ফিরে দেখা ২০২০/২১ সাল

মোঃ শাহ্ জালাল।। | প্রকাশিত: ২৯ এপ্রিল ২০২২ ০২:০৯

মোঃ শাহ্ জালাল।।
প্রকাশিত: ২৯ এপ্রিল ২০২২ ০২:০৯

ফাইল ফটো- এস মএ ইয়াকুব আলী ও ডাক্তার মেহেদী হাসান

বিশ্ব যখন ভয়ে ঘর বন্দি কোভিড-১৯ করোনা ভাইরাস এর কারণে। করোনায় মৃত ব্যাক্তির কাছে যখন তার আত্মিয় স্বজনরা কেউ ভয়ে আসে না, ঠিক তখন বিপর্যস্ত মানবতার মধ্যে সারাদেশে মানবতার আলোর মশাল জ্বালিয়ে মণিরামপুর উপজেলা বাসীর জন্য এগিয়ে এলেন

মণিরামপুরের দানবীর খ্যাত বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় ধর্ম বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য, বিশিষ্ট সমাজ সেবক যশোর সিটি প্লিজার চেয়ারম্যান এস এম ইয়াকুব আলী ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের তরুণ চিকিৎসক মানবিক ডা. মেহেদী হাসান। ব্যাক্তিগত'ভাবে এস এম ইয়াকুব আলী ও ডা.মেহেদী হাসান আপন দুই ভাই।

করোনা ভাইরাস শুরু থেকে অসহায় মানুষের মাঝে খাদ্য সামগ্রী ও নগদ অর্থ বিতরণ অব্যাহত রেখেছেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক উপ-কিমিটির নির্বাহী সদস্য ও যশোর সিটি প্লাজার চেয়ারম্যান এস এম ইয়াকুব আলী। বিভিন্ন মাধ্যমে এসকল অসহায় মানুষের সবসময় খোঁজ খবরও নেন তিনি। এস এম ইয়াকুব আলী ততকালীন উপজেলা নির্বাহী অফিসার আহসান উল্লাহ শরিফীর সমন্বয় এ মণিরামপুর উপজেলার ১৭টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভায় প্রথম ধাপে ১ হাজার ৫’শ পরিবারকে ৫ লক্ষ ৫০ হাজার ৭’শ টাকার খাদ্য সামগ্রী, মণিরামপুরে ইউএনও কর্তৃক কামালপুর-মোহনপুর গ্রামে লকডাউন ১৫ পরিবারকে ১০ হাজার ৩’শ ৩৫ টাকার খাদ্য সামগ্রী, মণিরামপুরে ইউএনও অফিসের হটলাইনে আসা ফোন কলের মাধ্যমে ৫০ পরিবারকে ১৭ হাজার ৬’শ টাকার খাদ্য সামগ্রী, পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে উপজেলার শ্যামকুড় ইউনিয়নে পুনরায় ৩’শ ৫৮ পরিবারকে ২ লক্ষ ৪৫ হাজার ৫’শ ৮৮ টাকার খাদ্য সামগ্রী, উপজেলার গোবিন্দপুর গুচ্ছ গ্রামে ৪২ পরিবারকে ১৪ হাজার ৭’শ ৮৪টাকার খাদ্য সামগ্রী, যশোর পৌরসভা মেয়রের ত্রাণ তহবিলে ১ লক্ষ ৩২ হাজার টাকার ২ মেট্রিক টন মুসরী ডাল, যশোর পৌরসভার ০৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলরের ত্রাণ তহবিলে ৩৬ হাজার টাকার ১ মেট্রিক টন স্বর্ণা চাল, যশোরস্থ মণিরামপুর কল্যাণ সমিতি ত্রাণ তহবিলে নগদ ২৫ হাজার টাকা, যশোর পুলিশ সুপারের মাধ্যমে ৭০ পরিবারকে ৪০ হাজার ৮’শ ৮০টাকার খাদ্য সামগ্রী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ‘বি’ সার্কেলের মাধ্যমে ২৬ পরিবারকে ১১ হাজার ৫০টাকার খাদ্য সামগ্রী, ডিএসবি (সার্বিক) যশোর এর ফোন কলের মাধ্যমে ৫০ পরিবারকে ১৮ হাজার ৭’শ টাকার খাদ্য সামগ্রী, পুলিশের উপস্থিতিতে এস এম ইয়াকুব আলীর বাস ভবন যশোর বকচর এলাকায় পর পর দুইদিন ১’শ ৮০ পরিবারকে ১লক্ষ ১৫ হাজার ১’শ ২০ টাকার খাদ্য সামগ্রী ও নগদ ১০ হাজার টাকা বিতরণ, মুড়লী যশোর এলাকায় ৬০ পরিবারকে ২৭ হাজার ৯’শ ৬০টাকার খাদ্য সামগ্রী, সর্বমোট এস এম ইয়াকুব আলী ১২ লক্ষ ৪৫ হাজার ৭’শ ১৭ টাকার খাদ্য সামগ্রী বিতরণের মত মহৎ কাজের জন্য এলাকার হত-দরিদ্র ও বৃদ্ধ অসহায় নর-নারী প্রতিনিয়তই দু’হাত তুলে মহান সৃষ্টিকর্তার কাছে তার জন্য দোয়া করছেন এস এম ইয়াকুব আলী ও ডাক্তার মেহেদীর জন্য।

ডা. মেহেদী হাসান মণিরামপুরের মানুষকে ফ্রী করোনার চিকিৎসা সেবা দিয়ে গেছেন করোনা কাল থেকে। মহামারি করোনার প্রাদূর্ভাবে মানুষ যখন দিশেহারা। তখন যশোরের মণিরামপুরে ডা. মেহেদী হাসান নিরন্তর ছুটে চলেছেন করোনা আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা দিতে। তাঁর এই কাজের স্বীকৃতি স্বরুপ পেয়েছে গরীবের ডাক্তার খেতাব।
শুধু মণিরামপুরেই তিনি সিমাবদ্ধ রাখেননি ফ্রি চিকিৎসা সেবা। মণিরামপুরের পাশাপাশি তিনি সারাদেশের করোনা আক্রান্ত রোগীদের ফ্রি চিকিৎসাসেবা দিয়ে চলেছেন। দূর- দুরান্তের রোগীদের তিনি চিকিৎসাসেবা দিয়েছেন প্রতিনিয়ত টেলিমেডিসিনের মাধ্যমে। এ পর্যন্ত তিনি প্রায় ২০ হাজার করোনা আক্রান্ত রোগীকে টেলিমেডিসিনের আওতায় চিকিৎসা দিয়ে সুস্থ্য করেছেন। দরিদ্র থেকে শুরু করে প্রশাসনের কর্তা ব্যক্তিরাও বাদ যাননি ডা: মেহেদীর টেলিমেডিসিনের ফ্রী চিকিৎসা সেবা থেকে। ইতিমধ্যে তার এই অনবদ্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ তাকে জাতীয় পুরস্কার সহ ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার অফিস এবং ইঞ্জিনিয়ারিং ইনষ্টিটিউট(আইইইবি) ও যশোর পুলিশ সুপারের পক্ষ থেকে সংবর্ধনা প্রদান এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সংবর্ধনা পেয়েছেন তিনি। বর্তমানে ডা: মেহেদী হাসান বর্তমান ঢাকা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে(বিএসএমএমইউ) প্যালিয়েটিভ মেডিসিন বিভাগে কর্মরত রয়েছেন।

শুধু এখানে শেষ নয় দানবীর এস এম ইয়াকুব আলীর সাথে সমান তালে হাতে হাত রেখে দুই ভাই ছুঁটে চলেছেন মণিরামপুর বাসীর সেবায়। এসএম ইয়াকুব আলী ২০২০ইং সালের করোনা কালিন লকডাইনের সময় প্রায় ৪ হাজার পরিবারের মাঝে খাদ্য বিতরণ করেছেন উপজেলা প্রশাসনের মাধ্যমে ও নিজস্ব সেচ্ছাসেবকদের মাধ্যমে। ফোন কল করলেই পৌঁছে দিয়েছে খাদ্য। এছাড়াও করোনা থেকে সুরক্ষা পেতে বিভিন্ন সামাজিক ও সেচ্ছাসেবী সংগঠন ও নিজ এলাকায় পল্লী চিকিৎসকের মাঝে পিপিই, মাস্ক বিতরণ, শীতার্ত মানুষের মাঝে কম্বল বিতরণ করেছেন (কম্বল বিতরণ চলমান)। অসহায় গরীব মানুষ এবং বিভিন্ন ধর্মিয় প্রতিষ্টানে রয়েছে তাদের অনাবদ্ধ বিশেষ অবদান যার শুরু আছে কিন্তু শেষ নেই!!
বিশেষ এক সাক্ষাতে কথা হয় সিটিপ্লাজার চেয়ারম্যান ইয়াকুব আলীর সাথে তিনি সাংবাদিকদের বলেন আমি সবসময় ভালোকাজ ও অসহায় মানুষে পাশে আছি, আমার সাথে আমার ছোট ভাই ডাক্তার মেহেদী হাসান মানুষের পাশে থেকে কাজ করে যাচ্ছে । আল্লাহ্ যেন আমাদের কে রহমত করেন আজীব মানুষে কল্যানে পাশে থাকতে পারি। মণিরামপুর বাসীর কাছে আমি এই দোয়া কামনা করি।




আপনার মূল্যবান মতামত দিন: