
অলিয়ার রহমান, কেশবপুর প্রতিনিধিঃ
কেশবপুরে শ্বশুর বাড়ি থেকে অসুস্থ স্ত্রীকে উদ্ধার করতে রিপন রায় নামে এক ব্যক্তি থানায় অভিযোগ করেছেন। বুধবার সকালে শ্বশুর, শ্যালিকা, ভায়রাভাইসহ ১০ জন আত্মীয়-স্বজনের বিরুদ্ধে তিনি থানায় লিখিত এ অভিযোগ করেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বাগডাঙ্গা গ্রামের মৃত হাজারী লাল রায়ের ছেলে রিপন রায় (২৬) গত দেড় বছর আগে বাগডাঙ্গা গ্রামের অশোক হালদারের মেয়ে জয়শ্রী হালদারকে (২০) বিয়ে করেন। বিয়ের পর থেকে শ্বশুর বাড়ির আত্মীয়-স্বজন তার স্ত্রীকে বিভিন্ন কুপরামর্শ দিয়ে তাদের স্বামী-স্ত্রীর ভেতর বিরোধ সৃষ্টি করে আসছে।
গত ৭ জানুয়ারি তার স্ত্রী বাপের বাড়ি বেড়াতে গেলে বিভিন্ন কুপরামর্শ দিয়ে আসতে দেয়নি। পরবর্তীতে গত ৯ জানুয়ারি রাতে তার স্ত্রীকে আনার জন্য শ্বশুর বাড়ি গেলে তাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। ওই সময় তার স্ত্রী স্বামীর সঙ্গে বাড়ি আসতে চাইলে বিবাদীরা জোর করে স্ত্রীকে বসতঘরে আটকে রাখে। বাঁধা দিলে বিবাদীরা রিপন রায়কে এলোপাতাড়ি মারপিটসহ বাড়ি ফিরে যেতে বাধ্য করে। পরে তিনি লোকজনের মাধ্যমে জানতে পারেন স্ত্রী তার বাড়িতে আসতে চাইলে বিবাদীরা খাবারের সঙ্গে ওষুধ খাইয়ে অচেতন করে রাখে। এছাড়া টাকার লোভে তার স্ত্রীকে অন্যত্র বিয়ে দেওয়ার পায়তারা করে আসছে। ঘটনা উলেখ করে রিপন রায় থানায় শ্বশুর অশোক হালদার, শ্যালিকা তনুশ্রী হালদার, ভায়রাভাই মিঠুন রায়, আত্মীয় বিশ্বজিৎ হালদার, পবিত্র হালদার জয়, শংকর রায়, সুশংকর রায়, সুপদ রায় মহাদেব হালদার ও শিউলী বিশ্বাসের নামে অভিযোগ করেন।
এ ব্যাপারে তদন্ত কর্মকর্তা পাঁজিয়া বিটের দায়িত্ব প্রাপ্ত কেশবপুর থানার উপ-পরিদর্শক তারিকুল ইসলাম বলেন, অভিযোগ পেয়ে সরজমিনে তদন্ত করে বিবাদীদের থানায় আসতে বলি মেয়ের বাবা-মা থানায় উপস্থিত হয়ে মেয়ের ডিভোর্সের একটি কপি দিয়ে গেছেন ঘটনার সত্যতা যাচাই বাছাইয়ের জন্য তদন্ত অব্যাহত আছে।

আপনার মূল্যবান মতামত দিন: