পদ্মা সেতুর নেপথ্য, কাঁদলেন ড. মসিউর

অনলাইন নিউজ ডেস্ক।। | প্রকাশিত: ২৯ মে ২০২২ ০৯:০৬

অনলাইন নিউজ ডেস্ক।।
প্রকাশিত: ২৯ মে ২০২২ ০৯:০৬

ফাইল ফটো

রাজনীতির সাতকাহন’-এর ৫ম পর্ব অনুষ্ঠিত হয়েছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাপ্তাহিক আয়োজন। এতে পদ্মা সেতুর নেপথ্য গল্প বলতে গিয়ে কেঁদেছেন প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমান।

গতকাল ২৭ মে রাত ৯টায় আওয়ামী লীগের অফিসিয়াল ফেসবুক পেইজ ও ইউটিউব চ্যানেলে অনুষ্ঠানটি সরাসরি সম্প্রচারিত হয়। এতে ‘পদ্মা সেতুর নেপথ্য কথা’ শীর্ষক আলোচনায় অংশ নেন প্রধানমন্ত্রীর অর্থনীতি বিষয়ক উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমান ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক।

আলোচনা অনুষ্ঠানে ড. মসিউর রহমান ২০১১-১২ সালে বিশ্বব্যাংক কীভাবে পরিস্থিতিকে কাজে লাগিয়েছিল সে সম্পর্কে অনেক না-বলা গল্প বলেন। কথার এক পর্যায়ে ড. মসিউর কেঁদে ফেলেন।

মসিউর রহমান বলেন, আমার ওপর যে চাপ ছিল, কেবল ইসলামি ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক বাদে অন্য যারা এখানে অর্থায়ন করেছে, বিশ্বব্যাংক এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক এবং জাইকা এরা একদিন সকালে আগে সময় ঠিক করে আমার সাথে দেখা করতে চাইল। প্রথমে তারা বলল জাপানি অ্যাম্বাসি অফিসে। আমি বললাম সেখানে আমি যাব না। আমার যে যুক্তি ছিল যে মানুষের ধারণা হবে বা প্রচার হবে আমি তাদের কাছে নত হয়ে কোনও সুবিধা চাচ্ছি। আমি বললাম যে তোমরা আমাদের এখানে আসো। জাপানি অ্যাম্বাসেডর বলল তোমার ওখানে গেলে জার্নালিস্টদের ফেস করতে হবে। আমি বললাম যে জার্নালিস্টদের আমি ফেস করব। ওরা এসে আমাকে যেটা বলল যে আমাকে দায়িত্ব ত্যাগ করতে হবে, দেশও ত্যাগ করতে হবে। দেশ ত্যাগের শর্ত হলো তারা আমাকে বিদেশে ওয়ার্ল্ড ব্যাংকে বা এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকে বা কোথাও আমাকে একটা কনসালটেন্সি যোগাড় করে দেবে এবং আমি যে বেতন চাই তাইই ব্যবস্থা করে দেবে। বিশ্ববিদ্যালয়ে আমার কিছু কাজ ঠিক করে দেবে এবং আমাকে তারা টাকা দেওয়ার বন্দোবস্ত করে দেবে। আমার উত্তর হলো যে দেখ আমার যদি টাকা করার ইচ্ছা থাকত তাহলে এখানেই তো টাকা করতে পারতাম।

ড. মসিউর আরও বলেন, তারা যে প্রস্তাব দিয়েছিল এটা সামঞ্জস্যহীন প্রস্তাব। যে দোষ করেছে তাকে আবার পুরস্কৃত করবে। এর পেছনে যে বুদ্ধি তাদের ছিল সেটা হলো আমি যে এই ষড়যন্ত্র সম্পর্কে শক্ত অবস্থান নিয়েছিলাম। যেটা আমার বলা উচিত হবে এবং না বলাটা অনুচিত হবে। সেটা হলো আমার এই শক্ত পজিশন নেওয়ার ক্ষমতাটা কোথা থেকে আসলো। তার আগে একটু বলি, মাঝখানে যে বিশ্বব্যাংক বলার সঙ্গে সঙ্গে আমাদেরও কিছু গুরুজন স্থানীয়, যারা প্রভাবশালী, দুয়েকজন আমার বন্ধু, তারাও আওয়ামী লীগের সাথে যুক্ত, বন্ধু হিসেবে তারা আমাকে বলেছে যে তোমার নামে এসব ছড়াচ্ছে তুমি কেন দায়িত্ব ত্যাগ করো না এবং দেশ ছাড়ো না কেন। আমি বললাম যে দেখ আমি দেশের বাইরে গেলে আমার পায়ের তলায় মাটি থাকবে না। আমার ক্ষমতা ততদিন যত সময় আমি দেশের মধ্যে আছি। আরেকটি হলো মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাকে সাহস যুগিয়েছেন। এই বলেই কেঁদে ফেলেন ড. মসিউর রহমান।

অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপ প্রচার সম্পাদক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম আমিন।




আপনার মূল্যবান মতামত দিন: