যশোরের রামকৃষ্ণ আশ্রম মন্দিরে মহা অনাড়ম্বরে অনুষ্ঠিত হলো কুমারী পূজা

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ২৪ অক্টোবর ২০২০ ১২:৫৩

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ২৪ অক্টোবর ২০২০ ১২:৫৩

ছবি সমসাময়িক
বিশেষ প্রতিনিধি।। যশোরের রামকৃষ্ণ আশ্রম মন্দিরে মহা অনাড়ম্বরে অনুষ্ঠিত হলো কুমারী পূজা। শনিবার (২৪ অক্টোবর) সকালে স্বামী জ্ঞান প্রকাশানন্দজী মহারাজের পৌরহিত্যে কুমারী পূজা সম্পন্ন হয়। এবার কুমারী মায়ের আসনে বসানো হয়েছে ঐশানী ভট্টাচার্য্য। তার বয়স ৫ বছর। সে মণিরামপুর পৌরশহরের হাকোবা গ্রামের ঐতিহ্যবাহী ঠাকুর পরিবারের তপন ভট্টাচার্য্য ও কল্পনা ভট্টাচার্য্য এর নাতনি। তার বাবা পৌরশহরের বিশিষ্ঠ্য ব্যবসায়ী পরাগ ভট্টাচার্য্য ও মা গৃহিনী শ্রাবন্তী চক্রবর্তী। শাস্ত্রমতে ১৬টি উপকরণ দিয়ে পূজার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। এরপর অগ্নি, জল, বস্ত্র, পুষ্প ও বাতাস এই পাঁচ উপকরণে দেওয়া হয় ‘কুমারী’ মা’-এর পূজা। অর্ঘ্য প্রদানের পর দেবীর গলায় পরানো হয় পুষ্পমাল্য। মহাঅষ্টমীর দিন মানবকল্যাণের জন্য ১ থেকে ১৬ বছরের কুমারী কন্যাকে মনোনীত করা হয়। এক বছর বয়সে সন্ধ্যা, দুইয়ে সরস্বতী, তিনে ত্রিধামূর্তি, চারে কালিকা, পাঁচে সুভগা, ছয়ে উমা, সাথে মালিনী, আটে কব্জিকা, নয়ে অপরাজিতা, দশে কালসন্ধর্ভা, এগারোয়া রুদ্রানী, বারোয়, ভৈরবী, তেরোয় মহালক্ষ্মী, চৌদ্দয় পীঠনায়িকা, পনোরয় ক্ষেত্রজ্ঞা এবং ষোল বছরে অম্বিকা বলা হয়। কুমারীতে সমগ্র জাতির শ্রেষ্ঠ শক্তি, পবিত্রতা, সৃজনী ও পালনী শক্তিসহ সব কল্যাণী শক্তি সূক্ষ্মরূপে বিরাজিত। কুমারী প্রতীকে জগৎজননীর পূজায় পরম সৌভাগ্য লাভ হয়। এ রূপ কুমারী সমগ্র জগতের বাক্যস্বরূপা, বিদ্যাস্বরূপ। তিনি এক হাতে অভয় ও অন্যহাতে বর দেন। ঐশানীর মা-বাবা জানান, মেয়ে কুমারী পূজায় অংশগ্রহণের সুযোগ পেয়েছে সে জন্য আমরা নিজেদের পরম সৌভাগ্যবান মনে করছি।


আপনার মূল্যবান মতামত দিন: