কেশবপুরে মালিকের বিরুদ্ধে ভাড়াটিয়ার দোকান ভাংচুর, লুটপাট ও দখল প্রচেষ্টার অভিযোগ

অলিয়ার রহমান | প্রকাশিত: ৮ জুলাই ২০২৩ ০২:৩৫

অলিয়ার রহমান
প্রকাশিত: ৮ জুলাই ২০২৩ ০২:৩৫

ছবিঃ নিউজ

অলিয়ার রহমান,কেশবপুর প্রতিনিধিঃ


কেশবপুর উপজেলার মঙ্গলকোট বাজারে মালিকের বিরুদ্ধে ভাড়াটিয়ার দোকান ভাংচুর, লুটপাট ও দখলের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। এনিয়ে উভয়পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। যে কোন সময় রক্তাক্ত সহিংসতার ঘটনা ঘটার আশংকা করছেন ওই বাজারের ব্যবসায়ীরা।
জানা গেছে, উপজেলার মঙ্গলকোট গ্রামের মৃত ছাদের আলী সরদারের ছেলে আব্দুস সালাম সরদার ৮৪ নং বসুন্তিয়া মৌজার আর এস ৩৪৫ দাগের সাড়ে ৭ শতক জমি মালিক মিজানুর রহমানের নিকট থেকে গত ৪ জুন হতে পরবর্তী ৫ বছরের জন্য চুক্তিপত্রের মাধ্যমে ভাড়া নিয়ে সমিলের ব্যবসা পরিচালনা করে আসছেন। একটি কুচক্রী মহলের ইন্ধনে বৃহস্পতিবার সকালে মিজানুর রহমানের নেতৃত্বে তার ভাই আমিনুর রহমান, মোস্তাফিজুর রহমানসহ একটি রাজনৈতিক দলের যুব সংগঠনের শতাধিক নেতাকর্মীদের ভাড়া করে এনে সন্ত্রাসী স্টাইলে আব্দুল সালাম সরদারের সমিলের ঘর ভাংচুর লুটপাট ও দখলের চেষ্টা করে। দখলকারীরা সমিলের মালামাল ভাংচুর, নৌকা তৈরির সেড, কাঠের গোডাউন ভাংচুর করে এবং ক্যাশ ঘরের তালা ভেঙ্গে ২ লক্ষ ৫৫ হাজার টাকা লুটপাটসহ ৫ লক্ষধিক টাকার ক্ষতি করেছে। এছাড়াও হামলাকারীরা ভাড়াটিয়া আব্দুস সালামের ঘর ভাংচুর করে নতুন করে ঘর নির্মানের চেষ্টা করে। খবর পেয়ে কেশবপুর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছালে দখলকারীরা পালিয়ে যায়। এসময় বাজারের ব্যবসায়ীদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
ভাড়াটিয়া আব্দুস সালাম বলেন, মিজানুর রহমানের নেতৃত্বে একটি রাজনৈতিক দলের যুব সংগঠনের শতাধিক নেতাকর্মীদের ভাড়া করে এনে আমার মিল ভাংচুর ও লুটপাট এবং দখলের চেষ্টা করা হয়েছে। এতে নগত ২ লক্ষ ৫৫ হাজার টাকা সহ ৫ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানান তিনি।
এবিষয়ে জমির মালিক মিজানুর রহমান বলেন, আমি ও আমার স্ত্রী রেহেনা পারভীন ওই জমি আব্দুস সালামকে ৫ বছরের জন্য লিজ দিয়েছিলাম। ও্ই জমিতে ঘর নির্মান করার জন্য জায়গা ছেড়ে দিতে বলা হলেও তারা জায়গা ছাড়েনি।
মঙ্গলকোট ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি বজলুর রহমান বলেন, ওই জমি ইউনিয়ন পরিষদে সালিশের মাধ্যমে চেয়ারম্যান ও উভয়পক্ষের উপস্থিতিতে অব্দুস সালামকে ২০২৭ সাল পর্যন্ত লিজ দেয়া হয়েছিল। ভাংচুর, লুটপাট ও দখলের চেষ্টার বিষয়টি তিনি কেশবপুরের এমপিকে জানাবেন বলে জানান।
কেশবপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আবুল হোসেন বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করা হয়েছে। উভয়পক্ষের কাগজপত্র দেখে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।




আপনার মূল্যবান মতামত দিন: