আওয়ামী লীগের সভাপতি আমীর আলী মাষ্টার(৮৪) সহ ৮ জনের বিরুদ্ধে ভূয়া চাঁদাবাজির মামলা

আনোয়ার পারভেজ অনুজ।। | প্রকাশিত: ১০ মে ২০২২ ০৫:৪৪

আনোয়ার পারভেজ অনুজ।।
প্রকাশিত: ১০ মে ২০২২ ০৫:৪৪

আমীর আলী মাষ্টার (৮৪)

মনিরামপুরের চালুয়াহাটী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি বয়োবৃদ্ধ আমীর আলী মাষ্টার (৮৪) ও তার ছেলেসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলা করা হয়েছে আদালতে। মামলাটির বাদি হয়েছেন ওই ইউনিয়নের আলোচিত আব্দুল হাই এর আপন ভাই আব্দুল হালিম এবং আব্দুল হাই হয়েছেন স্বাক্ষী। ৮৪ বছর বয়সী আমীর আলী মাষ্টার নাকি চাইনিজ কুড়াল ও লোহার রড় দিয়ে আব্দুল হাই এবং হাই এর আরেক ভাই আব্দুল হককে মারপিট করে ৫ লাখ টাকা দাবি করে।

৮ মে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আমলী ( মনিরামপুর) আদালত, যশোরে দায়েরকৃত ওই মামলার প্রধান আসামী করা হয়েছে বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেমকে। মামলায় চাদাবাজির ঘটনার তারিখ ৭ মে রাত আনুমানিক ৮ টা এবং স্থান বাদির মালিকানাধীন মাছের ঘের পাড় উল্লেখ করা হয়েছে। কিন্তু এই ১ নং আসামী ও ৩ নং আসামী ঘটনার তারিখ ও সময়ে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন আব্দুল হাই এর লোকজন দ্বারা আহত হয়ে। ৩ নং আসামী করা হয়েছে অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য ইয়াসরাফ আলী। তিনি নাকি পাইপগান হাতে নিয়ে বাদিকে গুলি করার হুমকি দিয়ে ৫ লাখ টাকা চাঁদাবাজি করেন। অথচ ঘটনার তারিখ ও সময়ে তিনি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন।

এছাড়া ৪ নং আসামী হলেন। নজরুল ইসলাম খাঁ। তিনি ঢাকায় বসবাস করেন এবং এবারের ঈদেও বাড়ি আসেননি। আব্দুল হাই স্বাক্ষী হয়ে তার আপন ভাইকে দিয়ে এই চাঁদাবাজি মামলার অন্যান্য আসামীরা হলেন মোবাশ্বের খাঁ, আছোপ আলী, চালুয়াহাটী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক শহিদুল ইসলাম মিলন ও রিপন।
আদালতের বিচারক মাহাদী হাসান নালিশী মামলাটি আমলে নিয়ে সত্যতা তদন্ত পূর্বক ৩০ জুনের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য সিআইডি পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন।

একাধিক নাশকতা মামলার আসামী আব্দুল হাই এর আওয়ামী লীগে যোগদান করা এবং দলের দুজন নেতা কতৃক আশ্রয় প্রশ্রয় দেয়ার ঘটনায় অনেক দিন ধরে পরীক্ষিত আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। ইতিপূর্বে আওয়ামী লীগের অনুষ্ঠানে বক্তব্য প্রদানকালে খুবই আত্নবিশ্বাসের সাথে আব্দুল হাই বলেছিলেন এদেশের উন্নয়নের কারিগর দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া। গত শুক্রবার আব্দুল হাই এর নেতৃত্বে ওই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি বয়োবৃদ্ধ আমীর আলী মাষ্টার, মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেমসহ কয়েকজনকে মারপিট করে জখমের ঘটনায় তার বিরুদ্ধে মামলা হয়। এবার আমীর আলী মাষ্টারসহ আওয়ামী লীগের লোকজনের বিরুদ্ধে এমন ভূয়া মামলা করার মাধ্যমে মূলত আওয়ামী লীগের ব্যাপক ক্ষতি করা হচ্ছে বলে মনে করছেন দলীয় নেতা-কর্মীরা।




আপনার মূল্যবান মতামত দিন: