতা জিবরাইল তার সফরসঙ্গী ছিলেন।

কুরআন শরিফের সুরা বনি ইসরাঈল এর প্রথম আয়াতে এ প্রসঙ্গে বলা হয়েছে "পবিত্র মহান সে সত্তা, যিনি তার বান্দাকে রাতে নিয়ে গিয়েছেন আল মাসজিদুল হারাম থেকে আল মাসজিদুল আকসা পর্যন্ত, যার আশপাশে আমি বরকত দিয়েছি, যেন আমি তাকে আমার কিছু নিদর্শন দেখাতে পারি। তিনিই সর্বশ্রোতা, সর্বদ্রষ্টা।

মেরাজ ঘটেছিল মুহাম্মদ (সাঃ)-এর নবুয়্যত বা ঐশ্বিক বাণী প্রাপ্তির দশম বছরে।

মেরাজের ঘটনায় দুটো অংশ ছিল:

১/ আল-ইসরা  বা জেরুজালেমে নৈশ-ভ্রমণ

২/ মেরাজ বা ঊর্ধ্বারোহণ বা স্বর্গারোহণ।

একটি বর্ণনায় পাওয়া যায়, নবুয়্যতের দশম বছর, সাত মাস; ২৭ রজব তারিখে মুহাম্মাদ, আবু তালিবের মেয়ে হিন্দার(উন্মেহানী) বাড়িতে ছিলেন। আবার অন্য হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, ঐ রাতে মুহাম্মদ কাবাতে ঘুমান, এবং তিনি কাবা'র ঐ অংশে ঘুমান, যেখানে কোনো ছাদ ছিল না।

হিন্দার বিবরণ থেকে জানা যায়, ঐ রাতে, মুহাম্মদ(সা:), রাতের প্রার্থনা সেরে ঘুমাতে যান। খুব ভোরে মুহাম্মদ(সা:) উঠে সবাইকে জাগালেন এবং নামাজ আদায় করলেন, হিন্দাও তার সাথে নামাজ আদায় করলেন। নামাজ শেষে মুহাম্মদ(সা.) জানালেন, “ও উম্মেহানি (হিন্দার ডাক নাম) এই ঘরে আমি তোমাদের সাথে প্রার্থণা করেছি। যেমন তোমরা দেখেছ। তারপর আমি পবিত্র স্থানে গিয়েছি এবং সেখানে প্রার্থণা সেরেছি এবং তারপর তোমাদের সাথে ভোরের প্রার্থণা সারলাম, যেমন তোমরা দেখছো।

আনাছ (রা.) মালেক ইবনে সা’সাআ’হ (রা.) হতে বর্ণনা করেছেন, নবীকে ছাল্লাল্লাহু আলাইহি অসাল্লাম যেই রাত্রে আল্লাহ তাআলা পরিভ্রমণে নিয়ে গিয়েছিলেন সেই রাত্রের ঘটনা বর্ণনায় সাহাবীগণের সম্মুখে তিনি বলেছেন, যখন আমি কা’বা গৃহে উন্মুক্ত অংশ হাতীমে (উপনীত হলাম এবং তখনও আমি ভাঙ্গা ঘুমে ভারাক্রান্ত) ঊর্ধ্বমুখী শুয়ে ছিলাম, হঠাৎ এক আগন্তক ফেরেশতা জিবরাইল (আ.) আমার নিকট আসলেন এবং আমাকে নিকটবর্তী জমজম কূপের সন্নিকটে নিয়ে আসলেন অতঃপর আমার বক্ষে ঊধর্ব সীমা থেকে পেটের নিম্ন সীমা পর্যন্ত চিরে ফেললেন এবং আমার হৃৎপিণ্ড বা কল্বটাকে বের করলেন। অতঃপর একটি স্বর্ণপাত্র উপস্থিত করা হল, যা পরিপক্ব সত্যিকার জ্ঞানবর্ধক বস্তুতে পরিপূর্ণ ছিল। আমার কল্বটাকে (জমজমের পানিতে) ধৌত করে তার ভিতরে ঐ বস্তু ভরে দেয়া হল এবং কল্বটাকে নির্ধারিত স্থানে রেখে আমার বক্ষকে ঠিকঠাক করে দেয়া হল। অতপর আমার জন্য খচ্চর হতে একটু ছোট, গাধা হতে একটু বড় শ্বেত বর্ণের একটি বাহন উপস্থিত করা হল তার নাম “বোরাক”, যার প্রতি পদক্ষেপ দৃষ্টির শেষ সীমায়। সেই বাহনের উপর আমাকে সওয়ার করা হল। ঘটনা প্রবাহের ভিতর দিয়ে জিবরাইল (আ.) আমাকে নিয়ে নিকটবর্তী তথা প্রথম আসমানের দ্বারে পৌঁছিলেন এবং দরজা খুলতে বললেন। ভিতর হতে পরিচয় জিজ্ঞাসা করা হল, জিবরাইল স্বীয় পরিচয় প্রদান করলেন। অতঃপর জিজ্ঞাসা করা হল, আপনার সঙ্গে কে আছেন?
জিবরাইল বললেন, মুহাম্মদ (সা.) আছেন। বলা হল, (তাঁকে নিয়ে আসার জন্যই তো আপনাকে) তার নিকট পাঠান হয়েছিল? জিবরাইল বললেন হাঁ। তারপর আমাদের প্রতি মোবারকবাদ জানিয়ে দরজা খোলা হল। গেটের ভিতরে প্রবেশ করে তথায় আদম (আ.)-কে দেখতে পেলাম । জিবরাইল আমাকে তার পরিচয় করে বললেন, তিনি আপনার আদি পিতা আদম (আ.) তাঁকে সালাম করুন। আমি তাঁকে সালাম করলাম। আমার সালামের উত্তরদানে আমাকে “সুযোগ্য পুত্র ও সুযোগ্য নবী” আখ্যায়িত করলেন এবং খোশ আমদেদ জানালেন ।
অতঃপর জিবরাইল (আ.) আমাকে নিয়ে তৃতীয় আসমানের দ্বারে পৌঁছিলেন এবং দরজা খুলতে বললেন। তথায়ও পূর্বের ন্যায় কথোপকথনের পর শুভেচ্ছা স্বাগত জানিয়ে দরজা খোলা হল। ভিতরে প্রবেশ করে ইউসুফ (আ.)-এর সাক্ষাৎ পেলাম । জিবরাইল (আ.) আমাকে তার সাথে পরিচয় করিয়ে সালাম করতে বললেন, আমি তাঁকে সালাম করলাম তিনি সালামের উত্তর দান করত আমাকে “সুযোগ্য ভ্রাতা ও সুযোগ্য নবী” বলে মোবারকবাদ জানালেন । অতঃপর আমাকে নিয়ে জিবরাইল চতুর্থ আসমানের নিকটে পৌঁছিলেন এবং দরজা খুলতে বললেন। সেখানেও পূর্বের ন্যায় প্রশ্নোত্তরের পর শুভেচ্ছা স্বাগত জানিয়ে দরজা খোলা হল । ভিতরে প্রবেশ করে আমরা তথায় ইদ্রিস (আ.)-এর সাক্ষাৎ পেলাম । জিবরাইল(আ:) আমাকে তার পরিচয় করিয়ে সালাম করতে বললেন। আমি তাঁকে সালাম করলাম। তিনি সালামের উত্তর দিলেন এবং “সুযোগ্য ভ্রাতা ও সুযোগ্য নবী” বলে আমাকে মারহাবা জানালেন। অতঃপর জিবরাইল আমাকে নিয়ে পঞ্চম আসমানে পৌঁছিলেন এবং দরজা খুলতে বললেন। এই স্থানেও পূর্বের ন্যায় প্রশ্নোত্তর চলার পর শুভেচ্ছা ও মোবারকবাদ দানের সাথে দরজা খোলা হল। আমি ভিতরে পৌঁছিয়া হারুন (আ.)-এর সাক্ষাৎ পেলাম জিবরাইল আমাকে তার পরিচয় দানে সালাম করতে বললেন। আমি সালাম করলাম। তিনি আমার সালামের উত্তর দিলেন এবং “সুযোগ্য ভ্রাতা ও সুযোগ্য নবী” বলে আমাকে খোশ আমদেদ জানালেন। তারপর জিবরাইল আমাকে নিয়ে ষষ্ঠ আসমানের দরজায় পৌঁছিলেন এবং দরজা খুলতে বললেন । এস্থানেও পরিচয় জিজ্ঞাসা করা হলে জিবরাইল স্বীয় পরিচয় দান করলেন, অতঃপর সঙ্গে কে আছে জিজ্ঞাস করা হল। তিনি বললেন, মুহাম্মদ (সা.); বলা হল, তাঁকে তো নিয়ে আসার জন্য আপনাকে পাঠান হয়েছিল? জিব্রাঈল বললেন, হাঁ। তৎক্ষণাৎ শুভেচ্ছা ও মোবারকবাদ জানিয়ে দরজা খোলা হল। তথায় প্রবেশ করে মুসা (আ.)-এর সাক্ষাৎ পেলাম । জিবরাইল(আ:) আমাকে তার পরিচয় জ্ঞাত করে সালাম করতে বললেন। আমি তাঁকে সালাম করলাম। তিনি সালামের উত্তর প্রদান করলেন এবং “সুযোগ্য ভ্রাতা ও সুযোগ্য নবী” বলে আমাকে মোবারকবাদ জানালেন। যখন আমি এই এলাকা ত্যাগ করে যাইতে লাগলাম তখন মুসা (আ.) কাঁদছিলেন । তাঁকে কাঁদিবার কারণ জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বললেন, আমি কাঁদতেছি এই কারণে যে, আমার উম্মতে বেহেশত লাভকারীর সংখ্যা এই নবীর উম্মতের বেহেশত লাভকারীর সংখ্যা অপেক্ষা কম হবে অথচ তিনি বয়সের দিক দিয়ে যুবক এবং দুনিয়াতে প্রেরিত হয়েছেন আমার পরে। তারপর জিবরাইল(আ:) আমাকে নিয়ে সপ্তম আসমানের প্রতি আরোহণ করলেন এবং তার দ্বারে পৌঁছিয়া দরজা খুলতে বললেন । এস্থনেও পূর্বের ন্যায় সকল প্রশ্নোত্তরই হল এবং দরজা খুলে শুভেচ্ছা ও স্বাগত জানান হল। আমি ভিতরে প্রবেশ করলাম। তথায় ইবরাহিম (আ.)-এর সাক্ষাৎ লাভ হল। জিবরাইল আমাকে বললেন, তিনি আপনার (বংশের আদি) পিতা, তাঁকে সালাম করুন। আমি তাঁকে সালাম করলাম। তিনি আমার সালামের উত্তর দিলেন এবং “সুযোগ্য পুত্র, সুযোগ্য নবী” বলে মারহাবা ও মোবারকবাদ জানালেন।

অতঃপর আমি সিদরাতুল মোনতার নিকট উপনীত হলাম। (তা এক বড় প্রকাণ্ড কূল বৃক্ষবিশেষ) তার এক একটা কুল হজর অঞ্চলে তৈয়ারি (বড় বড়) মটকার ন্যায় এবং তার পাতা হাতীর কানের ন্যায়। জিবরাইল আমাকে বললেন, এই বৃক্ষটির নাম “সিদরাতুল মুনতাহা”। তথায় চারটি প্রবহমান নদী দেখতে পেলাম-- দুইটি ভিতরের দিকে প্রবাহিত এবং দুইটি বাইরের দিকে। নদীগুলির নাম সম্পর্কে আমি জিবরাইলকে জিজ্ঞাসা করলাম। তিনি বললেন, ভিতরের দুইটি বেহেশতে প্রবহমান (সালসাবিল ও কাওসার নামক) দুইটি নদী। আর বাহিরের দিকে প্রবহমান দুইটি হল (ভূ-পৃষ্ঠের মিসরে প্রবাহিত) নীল ও (ইরাকে প্রবাহিত) ফোরাত (নদী বা তাদের নামের মূল উৎস)। তারপর আমাকে “বায়তুল মা’মুর” পরিদর্শন করান হল। তথায় প্রতিদিন (এবাদতের জন্য) সত্তর হাজার ফেরেশতা উপস্থিত হয়ে থাকেন (যে দল একদিন সুযোগ পায় সেই দল চিরকালের জন্য দ্বিতীয় দিন সুযোগ প্রাপ্ত হয় না)।
অতঃপর (আমার সৃষ্টিগত স্বভাবের স্বচ্ছতা ও নির্মলতা প্রকাশ করে দেখাইবার উদ্দেশে পরীক্ষার জন্য) আমার সম্মুখে তিনটি পাত্র উপস্থিত করা হল। একটিতে ছিল সুরা বা মদ,অপরটিতে ছিল দুগ্ধ, আরেকটিতে মধু আমি দুগ্ধের পাত্রটি গ্রহণ করলাম। জিবরাইল(আ:) বললেন, দুগ্ধ সত্য ও খাঁটি স্বভাগত ধর্ম ইসলামের স্বরুপ; (সুতরাং, আপনি দুগ্ধের পাত্র গ্রহণ করে এটাই প্রমাণ করেছেন যে,) আপনি সত্যও স্বভাবগত ধর্ম ইসলামের উপর প্রতিষ্ঠিত আছেন এবং আপনার উসিলায় আপনার উম্মতও তার উপর থাকবে।

তারপর আমার শরিয়তে প্রত্যেক দিন পঞ্চাশ ওয়াক্ত নামাজ ফরজ হওয়ার বিধান করা হল। আমি ফেরার পথে মুসা (আ.) এর নিকটবর্তী পথ অতিক্রম করা কালে তিনি আমাকে জিজ্ঞাসা করলেন, বিশেষ আদেশ কী লাভ করেছেন ? আমি বললাম, পঞ্চাশ ওয়াক্ত নামাজ। মুসা (আ.) বললেন, আপনার উম্মত প্রতিদ্ন পঞ্চাশ ওয়াক্ত নমায আদায় করে যাইতে সক্ষম হবেনা। আমি,সাধারণ মানুষের স্বভাব সম্পর্কে অনেক অভিজ্ঞতা অর্জন করেছি এবং বণী ইস্রাঈল গণকে বিশেষভাবে পরীক্ষা করেছি; সুতরাং আপনি পরওয়ারদেগারের দরবারে আপনার উম্মতের জন্য এই আদেশ আরও সহজ করার আবেদন করুন। হযরত বলেন, আমি পরওয়ারদেগারের খাস দরবারে ফিরে গেলাম। পরওয়ারদেগার (দুইবারে পাঁচ পাঁচ করে)দশ ওয়াক্ত কম করে দিলেন। অত:পর আমি আবার মূসার নিকট পৌছালাম,তিনি পূর্বের ন্যায় পরামর্শই আমাকে দিলেন। আমি,পরওয়ারদেগারের দরবারে ফিরে গেলাম এইবারও (ঐরূপ)দশ ওয়াক্ত কম করে দিলেন। পুনরায় মূসার নিকট পৌছালে তিনি আমাকে এইবারও সেই পরামর্শই দিলেন। আমি পরওয়ারদেগারের দরবারে ফিরে গেলাম এবং (পূর্বের ন্যায়) দশ ওয়াক্ত কম করে দিলেন । এইবারও মূসা (আ:)-র নিকট পৌছালে পর তিনি আমাকে পূর্বের ন্যায় পরামর্শ দিলেন। আমি পরওয়ারদেগারের দরবারে ফিরে গেলাম, এইবার আমার জন্য প্রতি দিন পাঁচ ওয়াক্ত নির্দিষ্ট করে দেওয়া হল । এইবারও মূসার নিকট পৌছালে পর আমাকে তিনি জিজ্ঞাসা করলেন, কি আদেশ লাভ করেছেন? আমি বললাম, প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্ত নামাযের আদেশ প্রদান করা হয়েছে। মূসা বললেন, আপনার উম্মত প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্ত নামাযেরও পাবন্দী করতে পারবে না। আমি আপনার পুর্বেই সাধারণ মানুষের স্বাভাব সম্পর্কে অভিজ্ঞতা লাভ করেছি এবং বনী ইসরাঈলগণদের অনেক পরীক্ষা করেছি। আপনি আবার পরওয়ারদেগারের দরবারে ফিরে আরও কম করার আবেদন জানান। হযরত বলেন, আমি মুসাকে বললাম, পরওয়ারদেগারের দরবারে অনেক বার আসা-যাওয়া করেছি; এখন আবার যাইতে লজ্জা বোধ হয়, আর যাব না বরং পাঁচ ওয়াক্তের উপরই সন্তুষ্ট থাকলাম এবং তা বরণ করে নিলাম। হযরত বলেন, অতপর যখন আমি ফেরার পথে অগ্রসর হলাম তখন আল্লাহ তাআলার তরফ হতে একটি ঘোষণা জারি করা হল- (বান্দাদের প্রাপ্য সওয়াবের দিক দিয়ে) “আমার নির্ধারিত সংখ্যা (পঞ্চাশ) বাকী রাখিলাম, (আমার পক্ষে আমার বাক্য অপরিবর্তিতই থাকবে) অবশ্য কর্মক্ষেত্রে বান্দাদের পক্ষে সহজ ও কম করে দিলাম । (অর্থাৎ কর্মক্ষেত্রে পাঁচ ওয়াক্ত থাকল, কিন্তু সওয়াবের দিক দিয়ে পাঁচে পঞ্চাশ গণ্য হবে।) প্রতিটি নেক আমলে দশ ণ্ডণ সওয়াব দান করব।”

এভাবে শবে মেরাজ মুসলিম উম্মার জন্যে গুরুপ্তবহন করে আসছে, আল্লাহ সুবহানাতায়ালা আমাদের সকলের জানার এবং পড়ার তৌফিক দান করুন, আমিন।




আপনার মূল্যবান মতামত দিন: