মনিরামপুরে নির্বাহী কর্মকর্তার নাম ভাঙ্গিয়ে লম্পট ইউপি সদস্যের চাঁদাবাজি

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ২৮ মার্চ ২০২১ ২০:২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ২৮ মার্চ ২০২১ ২০:২৩

ছবি সমসাময়িক
  বিশেষ প্রতিনিধি।। যশোরের মনিরামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মহোদয়ের নাম ভাঙ্গিয়ে মনিরামপুরের এক ইউপি সদস্যদের অভিনব কৌশলে চাঁদাবাজি। জানা যায় আজ ২৮/০৩/২০২১ইং (রবিবার) রাত আনুমানিক আট টার দিকে ১২ নং শ্যামকুড় ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের বর্তমান ইউপি সদস্য আবদুল হালিম বিশ্বাস চিনাটোলা বাজারের বিভিন্ন মিষ্টি দোকানে মনিরামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নাম ভাঙ্গিয়ে চাঁদা দাবি করেন।জানা যায় ইউপি সদস্য আবদুল হালিম বিশ্বাস প্রথমে চিনাটোলা বাজারের প্রাচীন মিষ্টির হোটেল ব্যবসায়ী বাবু ভোলা নাথ ঘোষের দোকানে গিয়ে বলেন দাদা মনিরামপুরের ইউএনও সাহেব তো বাজারের সব মিষ্টির দোকানে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে জরিমানা করার জন্য আমার উপর চাঁপ দিচ্ছে।এখন এ থেকে বাঁচতে হলে ইউএনও স্যারকে ত্রিশ হাজার টাকা দেন এবং ইউএনও স্যারের সাথে কথা বলেন।মোবাইলের অপর প্রান্ত থেকে আমি মনিরামপুরের ইউএনও বলছি এই ০১৬১০৪৭২৮৪২ বিকাশ নাম্বারে দ্রুত ত্রিশ হাজার টাকা দিয়ে দিন তাহলে বাঁচতে পারবেন বলে জানানো হয়।অসহায় ভোলা নাথ ঘোষ ভয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা থেকে বাঁচার উপায় খুঁজতে ইউপি সদস্য আবদুল হালিম বিশ্বাসের কথা মত ত্রিশ হাজার টাকা দিয়ে দেন। অনুরূপ ভাবে ইউপি সদস্য আবদুল হালিম বিশ্বাস চিনাটোলা বাজারের প্রতিটি মিষ্টির হোটেলে গিয়ে ঐ একই কথা বলে ইউএনও সাহেবের সাথে কথা বলিয়ে দিয়ে ঐ বিকাশ নাম্বার দেওয়া হয়। চিনাটোলা বাজারের হোটেল ব্যবসায়ী চিত্তরঞ্জন ঘোষ 01734 765695 জানান ইউপি সদস্য আবদুল হালিম বিশ্বাস আমার হোটেলে এসে ইউএনও সাহেবের সাথে কথা বলিয়ে দিলে মোবাইলের অপর প্রান্ত থেকে ইউএনও সাহেব চিত্ত বাবুর কাছে পঞ্চাশ হাজার টাকা দাবি করেন এবং এ টাকা অতি দ্রুত দেওয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করতে থাকেন। এ দিকে বিষয়টি চিনাটোলা বাজারের হোটেল ব্যবসায়ীদের অনেকের কাছে কৌতূহল সৃষ্টি হলে ঘটনার সত্যতা যাচাইয়ে নামে কেউ কেউ।কেউ কেউ মনিরামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মহোদয়ের যোগাযোগ করলেই ঘটনার সত্যতা বেরিয়ে আসে। এদিকে চিনাটোলা বাজারের প্রায় সবই হিন্দু হোটেল ব্যবসায়ীদের মধ্যে চরম ক্ষোভ এবং চাপা উত্তেজনা বিরাজ করছে।অন্যদিকে ঘটনার ধামাচাপা দিতে শ্যামকুড় ইউনিয়নের একজন জনপ্রতিনিধি উঠে পড়ে লেগেছে এবং স্থানীয় কিছু দালাল,প্রভাবশালী চাঁদাবাজরা স্থানীয় হিন্দু হোটেল ব্যবসায়ীদের অভিযোগ না করতে চাপ প্রয়োগ করছে।জানা যায় বিষয়টি মিটিয়ে নেওয়ার জন্য একজন জনপ্রতিনিধি দফায় দফায় মিটিং সিটিং চালিয়ে যাচ্ছে।কিন্তু এলাকাবাসির দাবি প্রকৃত ঘটনা তদন্ত করলে এ অভিনব চাঁদাবাজির সাথে অনেক প্রভাবশালী চাঁদাবাজ এবং স্থানীয় অনেক জনপ্রতিনিধির নাম বেরিয়ে আসবে বলে অনেকের ধারণা। মনিরামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মহোদয় দৈনিক সমসাময়িক নিউজকে জানান আমি বিষয়টি শুনেছি, ঘটনা সত্য। তবে আমি ভুক্তভোগীদের থানায় লিখিত অভিযোগ করার জন্য বলেছি।


আপনার মূল্যবান মতামত দিন: