শখ থেকেই দেশ-বিদেশ ঘুরে ঘুরে পাখির ছবি তোলেন যশোরের- হাসান শারিয়ার সিজার

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ২০:০১

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ২০:০১

ছবি সমসাময়িক
মোঃ শাহ্ জালাল।। প্রয়োজন ও সামর্থ্যের হিসেব মেলাতে গিয়ে অনেক সময় চাপা পড়ে যায় শখ। কিন্তু জীবনে তো শখের গুরুত্বও নেহাত কম নয়। তাছাড়া শখ মানেই কোন কিছুর সঙ্গে আবেগের সম্পর্ক গড়ে তোলা; যা পরোক্ষে নিজেকে মানসিকভাবে প্রফুল্ল রাখারও প্রক্রিয়াও। জীবন তো সুন্দরভাবে যাপন করার জন্যই। শখ হলেই কিনে ফেললেন দামি একটা ক্যামেরা। আবার ইচ্ছা হলেই বেরিয়ে পড়লেন দেশ- বিদেশের দর্শনীয় স্থান বলতে যেখানে পাখিদের বসবাস সেই সমস্ত স্থান উপভোগ করতে। বলছিলাম যশোরের কৃতি সন্তান হাসান শারিয়ার সিজার এর কথা। যশোর শহরের বেজপাড়ার বাসিন্দা অবসরপ্রাপ্ত ব্যাংকার বাবার ছেলে সিজার গ্রামীণ ফোনের কর্মকর্তা শখ থেকেই তিনি পাখির ছবি তোলেন। তবে তিনি পেশাদার কোন ফটোগ্রাফার না। শখের বসে কাজ করছেন বিলুপ্তপ্রায় পাখিদের নিয়ে। স্বপ্ন এসব প্রজাতির পাখিদের নিয়ে হয়তো একদিন বই লেখা। সর্বোপরি হতে চান একজন ওয়াইল্ড লাইফ শখের ফটোগ্রাফার। বর্তমানে তিনি চাকরির সুবাদে ময়মনসিংহ শহরে বসবাস করছেন স্ত্রী ও দুই কন্যা সন্তান নিয়ে। সিজার এর সাথে ফেসবুকের মাধ্যমে পরিচয়। হঠাৎ চোখে পড়লো তার ফেসবুক  আইডিতে লেখা কিছু টিয়া পাখির ছবি সমৃদ্ধ পোস্ট। দু'টি টিয়াপাখির অনেক গুলো ছবির সাথে পোস্টে লেখা কষ্টের ছাপ- ছবিতে পোস্ট লেখা দেখুন- পোস্টটি পড়ে কৌতুহল জাগলো আসলে রহস্য কি? ফোন করে জানতে চাইলাম হাসান শারিয়ার সিজার এর কাছে আসলে ঘটনা কি? জবাবে তিনি বললেন আমার কষ্ট করে তোলা ছবি, অনেকে নিজ নামে কপিরাইট করে পোস্ট করেছে দেশী বিদেশি (ভারতীয়) অসংখ্য পেজে। তবে দুঃখের বিষয় আমার অনুমতি তো দূরের কথা আমার নামটাও ব্যবহার করেনি কেউ। আমি পেশাদার কোন ফটোগ্রাফার নই। শখের বসে ছবি তুলি আজ চার বছর ধরে। পেশায় আমি গ্রামীণ ফোনের কর্মকর্তা হিসাবে ময়মনসিংহ জেলা শহরে কর্মরত আছি। আমি ইতিমধ্যে বহু দেশে গিয়েছি পাখির ছবি তুলতে। অবসরে যখনই সময় পাই বেরিয়ে পড়ি পাখির ছবি তুলতে। যে ছবিগুলো নিয়ে আমি দুঃখ প্রকাশ করে ফেসবুকে পোস্ট করেছি। আমি এই ছবিগুলো গত বৃহস্পতিবার রাত ১০.৩৬ মিনিটে আমার ফেসবুক আইডিতে পোস্ট করি এর পর বহু পেজে তা কপি হয়ে যায়। এই টিয়া দু'টির ছবিগুলো আলেকজান্ডার ক্যাসেল ময়মনসিংহ শহরে RAB এর ক্যাম্পের ভিতর আকাশমণি গাছ থেকে ক্যানন ডিভাইস এ তোলা গত বৃহস্পতিবার সকাল ১০ থেকে প্রায় ৩ ঘন্টা ব্যায় করে। আপনারা ছবিগুলোতে লক্ষ করলে বুঝতে পারবেন ছবিগুলোতে টিয়া দু'টির মান অভিমানের গল্প লুকিয়ে আছে। তিনি আরো বলেন, ছোটবেলা থেকেই পাখি দেখতে ভালো লাগতো। বিশেষ করে রঙিন পাখি। সে সময় পাখি ধরে খাঁচায় বন্দি করতে ইচ্ছে করতো আর এখন ক্যামেরায়। ছোটবেলায় অনেক অজানা পাখির নাম শিখি। তারপর ফেসবুকের মাধ্যমে অনেক বার্ডারদের সঙ্গে পরিচয় হয়। তাদের কাজ দেখে মুগ্ধ হই। ইন্টারনেটে প্রতিদিন নতুন কিছু শিখে যাচ্ছি। হাসান শারিয়ার সিজার এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, বার্ডিং বেশ ব্যয়বহুল। সাধারণ ক্যামেরা দিয়ে পাখির ছবি তোলা কষ্টকর। তাছাড়া বার্ডিং-এ করতে হয় ট্রাভেল। আবার বার্ডিংয়ে আয় করার সম্ভাবনা খুবই কম বাংলাদেশে। তাই শুধুমাত্র শখ হিসেবে পাখির ছবি তোলা। তিনি আরো বলেন আমার Hasan Shariar Sizer এই নামে ফেসবুক আইডি। আজ থেকে গত চার বছর আগে আমি কিছু পাখির ছবি তুলে ফেসবুকে পোস্ট করি ছবিগুলো বেশ ভাইরাল হওয়ায় ছবি তোলার আগ্রহ অনেকগুণ বৃদ্ধি পায়। এবং আমার হাজার হাজার ভিউয়ার্স'রা ছবি দেখে মন্তব্যে আমার জন্য দোয়া করেন, এটা আমার জন্য অনেক বড় পাওয়া। ভবিষ্যতে আমার শখের বসে তোলা বিলুপ্তপ্রায় পাখিদের নিয়ে একটি বই লিখতে চাই। এবং একজন ওয়াইল্ড লাইফ শখের ফটোগ্রাফার হতে চাই। হাসান শারিয়ার সিজার এর তোলা দেশ- বিদেশের অসংখ্য পাখিদের ছবির ভিতর কয়েকটি উল্লেখযোগ্য ছবি-



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: