কঠিনতম চ্যালেঞ্জের মুখে তালেবান

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২০ ১১:১২

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২০ ১১:১২

ছবি সমসাময়িক
১৯ বছর আগের সেপ্টেম্বরে এ যুদ্ধের শুরু। আর ২০২০ সালের ১২ সেপ্টেম্বর কাতারের দোহায় একই প্রতিপক্ষরা বসেছে যুদ্ধের বদলে শান্তির খোঁজে। ইতিহাসের নির্মম কৌতুকই বলতে হয় একে। কোনো এক অনাগত ইতিহাস এ রকম যুদ্ধবাজ আর কপট শান্তিবাদীদের নিশ্চয়ই হাজার হাজার বেসামরিক মানুষের খুনের দায় নিতে বলবে। তারপরও সাধারণ আফগানরা এখনই শান্তি চায়। কিন্তু তালেবান কী পারবে সেটা দিতে? বন্দুক হাতে পাহাড়ের ফাঁকফোকর থেকে বিদেশি প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করার চেয়েও কঠিন এক চ্যালেঞ্জের মুখে এবার তারা। আলোচনার টেবিলে ন্যাটো জেনারেলরা নেই এখন। এবার স্বদেশি ভিন্নমতাবলম্বীদের মোকাবিলা করতে হচ্ছে তাদের। যুক্তিতর্ক আর আশ্বাসে নিজ দেশের বিভিন্ন মহলকে আশ্বস্ত করতে পারলেই কেবল কাবুলে ক্ষমতার ভাগ পাবে তারা।

একুশ বয়োবৃদ্ধ ‘তালেব’ এলেন দোহায়

‘তালেবান’ অর্থ ‘শিক্ষার্থী’ হলেও দোহায় ২১ সদস্যের যে দলটি দর-কষাকষি করতে এল, তাতে তরুণ কেউ নেই। ২০১৬ সালে কাবুল দখলের সময় ‘তালেব’দের এ দলের নেতৃত্বে তরুণেরাই ছিল। পাঁচ বছর পর ন্যাটোর আগ্রাসনের মুখে ক্ষমতা হারিয়ে এবং ১৯ বছর গেরিলাযুদ্ধ শেষে নেতৃত্বের সবাই এখন বেশ বয়স্ক। দোহায় এ ‘টিম-তালেবান’কে নেতৃত্ব দিচ্ছেন তাদের কথিত ‘প্রধান বিচারপতি’ আবদুল হাকিম ইসহাকজাই। উত্তর-পশ্চিম পাকিস্তানের দারুল উলুম হাক্কানিয়ার এ স্নাতকেরও বয়স ষাটের কোঠায়। তাঁর দল আলোচনায় মোকাবিলা করবে সমবয়সী সাবেক গোয়েন্দা মোহাম্মদ মাসুমের নেতৃত্বে ২০ সদস্যের আফগান আলোচক দলকে। দোহায় ওই আলোচনাকক্ষের আশপাশেই পাওয়া যাবে ইরান, রাশিয়া, পাকিস্তান এবং ভারতের অঘোষিত প্রতিনিধিদেরও। যুদ্ধের মতো শান্তিতেও আফগানিস্তানে এদের সবার গভীর স্বার্থ আছে। আর যুক্তরাষ্ট্র তো থাকছেই। সর্বাধুনিক অস্ত্র তাদের জেতাতে পারেনি আফগানিস্তানে। মুখরক্ষার জন্য তাই এখন শান্তির আড়াল দরকার। এ যুদ্ধে তাদের খরচ হয়েছে এরই মধ্যে ৮০০ বিলিয়ন ডলার।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: