পাইকগাছায় পিতার অভিযোগে বাল্য বিয়ে বন্ধ করেন- ইউএনও

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ৯ নভেম্বর ২০২১ ১৭:৩৯

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ৯ নভেম্বর ২০২১ ১৭:৩৯

ছবি সমসাময়িক
মোঃ মানছু্র রহমান (জাহিদ)।। পাইকগাছায় পিতাকে না জানিয়ে মা ও চাচারা অপ্রাপ্ত বয়স্ক মেয়েকে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে গোপনে বাল্য বিয়ের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। ঘটনাটি ঘটেছে পাইকগাছা উপজেলার গড়ইখালী ইউনিয়নের হোগলারচক গ্রামে। জানা যায়, সোমবার রাতে গড়ইখালী ইউনিয়নের হোগলারচক গ্রামের সাহেব আলী শিকারীর ৯ম শ্রেণি পড়ুয়া কন্যার বিয়ের জন্য তার ভাই বিল্লাল শিকারী একটি ছেলেকে দেখাতে নিয়ে আসেন। কিন্তু সাহেব আলী শিকারী তার মেয়েকে এখনই বিয়ে দিতে চান না। মেয়েটি খুবই মেধাবী হওয়ায় মেয়ের পিতা তাকে আরও লেখাপড়া করাতে চান। এ নিয়ে দু-ভাইয়ের মধ্যে মতবিরোধ দেখা দিলে উপায়ান্তর না পেয়ে মেয়ের পিতা এলাকাবাসীকে উক্ত ঘটনা অবহিত করেন। এলাকাবাসী মেয়ের পিতাকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর অভিযোগ করার পরামর্শ দিলে মেয়ের পিতা সাথে সাথেই মুঠোফোনে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মমতাজ বেগমকে বিষয়টি অবহিত করেন। ইউএনও মমতাজ বেগম তাৎক্ষণিক উপজেলা আনসার ও ভিডিপি প্রশিক্ষক মোঃ আলতাফ হোসেনকে ঘটনাস্থলে প্রেরণ করেন। উপজেলা প্রশিক্ষক মোঃ আলতাফ হোসেন তার সঙ্গীয় ফোর্স হিসাবে আনসার কমান্ডার আবু হানিফ, ইউনিয়ন লিডার মোঃ ফয়সাল হোসেন, মোঃ খোরশেদ আলম ও ভিডিপি সদস্য মোঃ আব্দুস সামাদ গাজীকে সাথে নিয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান। প্রশিক্ষক আলতাফ হোসেন সরেজমিনে ঘটনার সত্যতা জানতে পারেন। এখনো বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়নি তবে চাচা বিল্লাল শিকারীর সহযোগিতায় পাত্রপক্ষ পাত্রী দেখাদেখি পর্যায়ে রয়েছেন বলে সাহেব আলীর অপ্রাপ্ত বয়স্ক কন্যা প্রশাসনের কাছে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন। পরবর্তীতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মমতাজ বেগমের নির্দেশে প্রাপ্ত বয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত মেয়েকে বিয়ে দিবেন না মর্মে মেয়ে, মেয়ের মা ও দুই চাচার নিকট থেকে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দিয়েছে।


আপনার মূল্যবান মতামত দিন: