মণিরামপুরে গ্রুপিং রাজনীতির শিকার ফিরোজ আহমেদ; সাহস পাচ্ছে না চেয়ারম্যান প্রার্থী হওয়ার

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ৭ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ১৬:৩৬

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ৭ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ১৬:৩৬

ছবি সমসাময়িক
 

বিশেষ প্রতিনিধি।।

আগামী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে মনিরামপুর উপজেলার ৩নং ভোজগাতী ইউনিয়নের সম্ভব্য চেয়ারম্যান প্রার্থী তরুণ সমাজ সেবক ফিরোজ আহমেদ স্থানীয় গ্রুপিংয়ের রাজনীতির শিকার হয়ে দীর্ঘদিন দরে এলাকা ছাড়া। কি কারণে এলাকা ছাড়া আছেন প্রশ্নের জবাব না দিয়ে বিষয়টি এড়িয়ে যান তিনি। তবে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন'কে সামনে রেখে এলাকায় যথেষ্ট সাড়া থাকার পরও নির্বাচন করার সাহস পাচ্ছেন না বলে জানালেন সাবেক আ.লীগের দূর'সময়ের ত্যাগী এই ছাত্রনেতা ফিরোজ আহমেদ। বর্তমান ৩নং ভোজগাতী ইউনিয়ন যুবসমাজের আইকন ফিরোজ আহমেদ এর দাদা মরহুম "সামসুর রহমান গাজী" এবং বাবা মরহুম "রবিউল ইসলাম গাজী"ও সুনামের সাথে আমৃত্য আওয়ামীলিগের রাজনীতি করেগেছেন। বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ত্যাগী এই ছাত্রনেতা ১৯৯৮ সালে যশোর জেলার মনিরামপুর উপজেলার ৩নং ভোজগাতী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের যুগ্ম-আহবায়ক এবং ২০০০ সালে ইউনিয়ন ছাত্রলীগের আহ্বায়কের দায়িত্ব পালন করেছেন। পরবর্তীতে উপজেলা ছাত্রলীগ এবং বর্তমান তিনি মনিরামপুর থানা যুবলীগের সাথে জড়িত আছেন।   মানুষ বেঁচে থাকে তার কর্মে, ভাল কাজ করে-মানুষের হৃদয় নিংড়ানো ভালবাসা নিয়েই চিরস্মরনীয় হবার ইচ্ছা নিয়ে প্রতিদিন কাকডাকা ভোর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত এলাকার মানুষের সাথে মিলেমিশে দলমতের বাইরে মতবিনিময় গণসংযোগ ও প্রচার-প্রচারনা চালিয়েছেন এবং  বিভিন্ন জাতীয় নির্বাচনের অংশ গ্রহণ করেছে দলীয় প্রার্থীর হয়ে । এবার তিনি নিজেই প্রার্থী হওয়ার আশা প্রকাশ করে হতাশায় ভুগছেন। সম্ভব্য এই চেয়ারম্যান প্রার্থী ফিরোজ আহমেদ বলেন, দলীয় উর্ধতন নেতৃবৃন্দসহ বিশিষ্ট্য ব্যবসায়ীদের আর্শীবাদ এবং সমর্থন এলাকায় আমার জনপ্রিয়তা সবার উপরে কিন্তু আমি গ্রুপিংয়ের রাজনীতির কারণে সাহস করতে পারছিনা নির্বাচন করার। কেননা নৌকার বাইরে যেয়ে নির্বাচন করা আমার পক্ষে সম্ভব হবে না। কিন্তু আমি যদি নৌকা পায় তাহলে নৌকা প্রতিক নিয়ে বিপুল ভোটে জয়লাভ করব এবং সাধারণ মানুষের দোরগোড়ায় নাগরিক সেবা পৌঁছে দিব। চেয়ারম্যান হিসেবে নয়-একজন সেবক হিসেবে ইউনিয়ন বাসীর পাশে থেকে কাজ করার দৃঢ় অঙ্গিকার ব্যক্ত করছি। তিনি আরো বলেন, ছাত্রজীবন থেকে এ এলাকার জনগণের সুখে-দূঃখে পাশে থেকেছি, আগামীতে সর্বক্ষনিক তাদের পাশে থেকে সকল দূঃখ-কষ্টের অংশীদার হতে এবং ইউনিয়ন বাসির একজন সেবক হতে একবারের জন্য আমাকে যদি দল নৌকা প্রতিক দিতেন তাহলে আমি দলের কাছে চিরকৃতজ্ঞ থাকতাম। মানুষ বেঁচে থাকে তার কর্মে, আমি ভাল কাজ করে-সেই ভালবাসা নিয়েই মানুষের মাঝে বেঁচে থাকতে চাই। আমি এলাকার সেবক হতে চাই, আমাকে সুযোগ দেওয়ার অনুরোধ রইল।


আপনার মূল্যবান মতামত দিন: