উপাচার্যশূন্য বিশ্ববিদ্যালয়

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২০ ১১:০৯

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২০ ১১:০৯

ছবি সমসাময়িক
উপাচার্য একটি বিশ্ববিদ্যালয়কে নেতৃত্ব দেন, তাঁকে নিয়োগ দেন আচার্য ও রাষ্ট্রপতি। যেকোনো বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনার জন্য এ পদ অপরিহার্য। উপাচার্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘একাডেমিক লিডার’ শুধু নন, তিনি প্রশাসনিক প্রধানও বটে। উপাচার্য ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম ও প্রশাসনিক ব্যবস্থাপনা যথাযথভাবে চলতে পারে না। কিন্তু এ মুহূর্ত বাংলাদেশের সরকারি ও বেসরকারি মিলিয়ে মোট ৩০টি বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নেই। উপাচার্যের পরই যে গুরুত্বপূর্ণ পদটি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষা ও প্রশাসনিক কার্যক্রম পরিচালনার দায়িত্ব পালন করেন, সেই সহ-উপাচার্য ছাড়াই চলছে ১০৭টি বিশ্ববিদ্যালয়। অর্ধশতাধিক বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে কোষাধ্যক্ষও নেই। শীর্ষ তিনটি পদ ফাঁকা থাকায় এসব বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রশাসনিকসহ বিভিন্ন কাজে নানামুখী জটিলতার সৃষ্টি হচ্ছে। দেশে স্বায়ত্তশাসিত ও সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আছে ৪৬টি, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আছে ১০৭টি। মোট ১৫৩টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ৩০টিতে উপাচার্য না থাকার বিষয়টি বিস্ময়কর এবং অগ্রহণযোগ্য। এগুলোর মধ্যে তিনটি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, এগুলোতে সময়মতো উপাচার্য নিয়োগ করতে না পারার দায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের। কারণ, কোন সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে কখন উপাচার্যের পদ শূন্য হবে, তা শিক্ষা মন্ত্রণালয় আগে থেকেই জানে। তাই শূন্য পদটিতে নিয়োগদানের প্রক্রিয়া আগেই শুরু করা উচিত। কিন্তু মন্ত্রণালয় তা শুরু করে শেষ মুহূর্তে, যখন উপাচার্যের মেয়াদ শেষ হতে চলেছে। ফলে একজন উপাচার্য মেয়াদ শেষে বিদায় নেওয়ার পরও শিক্ষা মন্ত্রণালয় ওই পদে নতুন নিয়োগের প্রক্রিয়া শেষ করতে পারে না; বিশ্ববিদ্যালয়টি উপাচার্যহীন হয়ে পড়ে।


আপনার মূল্যবান মতামত দিন: