কেশবপুরে চেয়ারম্যানের হস্তক্ষেপে ১০ বছরের বিধবা পেল স্ত্রীর মর্যাদা ও সন্তান পিতৃপরিচয়

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ১১ মার্চ ২০২১ ১৮:২৬

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১১ মার্চ ২০২১ ১৮:২৬

ছবি সমসাময়িক
  অলিয়ার রহমান, কেশবপুর( যশোর )প্রতিনিধি।। কেশবপুরের পাঁজিয়ায় স্বামীর মৃত্যুর ১০ বছর পর বিধবা নারীর পুত্র সন্তান প্রসবের ৯ দিনের মাথায় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় শিশুর পিতৃপরিচয়সহ ওই নারীকে স্ত্রীর মর্যাদা দিয়ে ঘরে তুলেছেন ইয়াকুব আলী। এ সময় পাঁজিয়া ইউনিয়ন পরিষদে এক আনন্দঘন মূহুর্তের সৃষ্টি হয়। এসময় ইয়াকুব আলী ও পারভীনা বলেন তাদের দীর্ঘদিন আগে বিয়ে হয়। কিন্তু দুই জনের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝির কারণে কিছু দিনের জন্য দূরত্ব সৃষ্টি হয়। সন্তান প্রসবের পর সুন্তানের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে তারা উভয়েই একমত পোষণ করে এধরনের কোন ভুল বোঝাবুঝি আর হবে না, সেই মোতাবেক চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম মুকুল এর নিকট মিলে মিশে ঘরসংসার করবেন বলে লিখিত অঙ্গীকার করেন। গত ছয় মাস আগে ওই নারী জানতে পারেন তিনি অন্ত:সত্ত্বা। ইয়াকুব আলীর সন্তান তার গর্ভে। গত ৩ মার্চ ওই নারী অসুস্থ হয়ে পড়লে পাঁজিয়া এলাকার একটি আমবাগানে গোপনে নিজেই নিজের গর্ভপাত ঘটান। পরে নবজাতককে একটি ব্যাগের মধ্যে ভরে ফেলে দেওয়ার উদ্দেশ্যে নিয়ে যাওয়ার সময় তাকে একা বাগানে যেতে দেখে সন্দেহ হয় পাশের এক মহিলার। সেই মহিলা তার কাছে গিয়ে দেখতে পান একটি বাজার করা ব্যাগের মধ্যে নবজাতক পুত্র সন্তান। নবজাতকটি জীবিত থাকায় তাৎক্ষণিক এলাকাবাসী উদ্ধার করে পুলিশের সহায়তায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। ওই দিনই শিশু ও তার মাকে যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়। সেখানে নবজাতক শিশু ও তার মা চিকিৎসা শেষে বৃহস্পতিবার পাঁজিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের নিকট আসেন। এ সময় নবজাতক শিশুর বাবা ইয়াকুব আলী বলে চেয়ারম্যানসহ এলাকাবাসীকে অবহিত করেন ওই নারী। সন্ধ্যায় পাঁজিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম মুকুল ইয়াকুব আলীকে ডেকে আনেন। তখন ইয়াকুব আলী ওই নারীকে স্ত্রীর মর্যাদা ও শিশুর পিতৃপরিচয় দিয়ে ঘরে তুলবেন বলে জানান। চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম মুকুল বলেন, লিখিতভাবে ইয়াকুব আলী ওই নারীকে স্ত্রীর মর্যাদা ও শিশুর পিতৃপরিচয় দিয়ে ঘরে তুলেছেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ইউনিয়ন পরিষদের ৯ নং ওয়ার্ডের মেম্বার সিরাজুল ইসলাম,পাঁজিয়া মাছ বাজারের সভাপতি প্রবীর, সাবেক মেম্বার জহুরুল ইসলাম, ইয়াকুব আলীর বড়ো ভাই ঈমান আলীসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্য, গ্রাম পুলিশ, সাংবাদিক ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। তাদের সবাইকে মিষ্টিমুখ করানো হয় এবং আনন্দঘন মূহুর্তের সৃষ্টি হয়।


আপনার মূল্যবান মতামত দিন: