
মনিরামপুর (যশোর) প্রতিনিধি।। যশোরের মনিরামপুরে অধিক লাভের আশায় একটি চক্র বিভিন্ন ব্র্যান্ডের এলপিজি গ্যাসের খালি সিলিন্ডার কিনে মোটরগাড়ীতে ব্যবহৃত অটোগ্যাস ও পানি মিশ্রনের পর ক্রস লিফিং করে বাজারজাত করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এছাড়াও এলপিজি গ্যাসের নির্ধারিত মুল্যের চেয়ে এ সিন্ডিকেটটি প্রত্যন্ত অঞ্চলের খুচরা বিক্রেতাদের নিকট ক্রস লিফিংকৃত গ্যাসভর্তি সিলিন্ডার কম মূল্যে বিক্রি করছে। সম্প্রতি উপজেলার রাজগঞ্জ বাজারে সরবরাহের সময় হাতেনাতে আটক হয় ওই সিন্ডিকেটের এক সদস্য। তার পরও বন্ধ হয়নি ক্রস লিফিংকৃত সিলিন্ডার বিক্রি করা।ফলে ক্রস লিফিংকৃত গ্যাস ব্যবহারের সময় যেকোন মুহুর্তে বড় ধরনের দূর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে।
অনুসন্ধানে জানাযায়, মনিরামপুর ও কেশবপুর উপজেলায় বসুন্ধরা, বেক্সিমকো, ওমেরা, যমুনা, পেট্রোম্যাক্স, জেএমআই, সেনাসহ বিভিন্ন কোম্পানীর এলপিজি গ্যাস সিলিন্ডার সরবরাহের জন্য ডিলার নিয়োগ করা হয়। এর মধ্যে অধিকাংশ ডিলার মনিরামপুরের। এসব কোম্পানীর ১২ কেজি ওজনের এলপিজি গ্যাসভর্তি সিলিন্ডার খুচরা বিক্রি করা হচ্ছে সাড়ে ১৪’শ থেকে ১৫’শ টাকায়। কিন্তু অভিযোগ রয়েছে অসাধু ব্যবসায়ী একটি সিন্ডিকেট বেশি লাভের আশায় খালি সিলিন্ডার কিনে আটো গ্যাস(প্রতি লিটার ৬২ টাকা)ও পানি মিশ্রনের পর ক্রস লিফিং করে কম মূল্যে বাজারজাত করছে। অভিযোগ রয়েছে মেসার্স মা বালু ভান্ডারের মালিক ইনামুল ইসলাম ও মেসার্স গাজী মটরসের নাসির উদ্দিনের নেতৃত্বে একটি সিন্ডিকেট যশোর, বাকড়া, খুলনাসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে কম মূল্যে ক্রস লিফিংকৃত বসুন্ধরা, ওমেরা, বেক্সিমকো সহ বিভিন্ন এলপিজি কোম্পানীর গ্যাস ভর্তি সিলিন্ডার কিনে প্রত্যন্ত অঞ্চলের বাজারে খুচরা বিক্রেতাদের নিকট ১২’শ থেকে ১৩’শ টাকায় বিক্রি করে আসছে।
এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে গত সপ্তাহে মনিরামপুর বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি তুলসি বসু ও সাধারন সম্পাদক রবিউল ইসলাম মিঠু অভিযান চালিয়ে উপজেলার রাজগঞ্জ বাজারে সরবরাহের সময় পিকভ্যান ভর্তি ক্রসলিফিং করা বসুন্ধরা ও বেক্সিমকো এলপিজি গ্যাস সিলিন্ডারসহ আটক করেন মেসার্স মা বালু ভান্ডারের বিক্রয় প্রতিনিধি গোলাম রসুলকে। সমিতির সভাপতি তুলসি বসু জানান, আটকের পর ডিলার ইনামুল ইসলাম এসে ভবিষ্যতে এ ধরনের কাজ না করার অঙ্গিকার করায় তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।ডিলার এনামুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে লিফিংকৃত সিলিন্ডার আর বিক্রি না করার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন। কিন্তু তুলসি বসু অভিযোগ করেন, ওই সিন্ডিকেটটি আবারও সক্রিয় রযেছে ক্রস লিফিং করা সিলিন্ডার সরবরাহে। বসুন্ধরা এলপিজি গ্যাসের যশোরের ডিপো ম্যানেজার আবদুল মালেক জানান, বর্তমান অসাধু ওই চক্রটি যশোর, মনিরামপুর, কেশবপুর, বাকড়াসহ বিভিন্ন এলাকায় ক্রসলিফিং সিলিন্ডার কেনাবেচায় ব্যাপক তৎপর রযেছে। তিনি জানান অটোগ্যাস ও পানি ভরে ক্রস লিফিং করা গ্যাস ব্যবহারের সময় বড় ধরনের দূর্ঘটার ব্যাপক আশঙ্কা রয়েছে। এদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন। মনিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নূর মোহাম্মদ গাজী জানান, এ ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ করা হলে দ্রæত আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আপনার মূল্যবান মতামত দিন: