যশোরের মনিরামপুরে স্কুল ছাত্র ফাইম হত্যাচেষ্টার ঘটনায় কিশোর গ্যাংয়ের চার সদস্যের নাম উল্লেখসহ নয় জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হলেও পুলিশ কাউকে আটক করতে পারেনি। উপরোন্ত অভিযোগ রয়েছে মামলা প্রত্যাহারের জন্য সন্ত্রাসীরা বাদী ও তার পরিবারকে প্রতিনিয়ত চাপ প্রয়োগ সহ জীবননাশের হুমকি দিচ্ছে। ফলে মামলার বাদী আনসার ব্যাটেলিয়ান সদস্য ও তার পরিবারবর্গ চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছে।
এলাকাবাসী জানায়, উপজেলার রোহিতা এলাকায় গাঙ্গুলিয়ার সোবহান উদ্দিনের নেতৃত্বে সম্প্রতি গড়ে উঠেছে একটি কিশোর গ্যাং। আর এ গ্যাংয়ের সদস্য রয়েছে জিহাদ হোসেন, হৃদয় হোসেন, চয়ন হোসেনসহ এলাকার অন্তত: ১৫ জন। এসব সদস্যদের অধিকাংশই মাদকাসক্ত। মুড়াগাছা গ্রামের রিপন হোসেন, মদনপুরের জাহিদ হোসেন, স্কুল শিক্ষক মহিউদ্দিন আহমেদসহ এলাকার বিভিন্ন শ্রেণীপেশার মানুষ অভিযোগ করেন, সোবহানের নেতৃত্বে গড়ে ওঠা কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাশে অবস্থান করে ছাত্রীদের উত্যক্ত করে। এছাড়াও তারা চুরি ছিনতাইসহ বিভিন্ন অপরাধের সাথে যুক্ত রয়েছে। মুড়াগাছা গ্রামের আনসার ব্যাটেলিয়ান সদস্য ফারুক হোসেন অভিযোগ করেন গত ২৯ ফেব্রæয়ারি সালামতপুর মাদ্রাসার ওয়াজমাহফিলে যোগ দিয়ে রাত সাড়ে ১১ টার দিকে তার ছেলে সপ্তম শ্রেণীর ছাত্র ফাইম হোসেন বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হয়। পথিমধ্যে গাঙ্গুলিয়ার মান্দারতলায় পৌছলে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্য রাসেল, চয়ন, হৃদয়, জিহাদসহ ৯/১০ জন তার গতিরোধ করে পকেটে থাকা এক হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে।
এ সময় ফাইম বাধা দিয়ে চিৎকার শুরু করলে সন্ত্রাসীরা বেধড়ক মারপিট এবং মাথায় ছুরিকাঘাতের পর জবাই করার চেষ্টা করে। তখন আশপাশের লোকজন ধেয়ে আসলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। পরে রক্তাক্ত অবস্থ্য়া ফাইমকে উদ্ধারের পর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় ফাইমের পিতা আনসার ব্যাটেলিয়ান সদস্য ফারুক হোসেন বাদি হয়ে ৬ মার্চ কিশোর গ্যাংয়ের সদস্য জিহাদ হোসেন, হৃদয় হোসেন, রাসেল হোসেন, চয়ন হোসেনের নাম উল্লেখসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে হত্যা চেষ্টার অভিযোগে থানায় মামলা করেন। কিন্তু পুলিশ এ পর্যন্ত কাউকে আটক করতে পারেনি। স্কুল ছাত্র ফাইমের পিতা অভিযোগ করেন মামলা প্রত্যাহারের জন্য সন্ত্রাসীরা প্রতিনিয়ত তাকেসহ পরিবারের সদস্যদের চাপ প্রয়োগ সহ জীবননাশের হুমকি দিচ্ছে। মামলার তদন্তকারী অফিসার এসআই প্রসঞ্জিত মল্লিক জানান, আসামিরা সব পলাতক থাকায় আটক করা সম্ভব হচ্ছেনা। মনিরামপুর থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) মেহেদী মাসুদ জানান, আসামিদের আটকের জন্য পুলিশি অভিযান অব্যাহত আছে। আশা করা হচ্ছে দ্রুত সময়ের মধ্যে আটক করা সম্ভব হবে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: