যশোরের মণিরামপুর উপজেলার জি, এইচ পাড়দিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৪০ লাখ টাকার মূল্যের গুরুত্বপূর্ণ জমি কবলা দলিলের বিক্রি করে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে অত্র প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে। আর এই জমি কেনা হয়েছে ম্যানিজিং কমিটির সভাপতির স্ত্রী, শ্যালিকা ও শ্যালকের নামে। সেই জমির উপর সম্প্রতি শপিং মল নির্মাণের কাজ শুরু করেছেন সভাপতি। এ ঘটনার এলাকাবাসীর মধ্যে তীব্র ক্ষোবের সৃষ্টি হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর ওই বিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি ও স্থানীয় ওয়্যার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য ইউনুচ আলীসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিরা লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। দায়েরকৃত অভিযোন সূত্রে জানা যায়, পাড়দিয়া মৌজার খতিয়ান নম্বর ৩৬২, এস, এ দাগ ৩৮৭,৩৮৮ হাল দাগ ১১২৬,১১২৭ এ ২২ শতক জমির মধ্যে থেকে ১০ শতক জমি প্রধান শিক্ষক আব্দুল গফুর ও ম্যানিজিং কমিটির সভাপতি কামরুজ্জামান পরস্পর যোগসাজসে কথিত রেজুলেশন করে সভাপতির স্ত্রী সেলিনা খাতুন বেবি, শ্যালিকা হোসনে আরা খাতুন হেনা, এবং শ্যালক শরিফুল ইসলাম বিল্লালের নামে কবলা দলিলের মাধ্যমে বিক্রি করে দিয়েছেন। তবে প্রশ্ন উঠেছে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও ম্যানিজিং কমিটির সভাপতির খুঁটির জোর কোথায়? সম্প্রতি পাড়দিয়া বাজারের অতি গুরুত্বপূর্ণ স্থানে থাকা ওই জমির উপর শপিং মল নির্মাণ কাজ অনেক এগিয়ে যাওয়ার জমি বিক্রির বিষয়টি ফাঁস হয়ে পড়ে। এতে এলাকাবাসীর মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। এই ঘটনার বাদী হয়ে সাবেক ইউপি সদস্য ইউনুচ আলী, সাবেক সভাপতি ইলিয়াস হোসেনসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিরা মণিরামপুর উপজেলার নির্বাহী অফিসার কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে তিনি সভাপতি ও প্রধান শিক্ষককে তার কার্যালয়ে ২৩ নভেম্বর হাজির হবার নোটিশ পাঠিয়েছেন। এ বিষয়ে সভাপতি কামরুজ্জামান জমি লিখে নেয়ার অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করে বলেছেন, জমিটি বিক্রির করা খুবই প্রয়োজন ছিল কিন্তু কোন ক্রেতা না পাওয়ার তিনি তার নিকটজনদের নামে কিনেছেন। প্রধান শিক্ষক আব্দুল গফুর বিশ্বাস বলেন, ওই জমি বিক্রি করে বিদ্যালয়ের নামে অন্য জমি কেনা হয়েছে। বিদ্যালয় পরিচালনা পর্যদের অভিভাবক সদস্য নজরুল ইসলাম বলেন, জমির বিক্রির বিষয়টি তারা কেউ জানেননা। প্রধান শিক্ষক এবং সভাপতি যোগসাজসে এ অপরাধ করেছেন।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: