১০ বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামি একরাম গ্রেপ্তার: ধরা ছোঁয়ার বাইরে শীর্ষ মাদক কারবারি কুতুব ও নিজাম

সেলিম চৌধুরী পটিয়া প্রতিনিধি, চট্টগ্রাম।। | প্রকাশিত: ১৯ মার্চ ২০২৩ ০৫:০৩

সেলিম চৌধুরী পটিয়া প্রতিনিধি, চট্টগ্রাম।।
প্রকাশিত: ১৯ মার্চ ২০২৩ ০৫:০৩

দৈনিক সমসাময়িক ফটো।

চট্টগ্রামের পটিয়ায় ১০ বছরের সাজাপ্রাপ্ত অস্ত্র মামলার প্রধান আসামী মো: একরাম(৩৭) কে গ্রেফতার করেছে পটিয়া থানার পুলিশ। শুক্রবার রাতে উপজেলার হাইদগাঁও ইউনিয়নের সাদেক সওদাগরের বাড়ি এলাকায় একটি মাহফিল চলাকালীন সময়ে পটিয়া থানার এসআই মনোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে তাকে গ্রেফতার করা হয়। সে উপজেলার হাইদগাঁও ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড এলাকার আবুল কাসেমের পুত্র।
স্থানীয়সূত্রে জানা যায়, হাঈদগাঁও মাহদাবাদ এলাকার ইকরাম ওরফে খুলু দীর্ঘদিন ধরে পাহাড়ি সন্ত্রাসীদের সোর্স হিসেবে কাজ করে আসছিল। স্থানীয় বন মালিক ও ভিত্তশালীদের তথ্য পাঁচার করে তাদের থেকে মুক্তিপণ আদায়ে সহযোগিতা করে আসছিল। এছাড়াও সে উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় মদ সরবরাহ ও অস্ত্র সরবরাহ করে আসছিল। নিজের আধিপত্য বিস্তার করে উপজেলায় মাদকের সর্গরাজ্য গড়ে তুলেন ইকরাম । ফলে এলাকার উঠতি বয়সের ছাত্র ও তরুণ যুবসমাজ ধ্বংসের দিকে ধাবিত হচ্ছে।এ বিষয়ে পটিয়া থানার এস.আই মনোয়ার হোসেন জানান, একরামের বিরুদ্ধে স্থানীয়রা বিভিন্ন সময় থানায় অভিযোগ করে। আমি তাকে দীর্ঘদিন ধরে গ্রেফতার করার জন্য অভিযানে পরিচালনা করলেও তাকে ধরতে ব্যার্থ হয়। সর্বশেষ শুক্রবার রাতে গোপণ সংবাদের ভিত্তিতে রুদ্ধশ্বাস ২ঘন্টার অভিযান শেষে তাকে আমরা গ্রেফতার করি। তার বিরুদ্ধে অস্ত্র মামলায় ১০ বছরের সাজা আছে। এছাড়াও মাদক মামলা, মারামারি সহ অগ্নিসংযোগের একাধিক মামলা রয়েছে। তিনি আরো জানান, একরাম প্রাথমিকভাবে স্বীকার করেছে তার মদের ডিলার আছে। পাহাড়ি সন্ত্রাসীদের সোর্স হিসেবে সে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে আসছে। অস্ত্র, গোলা বারদ সহ দেশীয় অস্ত্র আছে তার কাছে। আমরা তাকে আদালতে পাঠিয়েছি। রিমান্ডে আনার জন্য আদালতে আবেদন করব এবং তার সাথে যারা জড়িত তাদেরকেও আইনের আওতায় আনা হবে বলে ওসি রেজাউল করিম মজুমদার জানান। এদিকে হাইদগাও ইউনিয়ন চিহ্নত মাদক ব্যাবসায়ী অস্ত্রধারী কুতুবউদ্দিন ও নিজাম উদ্দিন দীর্ঘদিন পুলিশের ধরা ছুঁয়ার বাইরে রয়েছে। এলাকায় আধিপত্য বিস্তার ও মাদক কারবারি কুতুবউদ্দিন ও নিজাম উদ্দিন কে আইনের আওতায় এনে তাদের কাছ থেকে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।




আপনার মূল্যবান মতামত দিন: