ফকিরহাটে গৃহবধুর জুলন্ত লাশ উদ্ধার: হত্যা আত্মহত্যা নিয়ে চলছে নানা গুঞ্জন

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ৭ মার্চ ২০২১ ১২:১৯

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ৭ মার্চ ২০২১ ১২:১৯

ছবি সমসাময়িক
  মোঃ মানছুর রহমান (জাহিদ)।। বাগেরহাটের ফকিরহাটে রুপা বেগম (৩৫) নামের এক গৃহবধুর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে ফকিরহাট মডেল থানা পুলিশ।তবে কেউ বলছে হত্যা আবার কেউ বলছে আত্মহত্যা। রুপা বেগম (৩৫) উপজেলার ব্রাহ্মণরাকদিয়া এলাকার মৃত গোলাম রসুলের ছেলে মোস্তাক শেখ এর স্ত্রী।জানা যায়,এদিন আছরের নামাজের পর রুপা বেগম (৩৫) এর তিন কন্যা সন্তানের কান্নার আওয়াজ শুনে শেখ শহিদুল ইসলামের স্ত্রী সাফিয়া বেগম (৩০) এগিয়ে আসলে রুপা বেগম (৩৫) কে ঘরের আড়ার সাথে দড়িতে ঝুলে থাকতে দেখে।ততক্ষণে রুপে বেগম (৩৫) মৃত্যুবরণ করেন। এমন অবস্থা দেখে সাফিয়া বেগম বাড়ির লোকজনকে ডাকে।এদিকে আত্মহত্যার খবর পেয়ে ফকিরহাট মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ আবু সাইদ মোঃ খায়রুল আনাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে।পরে মরদেহ উদ্ধার করে ফকিরহাট মডেল থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। ফকিরহাট মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ আবু সাইদ মোঃ খাইরুল আনাম বলেন,খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করি।প্রাথমিক সুরতহালে তেমন কোন আঘাতের চিহ্ন দেখা যায়নি। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ পাঠানো হয়েছে।ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসলে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।এদিকে এই ঘটনার পর থেকে রুপা বেগমের স্বামী মোস্তাক শেখ পলাতক রয়েছে। রুপা বেগমের বড় ভাই রাজু আহম্মেদ বলেন,মোস্তাক শেখ এর সাথে আমার বোনের পারিবারিক ভাবে বিবাহ হয় ১৮ বছর আগে।তারপর মোস্তাক শেখ আমার বোনকে নানান ভাবে নির্যাতন চালায়।যার প্রেক্ষিতে একবার আমি আমার বোনকে ছাড়িয়ে নিয়েও যাচ্ছিলাম। মোস্তাক শেখ মাদকাশক্ত হয়ে বাড়ি ফিরতো তাছাড়া পরকিয়ায় ও লিপ্ত আছে।এ নিয়ে সংসারে ঝামেলা,ঠিক মত ছেলে মেয়ে ও সংসারে মন দিতোনা।আমি মনে করি মোস্তাক শেখ আমার বোনকে মেরে ঝুলিয়ে পালিয়েছে। আমি প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করি যাতে সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের আইনের আওতায় আনা হয়।এবং দোষীদের শাস্তি দাবী করছি।রুপা বেগমের চাচী রানী বেগম বলেন,এই মোস্তাক অন্য মহিলাদের সাথে সম্পর্ক করে বেড়ায় আর নেশা করে।যার কারণে সংসারে ঠিক মতো মন দিতোনা।এ নিয়ে প্রায় স্বামীর নির্যাতন সইতে হতো। স্ত্রী আত্মহত্যা করেছে অথচ স্বামী পলাতক। এর মানেতো এটাই দাঁড়ায় মোস্তাক দোষী।তবুও প্রশাসন যেন সুষ্ঠু তদন্ত করে দোষীদের আইনের আওতায় আনে এবং কঠোর সাজা দেয়। এদিকে রুপা বেগমের ৪ নাবালক সন্তানদের দেখে চোখের পানি ফেলছে অনেকেই।রুপা বেগমের ৪ সন্তানের ভিতর ছেলে রয়েছে বড় মাশরাফি (১৪), কন্যা মরিয়ম (৪), মারজানা (৩) ও মাত্র ১৮ মাসের শিশু কন্যা খাদিজা। ছেলে মায়ের চলে যাওয়া বুঝলেও অবুঝ তিন শিশু অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে রয়েছে তাদের মায়ের লাশের দিকে এবং বাড়িতে আগত লোকের দিকে।


আপনার মূল্যবান মতামত দিন: