মনিরামপুরে আ.লীগের দু'গ্রুপের সহিংসতার ঘটনায় মামলা হলেও মামলা হয়নি মূল আসামির নামে

মণিরামপুর থেকে।। | প্রকাশিত: ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১১:১৯

মণিরামপুর থেকে।।
প্রকাশিত: ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১১:১৯

ফাইল ফটো।

স্টাফ রিপোর্টার,মনিরামপুর(যশোর)॥ যশোরের মনিরামপুরে নাগোরঘোপ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠান চলাকালে প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্যের উপস্থিতিতে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ভাঙচুরসহ সহিংস ঘটনায় ছয় জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরো ২৫ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা করা হয়েছে বলে জানাযায় তবে মামলায় নাম উল্লেখ করা হয়নি স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আলমগীর ও তার ছোট ভাই জাহাঙ্গীরের।

প্রত্যক্ষদর্শী, পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, বুধবার নাগোরঘোপ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও নবনির্মিত চারতলা ভবন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। বিদ্যালয় চত্বরে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সন্ধ্যার পর প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হন পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্য। এ সময় শ্যামকুড় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান মনি এবং বর্তমান চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেনের কর্মী-সমর্থকরা প্রতিমন্ত্রীকে স্বাগত জানিয়ে স্লোগান দিতে শুরু করেন। অনুষ্ঠান শুরু হলে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান মনি এবং বর্তমান চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেনের কর্মী-সমর্থকরা প্রতিমন্ত্রীকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানাতে এগিয়ে যান মঞ্চের দিকে। এসময় দুই গ্রুপের কর্মী সমর্থকদের মধ্যে প্রথমে ধাক্কাধাক্কি ও হাতাহাতি শুরু হয়। একপর্যায়ে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া এবং চেয়ার ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন শিক্ষক জানান, ভাংচুরের পর বিদ্যালয়ের মাঠে বেশ কয়েকটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। দুই পক্ষের সহিংসতার সময় সেখানে চরম উত্তেজনা এবং আতংক ছড়িয়ে পড়ে।
এ সময় পুলিশ প্রতিমন্ত্রীকে নিরাপদ স্থানে নিয়ে যায়। পরে তড়িঘড়ি করে অনুষ্ঠান শেষ করে কড়া পুলিশি প্রহরায় স্থান ত্যাগ করেন প্রতিমন্ত্রী।

প্রধান শিক্ষক আবদুল মজিদ স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন ও তার ছোট ভাই জাহাঙ্গীর এর নাম উল্লেখ করে মামলা করতে সাহস না পেলেও আনন্দ টিভির সাক্ষাৎকারে তিনি তাদের নাম প্রকাশ করে বলেন আমার চেনা জানা ব্যাক্তি দের মধ্যে বর্তমান চেয়ারম্যান ও তার ভাই মঞ্চ ভাঙচুর করেছে। সংঘর্ষ এবং ভাঙচুরের এই ঘটনায় তিনি বাদি হয়ে ওই রাতেই তবিবুর রহমান, আনিচুর রহমান, মিজানুর রহমান, বিল্লাল হোসেন, রবিউল ইসলাম এবং সিরাজুল ইসলামের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরো ২৫ ব্যক্তির বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন।
মামলার সত্যতা নিশ্চিত করে মনিরামপুর থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ মনিরুজ্জামান জানান, আসামিদের আটকের জন্য এলাকায় পুলিশি অভিযান শুরু হয়েছে।




আপনার মূল্যবান মতামত দিন: