মণিরামপুরে জামাত বিএনপির সন্ত্রাসী দ্বারা সাবেক ছাত্রলীগ কর্মীর জমি দখলের চেষ্টা

মণিরামপুর প্রতিনিধি: | প্রকাশিত: ৩০ মে ২০২৩ ০৭:০৮

মণিরামপুর প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: ৩০ মে ২০২৩ ০৭:০৮

ফটো:নিউজ প্রতিনিধি

যশোরের মণিরামপুর উপজেলার হাকোবা এক নং ওয়ার্ডে ২৯ মে সোমবার সকালে আনুমানিক ৯ টা ৪৫ এর দিকে জমি জায়গা বিরোধ নিয়ে বসবাস বাড়ির সীমানা প্রচীর ভাজ্ঞচুর সহ বিচালি ঘরের চাল খুলে নিয়ে যওয়ার ঘটনা ঘটেছে।স্থানীয় সুত্রে জানাযায়, হাকোবা গ্রামের আবুল কালাম পটেরশরি নামক ব্যাক্তির নিকট থেকে ক্রায় সূত্রে ২০০৫ সাল থেকে জমিটি ভোগদখল করে আসছে।আবুল কালাম বেশ কয়েক মাস আগে মারা যাওয়াই তার ছোটো ছেলে সাবেক ছাত্রলীগ কর্মী ফয়সল হোসেন ঘর নির্মাণ করতে ভিট তৈরি করে।

কিন্তু এই জমির মালিক দাবিদার মৃত করিম মোড়লের মেয়ে শামসুর নাহার পুলিশ নিয়ে সাময়িক ভাবে কাজ বন্ধ করে।অতঃপর সন্ত্রাসী বাহিনী জামাত বিএনপির নেতা কর্মী দ্বারা ভাংচুর তান্ডব চালানো হয়।
এবিষয়ে মণিরামপুর থানায় ফয়সাল হোসেন বাদী হয়ে একটি অভিযোগ দায়ের করেন।অভিযোগে বিবাদী করা হয় শামসুন নাহার স্বামী ইদ্রিস আলী,কামরুন নাহার,নাজমুন নাহার(পাখি)আব্দুল আলীম,পিতা মৃত বাবর আলী, মনজুর সরদার, পিতা মৃত আাজিদ সরদার,সহ অঙ্গাত আরো ১০ থেকে১৫ জনের নামে অভিযোগ করেন।

এবিষয়ে ফয়সাল হোসেন বলেন,আমি ২০০৬ সালে ছাত্রলীগের কর্মী ছিলাম কমিটিতে আমার নাম আছে। রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে আজ তারা আমার উপর সেই রাগ মিটাচ্ছে। ২৯শে মে সকাল ৯টা ৪৫ এর দিকে ভাড়াটিয়া জামাত বিএনপির নেতা হজরত আলীর ছেলে জিহাদ হেসেন ,যুবদল নেতা শাহিন সরদার ও সাব্বির গাজী,জাতীয়তাবাদী দলের সদস্য রবিউল সরদার ও যুবদল নেতা হান্নান সরদার,রাকিব, ইদ্রিস,রিপন,রবিউল, নুর-ইসলাম,মোসলেম গাজী,বাক্কার,মতি,নুরুল হুদা,কুদ্দুস,সহ আরো ২০/৩০ জন ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী দ্বারা সিমানা আমার বাড়ির সীমানা প্রাচীর, বিচালি ঘর ভাংচুর করে ইটপাটকেল লুটপাট করিয়ে নিয়ে যায়।ভাংচুরের ঘটনা শুনে আমি ৯৯৯ এ ফোন দিলে ঘটনা স্থানে মণিরামপুর থানা পুলিশ এস আই আতিকুর রহমান ঘটনা স্থানে এসে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে ।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, ভাংচুরের ভিডিও মোবাইল ফোনে ধারন করায় ছাত্রলীগ কর্মীর স্ত্রী জুই বেগমকে
মনজুর সরদার মারপিট করে মোবাইল ফোন কেড়ে নেই এবং বুকের উড়না কেড়ে নিয়ে শীলতাহানীর চেষ্টা করে।ধস্তাধস্তিতে বুকে থাকা উড়না ছিড়ে যায়।

অবুঝ শিশু ও বলেন,যারা প্রচীর ভাজ্ঞচুর করছিলো তারা আমার আম্মুর ওড়না খুলে নিয়েছিলো।

এবিষয়ে বিবাদী শামসুন নাহারের কাছে গণমাধ্যম কর্মীরা আজকের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি নিজেকে সাংবাদিক পরিচয় দেন এবং ঢাকাতে কর্মরত আছেন বলে দাবি করেন।কোন পত্রিকায় কাজ করেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি সাংবাদিক না। তিনি চড়াও হয়ে বলেন আপনারা থানায় আসেন কথা হবে।

এবিষয়ে ওয়ার্ড কাউন্সিলর আজিম হোসেন গণমাধ্যমের দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জানায়,আমি সরজমিনে গিয়েছিলাম। দীর্ঘ দিন যাবত তাদের মধ্যে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছিলো।একপক্ষ দখলে আছে। বিষয়টি মিমাংসার জন্য থানা ওসি,ও ভুমি অফিসার কে জানানো হয়েছিলো। আজ হঠাৎ সকালে জানতে পারি তারা লোকজন নিয়ে প্রাচীর ভাজ্ঞচুর করছে।আমি উপস্থিত হয়ে বলার পরে যে যার মত চলে গেছে।

এবিষয়ে মণিরামপুর থানা ইনচার্জ শেখ মনিরুজ্জামান বলেন, ৯৯৯ এ ফোন পেয়ে ঘটনা স্থানে পুলিশ পাঠিয়েছিলাম,পুলিশ জানিয়েছেন প্রাচীর ও বিচালি ঘর ভাংচুরের সততা পাওয়া গেছে।ঘটনার তদন্ত চলমান পরবর্তী আইননুসারে ব্যাবস্হা গ্রহন করা হবে।

 

 




আপনার মূল্যবান মতামত দিন: