নৌকার কর্মীদের হামলায় দেড়মাস হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে ফিরলেন চেয়ারম্যান লিটন

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ২৫ ডিসেম্বর ২০২১ ০৮:০৭

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ২৫ ডিসেম্বর ২০২১ ০৮:০৭

ছবি সমসাময়িক

মণিরামপুর(যশোর) প্রতিনিধি।।

যশোরের মণিরামপুরে ইউপি নির্বাচনে হরিদাসকাটি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী আলমগীর কবির লিটন প্রতিপক্ষ নৌকার প্রার্থীর কর্মীসমর্থকদের হামলায় গুরুতর আহত হয়ে ঢাকার একটি হাসপাতালে ভর্তি হন। হাসপাতালে জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষনে থাকা অবস্থায় ২৮ নভেম্বর নির্বাচনে নৌকার প্রার্থী বিপদ ভঞ্জন পাড়েকে শোচনীয় পরাজয়ের মধ্য দিয়ে তিনি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। চিকিৎসার দেড়মাস পর সুস্থ হয়ে হাসপাতাল থেকে ছাড়াপেয়ে বৃহস্পতিবার তিনি বাড়িতে আসেন। ঢাকা থেকে বিমানযোগে সকাল নয়টায় যশোর বিমানবন্দরে পৌছলে হরিদাসকাটির হাজারো মানুষ নব নির্বাচিত চেয়ারম্যান আলমগীর কবির লিটনকে সংবর্ধনা ও মটরশোভাযাত্রার মধ্য দিয়ে এলাকায় নিয়ে যান। আলমগীর কবির লিটন মানুষের ভালবাসায় সিক্ত হয়ে অশ্রুসজল কন্ঠে দলমত নির্বিশেষে এলাকাবাসীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে সকলকে সাথে নিয়ে সন্ত্রাসমুক্ত ইউনিয়ন গড়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। এসময় উপস্থিতিরাও তার প্রস্তাবে সম্মতিপ্রকাশ করে সহযোগীতার আশ্বাস দেন। যশোর বিমানবন্দরে আলমগীর কবির লিটনকে সংবর্ধনার সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন হরিদাসকাটির সাবেক চেয়ারম্যান নিরঞ্জন বিশ্বাস, কেএইচএন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবদুল মান্নান, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক কালিবক্সি বিশ্বাস, অসিম বিশ্বাস, ডা: বৈকান্ত বিশ্বাস, সুকুতি বিশ্বাস, আবদুল মোমিনসহ গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। উল্লেখ্য ৯ নভেম্বর রাত আটটার দিকে হোগলাডাঙ্গা বাজারে নৌকার প্রার্থীর কর্মীসমর্থকদের হামলায় গুরুতর আহত হয় আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী আলমগীর কবির লিটন ও তার ছোটভাই জাহাঙ্গীর কবির। ওই রাতেই তাদেরকে যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে লিটনের অবস্থার সংকটপন্ন হওয়ায় উন্নত চিকিৎসারা জন্য তাকে ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সন্ত্রাসীদের হামলায় লিটনের মস্তিষ্কের ভেতর রক্তক্ষরন দেখা দেয়। ফলে চিকিৎসকরা তার মস্তিষ্কে কয়েকদফা অস্ত্রোপচার করেন। অবশ্য হামলার ঘটনায় আলমগীর কবির লিটনের পিতা অবসরপ্রাপ্ত কলেজ শিক্ষক আবদুর রশিদ বাদি হয়ে নৌকার প্রার্থীর বেশ কয়েকজন কর্মীর নামে মামলা করেন। পুলিশ এর মধ্যে দুইজনকে আটক করে। ২৮ নভেম্বর অনুষ্ঠিত নির্বাচনে দলমত নির্বিশেষে এলাকাবাসী সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে নৌকার প্রার্থী ইউপি চেয়ারম্যান বিপদ ভঞ্জন পাড়েকে বয়কট করেন। ফলে ভোটাররা নৌকার প্রার্থীকে শোচনীয় পরাজয়ের মধ্য দিয়ে বিদ্রোহী প্রার্থী আলমগীর কবির লিটনকে বিপুল ভোটের ব্যবধানে চেয়ারম্যান নির্বাচিত করেন।


আপনার মূল্যবান মতামত দিন: