বিদ্যানন্দকাটি ইউনিয়নে নৌকার মাঝি হতে চাই বিএম ইব্রাহিম হোসেন

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ২১ অক্টোবর ২০২১ ১৭:০০

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ২১ অক্টোবর ২০২১ ১৭:০০

ছবি সমসাময়িক

স্বাধীন মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ (কেশবপুর)।। 

কেশবপুর উপজেলার দক্ষিণে ঐতিহ্যবাহী ৪ নম্বর বিদ্যানন্দকাটি ইউনিয়ন অবস্থিত। কয়েক বছর আগে বৃহত্তর এই ইউনিয়নটি ভেঙ্গে ২টি ইউনিয়ন গঠিত হয়। আসন্ন ইউপি নির্বাচনকে সামনে রেখে দৌড় ঝাঁপ করে বেড়াচ্ছেন আনেকেই। ইতিমধ্যে অত্র ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের আহ্বায়ক বিএম ইব্রাহিম হোসেন ইউনিয়নের প্রত্যেকটা ওয়ার্ডে, গ্রামে, পাড়ায়, মহল্লায় ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের নেতা কর্মী, ভোটার সমর্থকদের সাথে নিয়ে সবার কাছে দোয়া প্রার্থণা করে বেড়াচ্ছেন। তিনি বিদ্যানন্দকাটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদে আ”লীগের দলীয় মনোয়ন প্রত্যাশী। তিনি নিরালস ভাবে শেখ হাসিনা সরকারের উন্নয়ন, আগ্রগতি, জনকল্যাণমূলক সকল কাজ বাস্তবায়ন করাসহ বিভিন্ন সরকার বিরোধী গুজব প্রতিহত করে চলেছেন। আস্থা অর্জন করেছেন এলাকাবাসির।

ইব্রাহিম সম্পর্কে কিছু কথা, ছাত্র রাজনীতি থেকে তিলে তিলে বেড়ে উঠা বিএম ইব্রাহিম হোসেন দলের পরিক্ষীত সৈনিক। তিনি ১৯৯৭-২০০৩ সাল পর্যন্ত বৃহত্তর বিদ্যানন্দকাটি ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ২০০৩-২০০৭ সাল পর্যন্ত ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি হিসাবে সংখ্যাগরিষ্টাতা অর্জন করেন। ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক হিসাবে ২০১৩-২০১৬ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ২০১৪ সাল আজ অবধি উপজেলা আওয়ামীলীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য। ২০১৯ সাল থেকে ইউনিয়ন আ”লীগের আহ্বায়ক হিসাবে দায়িত্বের সাথে কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি ২০১৩-২০২১ সাল পর্যন্ত উপজেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবকলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ছিলেন। তিনি ২০২০ সালে সংসদ নিবার্চনে ইউনিয়নে নিবার্চন পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক হিসাবে দায়িত্ব পালন করে দক্ষতার পরিচয় দেন। তার স্ত্রী রেহেনা পারভীন কেশবপুর পৌর যুব মহিলালীগের স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক হিসাবে ২০১৮ সাল থেকে দায়িত্ব পালন করছেন। তার শ্বশুর উপজেলা আ”লীগের সহ সভাপতি এবং ইউনিয়ন আ”লীগের সভাপতি ছিলেন। বিএম ইব্রাহিম হোসেন বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের সাথে জড়িত থেকে সমাজিক উন্নয়নমূলক কাজ করে যাচ্ছেন। বিরোধী দল রাষ্টীয় ক্ষমতায় থাকাকালিন সময় তিনি অনেকবার জেল, জুলুম, অত্যচারের স্বীকার হয়েছেন। পারিবারিক ও সামাজিব ভাবে পড়েছেন রোষানলে। যশোর সরকারি সিটি কলেজে ছাত্র রাজনীতি করাকালিন সময়ে ছাত্রদল, শিবির দ্বারা নির্যাতিত হয়েছিলেন। তারপরও তিনি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ থেকে পিছুপা হয়নি। মহামারি করোনা ভাইরাসে যখন গোটা দেশব্যাপি স্থবির তখন তিনি ইউনিয়নবাসির পাশে দাঁড়িয়েছেন। বিনামূল্যে খাদ্য সামগ্রিসহ স্বাস্থ্য উপকরণ বিতরণ করেছেন। উলেখ্য, ২০১৬ সালে ২৮ শে মে ইউপি নির্বাচনে জননেত্রী শেখ হাসিনা কতর্ৃক নৌকা প্রতিক লাভ করেন। কিন্তু দুঃখের বিষয় কিছু কুচক্রী মহল তার সরলতার সুযোগ নিয়ে গ্রুপিং, লবিং সৃষ্টি করে দলীয় প্রতিক নৌকার সম্মান ক্ষুন্ন করতে দ্বিধাবোধ করেন না। নির্বাচনে অংশগ্রহণ, দলীয় প্রতিক লাভ, জনপ্রিয়তা, বিজয়, বিদ্যানন্দকাটি ইউনিয়ন ঘিরে পরিকল্পনার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, নেত্রী দলীয় মনোনয়ন দিলে ৪ নম্বর বিদ্যানন্দকাটি ইউনিয়ন পরিষদকে একটি মডেল, মাদক, সন্ত্রাস, ব্যভিচারমুক্ত ইউনিয়ন হিসাবে গড়ে তুলবেন। ইউনিয়ন বাসির নাগরিক সেবা নিশ্চত করাসহ, শান্তি ও স্বস্তির ইউনিয়ন গড়ে তুলবেন এবং বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নে সোনার বাংলা গড়তে, শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করবেন।


আপনার মূল্যবান মতামত দিন: