আসছে রমাদ্বান প্রস্তুত মুসলমান

খতিব, পরশুরাম সরকারি কলেজ জামে মসজিদ, পরশুরাম ফেনী... | প্রকাশিত: ২২ মার্চ ২০২৩ ১৬:৩০

খতিব, পরশুরাম সরকারি কলেজ জামে মসজিদ, পরশুরাম ফেনী...
প্রকাশিত: ২২ মার্চ ২০২৩ ১৬:৩০

ছবি- সমসাময়িক ফটো।

সবকিছুর জন্যই প্রস্তুতি নিতে হয়। রমাদ্বান মাস আসছে, আসুন আমরা প্রস্তুতি নেয়া শুরু করি।
আমাদের প্রস্তুতি এমন হতে পারে ইনশাআল্লাহ:

১। ৫ ওয়াক্ত সালাত আদায় করা, জাম'আতের সাথে আদায় করতে না পারলেও সালাত যেনো ছুটে না যায়। সালাত বিহীন কোনো দিন যেনো আল্লাহ আমাদের জীবনে না দেন।
রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, কিয়ামতের দিন সর্বপ্রথম বান্দা থেকে সালাতের হিসাব নেওয়া হবে। সালাত যথাযথভাবে আদায় হয়ে থাকলে সে সফল হবে ও মুক্তি পাবে। সালাত যথাযথ আদায় না হয়ে থাকলে ক্ষতিগ্রস্ত ও ধ্বংস হবে। (ইবনু মাজাহ:১৪২৫)

২। অধিক বেশি প্রিয় নবীজির উপর মোহাব্বত এবং আদবের সাথে দুরুদ শরীফ পাঠ করবেন।

৩। এখন থেকেই আমরা কিছু রোযা রাখতে পারি; সোমবার বৃহস্পতিবার রাখা যায়। আবার কেউ ফ্রি থাকলে, কাজের অসুবিধা না হলে, শারীরিকভাবে সুস্থ থাকলে, অন্যান্য দিনেও রাখতে পারেন।
রাসূল ﷺ বলেছেন, যে বান্দা আল্লাহর রাস্তায় একদিন মাত্র সিয়াম রাখবে সেই বান্দাকে আল্লাহ ঐ সিয়ামের বিনিময়ে জাহান্নাম থেকে ৭০ বছরের পথ পরিমাণ দূরত্বে রাখবেন। (হাদীস সম্ভার:১০৩৭)

৪। কুরআন তিলাওয়াত করার চেষ্টা করা; এখন থেকে যদি ১ পৃষ্ঠাও পড়ার অভ্যাস করা যায় তাহলে রমাদ্বানে সম্পুর্ণ খতম দেয়া যাবে ইনশাআল্লাহ। একজন মুসলিম এর জন্য নিয়মিত কুরআন তিলাওয়াত করা অত্যন্ত জরুরী।
রাসূলে কারীম ﷺ বলেছেন, তোমরা কুরআনের প্রতি অনুসন্ধানী হও, কুরআন মুখস্থের প্রতি যত্মবান হও, আর সদা-সর্বদা তিলাওয়াতে অভ্যস্ত হও এবং কুরআন পাঠ-পঠন অব্যাহত রাখ, যাতে তা ভুলে না যাও। (মিশকাত:২১৮৭)

৫। অতীতের গুনাহগুলোর জন্য অনুতপ্ত হওয়া, পুনরায় উক্ত গুনাহগুলো না করার দৃঢ় প্রতিজ্ঞা করা, আল্লাহ তা'য়ালার কাছে ক্ষমা চাওয়া এবং আল্লাহর দেয়া হুকুম আহকাম মেনে চলা।

৬। যিকর করার চেষ্টা করা। বিভিন্ন তাসবীহ আছে সেগুলো পড়া।
আস্তাগফিরুল্লাহ, সুবহানাল্লাহ, আলহামদুলিল্লাহ, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ, আল্লাহু আকবার, সুবাহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহী সুবাহানাল্লাহিল আযীম, লা হাওলা ওয়া লা কুওয়াতা ইল্লাবিল্লাহ্ - এসকল তাসবীহ পড়া উত্তম।

৭। নফল ইবাদাতে মনযোগী হওয়া। ২/৪ রাক'আত নফল সালাত আদায় করার অভ্যাস করা। তাহাজ্জুদের সর্বোচ্চ চেষ্টা করা।

৮। দান খয়রাত করার নিয়ত রাখা, চেষ্টা করা।

৯। নিজের খারাপ দিকগুলোর দিকে খেয়াল করা, পরিত্যাগ করার সর্বাত্মক চেষ্টা করা।

১০। সত্য কথা বলা, সুন্দর আচরণ করার অভ্যাস গড়ে তোলা।

১১। সর্বদা আল্লাহর কাছে দুয়া করা। আমল অল্প হোক, ভুল হোক, তবুও আল্লাহর কাছে চাইতে হবে। আল্লাহর প্রতি ভালো ধারণা রাখতে হবে।

মহান আল্লাহ আমাদের তাওফিক দিন, আমাদের সরল পথে অটল রাখুন এবং সৎকর্মশীলদের অন্তর্ভুক্ত করুন।




আপনার মূল্যবান মতামত দিন: