কাবাডির ঐতিহ্য ফেরাতে চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন ও হাবিবুর রহমান এর ব্যাপক প্রচেষ্টা 

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ২৮ অক্টোবর ২০২১ ১৪:২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ২৮ অক্টোবর ২০২১ ১৪:২৩

ছবি সমসাময়িক

সম্পাদকীয় কলাম।। 

সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে বদলে যাচ্ছে আমাদের চারপাশের চিত্র। প্রযুক্তির উন্নতির সাথে সাথে বর্তমান সময় উঠেছে অনেকটাই যান্ত্রিক। মোবাইল গেমের কারণে এখন আর বিকেলে মাঠে দেখা যায় না কিশোর-কিশোরীদের। মোবাইল গেমস ও উন্নত প্রযুক্তির ছোঁয়ায় গ্রামীণ খেলাধূলার প্রতি আকৃষ্ট হচ্ছে না অনেকে। যার ফলে বাংলাদেশের জাতীয় খেলা কাবাডির সঠিক প্রচার-প্রচারণার অভাবে অনেক হয়তো এখন কাবাডি সম্পর্কে জানেই না। তবে সম্প্রতি আশার কথা হলো আস্তে আস্তে বেশ উন্নতি করছে কাবাডি। দেশজুড়েও ছড়িয়ে পড়ছে কাবাডির সেই পুরাতন জোয়ার। আর ঐ ঐতিহ্যবাহী কাবাডি খেলা বিলুপ্ত হাত থেকে রক্ষা করতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন বর্তমান বাংলাদেশ কাবাডি ফেডারেশনের নতুন সভাপতি র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়নের (র‌্যাব) মহাপরিচালক চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন ও সাধারণ সম্পাদক- ঢাকা রেঞ্জ ডিআইজি হাবিবুর রহমান বিপিএম (বার)।
কাবাডি বা হাডুডু খেলার ইতিহাস:
বাংলাদেশের নিজস্ব ঐতিহ্যবাহী খেলার মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় ও সমাদৃত খেলা হচ্ছে হাডুডু বা কাবাডি। বাংলাদেশের অধিকাংশ জায়গায় বিশেষ করে আমার নিজের জেলা যশোরের এই খেলা হাডুডু নামেই পরিচিত। এই খেলা বাঙালির লোকজীবনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ এবং প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী। ব্যাপক জনপ্রিয়তা ও লোকায়ত ঐতিহ্যের জন্যে এই খেলা বাংলাদেশের জাতীয় খেলার মার্যাদা পেয়েছে।  কাবাডি খেলা এশিয়া মহাদেশের গ্রীষ্মকালীন একটি জনপ্রিয় খেলা। তবে ভারতীয় উপমহাদেশের একটি প্রাচীন খেলা। এই উপমহাদেশে অঞ্চল ভিত্তিক বিভিন্ন নামে এ খেলাটি অনুষ্ঠিত হয়। যেহেতু আঞ্চলিক খেলা, তাই কোনো বিধিবদ্ধ নিয়মকানুন ছিল না।
বাংলাদেশের গ্রামাঞ্চলের ঐতিহ্যবাহী হাডুডু খেলার পোশাকি নাম কাবাডি। কিছু দিন আগে পর্যন্ত হাডুডু খেলা ছিল সমগ্র বাংলাদেশ সহ যশোরের বিনোদনের অন্যতম উৎস। আমাদের যশোর জেলাতে হাডুডু প্রতিযোগিতার বিজয়ীদলকে পুরস্কারস্বরূপ ষাঁড়, খাসি, পিতলের কলসি কিংবা সোনা–রূপার মেডেল উপহার দেওয়া হয়। এটি একটি দলীয় খেলা এবং এ খেলায় মোটা অংকের খরচ বলতে কিছুই নেই।
★★ধারণা করা হয় যে প্রাগৈতিহাসিক যুগে যখন খাদ্য সংগ্রহের পাশাপাশি নিজের অস্তিত্ব রক্ষার জন্য মানুষ একক ভাবে বা দলীয় ভাবে শিকার করতে এবং বন্য প্রাণীর আক্রমণ থেকে নিজেকে রক্ষা করতে শিখেছিল, তখন কাবাডির সূচনা।
★★পুরো দক্ষিণ এশিয়াতে কাবাডি প্রচলিত থাকলেও এর উৎপত্তি স্থল পাঞ্জাব। কাবাডির উৎপত্তি সম্পর্কে আরেকটি মত হচ্ছে, মহাভারতে বর্ণিত অভিমন্যু কর্ত্তৃক কৌরব সৈন্যদের চক্রব্যুহ ভেদ করার ব্যর্থ চেষ্টার ঘটনা থেকে ধারণা নিয়ে এ খেলার সৃষ্টি হয়।
★★কাবাডি খেলার উৎপত্তি সম্পর্কে প্রচলিত আরেকটি ধারণা হচ্ছে এটি আরম্ভ হয় তামিলনাড়–তে। দুটি বাচ্চা ছেলের ছোঁয়াছুঁয়ি খেলা থেকে এর ধারণা পাওয়া যায়, যদিও দম ধরে রাখার বিষয়টি তাতে পরে যুক্ত হয়। তামিল এলাকায় এ খেলাটি কাবাডি, সাডুগুডি, গুডুগুডু, পালিঞ্জাডুগুডু ও সাডুগুডাত্থি নামে পরিচিত। কাবাডি শব্দটি খুব সম্ভবত উৎপত্তি হয়েছে তামিল কাই (হাত) ও পিডি (ধরা) শব্দ থেকে।
★★এ খেলা ভারত ও পাকিস্তানে কাবাডি, বাংলাদেশে হাডুডু, নেপালে ডুডু, শ্রীলংকায়, গুডুগুডু, থাইলান্ডে থিকাব ও মালয়েশিয়ায় ছি গুডু গুডু নামে প্রচলিত ছিল। ব্যক্তি ও দলগত ভাবে শত্র“পক্ষের আক্রমণ প্রতিহতকরণ এবং তড়িৎ পাল্টা আক্রমণের কৌশল চর্চা করতে গিয়েই এ খেলার উদ্ভব। এ খেলায় সফলতার পূর্বশর্ত হচ্ছে শারীরিক ও মানসিক ক্ষিপ্রতা, পেশীর ক্ষিপ্রতা, ফুসফুসের শক্তি ও সহনশীলতা, দ্রুত চিন্তা ও সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা ও তা প্রয়োগের সামর্থ্য এবং সর্বোপরি প্রতিপক্ষের কৌশল ও মনোভাব অনুধাবনের যোগ্যতা।
★★একটি ঐক্যবদ্ধ নিয়মে খেলাটি প্রচলনের জন্য ১৯৫০ সালে ভারতে জাতীয় কাবাডি ফেডারেশন গঠিত হয়।  ১৯৫৩ সালে এই ফেডারেশন কাবাডি খেলার নিয়মকানুন প্রণয়ন করে। কয়েক বছর বিচার বিশ্লেষণ করে ১৯৬০ সালে কিছু নিয়মকানুন সংশোধন ও সংযোজন হয়।
★★১৯৭৪ সালে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে প্রথম কাবাডি টেস্ট বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত হয়। ভারতীয় কাবাডি দল ৫টি টেস্টে অংশগ্রহণ করে ৪–১ এ জয়লাভ করে। এ প্রতিযোগিতা বাংলাদেশে বিপুল উৎসাহের সৃষ্টি করে। ফিরতি টেস্ট খেলার জন্য বাংলাদেশের জাতীয় কাবাডি দল ১৯৭৯ সালে ভারতে যায়।
★★১৯৮৭ ভারতের ইস্পাতনগরী নামে খ্যাত মধ্য প্রদেশের ভিলাই স্টিল মিলের গেস্ট হাউজে অনুষ্ঠিত বৈঠকে ভারত বাংলাদেশ ও নেপালের প্রতিনিধিবৃন্দ যোগদান করেন। উক্ত বৈঠকে এশিয়ান কাবাডি ফেডারেশন গঠিত হয়। এরই সূত্র ধরে ১৯৮০ সালে প্রথম এশিয়ান কাবাডি চ্যাম্পিয়নশিপ কলকাতায় অনুষ্ঠিত হয়। এ প্রতিযোগিতায় ভারত, বাংলাদেশ ও নেপাল অংশগ্রহণ করে। ভারত চ্যাম্পিয়ন ও বাংলাদেশ রানার্স–আপ হয়।
★★স্বাধীনতা লাভের পর বাংলাদেশের খেলাধুলার গতি সঞ্চারের লক্ষ্যে বিভিন্ন ফেডারেশন পুনর্গঠন করা হয়। তারই ধারাবাহিকতায় ১৯৭৩ সালে বাংলাদেশ কাবাডি ফেডারেশন গঠিত হয়। ১৯৭৩ সালে পশ্চিম বাংলার আসানসোলে ভারতের জাতীয় কাবাডি প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।
★★ওই প্রতিযোগিতা পর্যবেক্ষণের জন্য বাংলাদেশ থেকে কাজী আনিছুর রহমান ও আমীর হামজা আসানসোলে যান। তখন থেকে ভারতীয় কাবাডি খেলার নিয়মকানুন অনুসরণ করা হয়। ১৯৭৪ সাল থেকে বাংলাদেশে জাতীয় কাবাডি প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ১৯৮০ সালে ভারতের এনআইএস থেকে কাবাডি খেলার ওপর প্রশিক্ষণ নিয়ে এসে আবদুল হক বাংলাদেশে কাবাডি খেলার কলাকৌশল ও নিয়মকানুন প্রবর্তন করেন।
★★বাংলাদেশের অক্লান্ত প্রচেষ্টায় ১৯৮৫ সালে ঢাকায় অনুষ্ঠিত সাফ গেমসে কাবাডি খেলা নিয়মিত ইভেন্ট হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হয়। তখন থেকে কাবাডি খেলা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে পা রাখে।
★★১৯৯০ সালে বেইজিংয়ে অনুষ্ঠিত এশিয়ান গেমসে কাবাডি খেলাকে অন্তর্ভুক্ত করে এই খেলাকে আন্তর্জাতিক মর্যাদায় উন্নীত করা হয়। এরপর থেকে কাবাডি খেলা নিয়মিত ইভেন্ট হিসেবে এশিয়ান গেমসে অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। ২০০৪ সালের প্রথম বিশ্বকাপ আসরেও বাংলাদেশ তৃতীয় হয়েছিল। ২০০৭ সালের বিশ্বকাপে তৃতীয়স্থান লাভ করেছিল বংলাদেশ। ২০১৬ সালে ভারতে অনুষ্ঠিত কাবাডি বিশ্বকাপে পাঁচটি ম্যাচ জেতার পরও সেমিফাইনাল পৌঁছাতে পারেনি বাংলাদেশ দল। কাবাডি খেলায় বিশ্বে এক সময় বাংলাদেশই ছিল শ্রেষ্ঠ শক্তিধর দেশ। সর্বশেষ ২০২১ সালে
বঙ্গবন্ধু কাপ আন্তর্জাতিক কাবাডি টুর্নামেন্টে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হয়েছে স্বাগতিক বাংলাদেশ। এটাই  প্রথমবারের মতো কোনও ট্রফি জিতলো বাংলাদেশ কাবাডি দল।
এবং সম্প্রতি কাবাডির সবচেয়ে বড় কর্পোরেট ইভেন্ট প্রো কাবাডি লিগের দলে পেয়েছেন বাংলাদেশের তিন কাবাডি খেলোয়াড় তুহিন তরফদার, মাসুদ করিম এবং জিয়াউর রহমান। সেখানে তারা নিজেদের সেরাটা দিয়ে পারফর্ম করতে সচেষ্ট  আছেন। এবং কাবাডির বর্তমান এ উন্নতিকে তারা ফেডারেশনের অক্লান্ত পরিশ্রম হিসেবে দেখছেন। ফেডারেশন কর্তাদের পরিশ্রমেই কাবাডির উন্নতি হচ্ছে বলে মনে করেন এই খেলোয়াড়রা।
★★কাবাডিতে নতুন সভাপতির চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন এর ভূমিকা:
বাংলাদেশ কাবাডি ফেডারেশনের নতুন সভাপতি হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার পর, সভাপতি  র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়নের (র‌্যাব) মহাপরিচালক চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন। ২২ সেপ্টেম্বর ২০২১, মঙ্গলবার বিকেলে কাবাডি ফেডারেশনের কার্যনির্বাহী পরিষদের বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন। এবং নির্বাহী কমিটির বৈঠকে কয়েকটি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন।
১. করোনা প্রাদুর্ভাবের মধ্যে সারাদেশের কাবাডি খেলোয়াড়দের নিজেদের মতো করে প্রশিক্ষণ কার্যক্রম চালিয়ে নেওয়ার বিশেষ অনুরোধ।
২. দেশের কাবাডির মানোন্নয়নে ফেডারেশনের উদ্যোগে স্বল্প সময়ের মধ্যে নতুন কোচেস কোর্স ও নতুন রেফারি প্রশিক্ষণ কোর্স আয়োজন করা।
নবনিযুক্ত সভাপতি আব্দুল্লাহ আল-মামুন
আরো বলেন, ‘কাবাডি আমাদের জাতীয় খেলা। আমরা চাই দেশের সকল জেলায় কাবাডি নতুন করে জেগে উঠবে। সে লক্ষ্যে আমরা ফেডারেশনের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালাবো, এবং সকল প্রকার প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়া হবে। তবে শুধু ফেডারেশনের উদ্যোগেই সর্বোচ্চ সফলতা পাওয়া যাবে না, সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন। আশা করি দেশের কাবাডিকে এগিয়ে নিতে সবাই আমাদের পাশে থাকবেন।’
গত ১০ই অক্টোবর ২০২১ বাংলাদেশ কাবাডি ফেডারেশনের কার্যনির্বাহী নতুন কমিটির প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয় র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) এর প্রধান কার্যালয়।
বাংলাদেশ কাবাডি ফেডারেশনের নতুন সভাপতি র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়নের (র‌্যাব) মহাপরিচালক চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন বাংলাদেশ কাবাডি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা রেঞ্জ ডিআইজি হাবিবুর রহমান বিপিএম (বার)। এই অনুষ্ঠানে আমার থাকার সুযোগ হয়েছিল। অনুষ্ঠানে ব্যাপক ভূমিকা নিয়ে সকলকে কাজ করার আহবান করেন সাধারণ সম্পাদক ডিআইজি হাবিবুর রহমান বিপিএম (বার)। তিনি বলেন এ প্রজন্মের ছেলে-মেয়েরা গ্রামবাংলার হাজার বছরের ঐতিহ্য গ্রামীণ খেলাধুলা তো করেই না, এমন কি নাম জানে কিনা সেটি এক প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে। অথচ এক সময় এ সমস্ত খেলাধুলাকে বাদ দিয়ে বাঙালি ঐতিহ্যের পূর্ণতাকে কল্পনাও করা যেত না। বর্তমানে ঐতিহ্যবাহী খেলাধুলার প্রচলন না থাকায় গ্রামীণ জনপদ থেকে হারিয়ে যেতে বসেছে হাজার বছরের বাঙালী’র ঐতিহ্য। বিংশ শতাব্দীর শেষের দিকেও গ্রামের শিশু-কিশোররা পড়াশোনার পাশাপাশি মেতে উঠতো বিভিন্ন ধরনের খেলায়। বিকেলে খোলার মাঠে দস্যিপনা চালাতো শিশু-কিশোররা। যুবকরা দলবেঁধে খেলত হা-ডু-ডু, দাঁড়িয়াবান্ধা, কাবাডিসহ বিভিন্ন গ্রামীণ খেলা। এমনকি সেখানে স্থান পেত বর্তমান সময়ের সবচেয়ে জনপ্রিয় খেলা ক্রিকেট, ফুটবলও হলেও কাবাডি জনপ্রিয়তা দিক দিয়ে কোন অংশে কম নয়। শৈশবের দুরন্তপনায় মেতে থাকতো ছেলে-মেয়ের দল। বর্তমান আধুনিক প্রযুক্তি কেড়ে নিয়েছে অতীতের ঐতিহ্যবাহী খেলাধুলাকে। তাই কবাডির অতীতের ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে প্রতিবছর সব স্কুল-কলেজ, মাদ্রাসাগুলোতে আগামীতে খেলাধুলার আয়োজন করা হবে। ইউনিয়ন থেকে উপজেলা, উপজেলা থেকে জেলা এরপর বিভাগীয় পর্যায়ে মাধ্যমে আমাদের কাবাডির নতুন খেলোয়ার নির্বাচন করা হবে। এতে করে নতুন নতুন খেলোয়াড় তৈরি হবে।
এসময় নবাগত কমিটির সকলকে তিনি দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি নিজ নিজ জেলা ও বিভাগের দায়িত্ব গ্রহণের জন্য  যশোর সিটি প্লাজার চেয়ারম্যান কাবাডি ফেডারেশনের সদস্য এস এম ইয়াকুব আলী 'কে খুলনা বিভাগের টুর্নামেন্টের দায়িত্ব গ্রহণ করতে বলেন। তিনি আরো বলেন, এখন সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে স্থানীয় ক্লাবের সহযোগীতায় কিছু উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। ফলে আমাদের সকলের বিভিন্ন উদ্যোগ বৃদ্ধির মাধ্যমেই কেবল কাবাডির অতীত ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনা সম্ভব।
সত্যি বাংলাদেশ কাবাডি ফেডারেশনের নতুন সভাপতি র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়নের (র‌্যাব) মহাপরিচালক চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন ও সাধারণ সম্পাদক- ঢাকা রেঞ্জ ডিআইজি হাবিবুর রহমান বিপিএম (বার) যদি তাঁদের প্রচেষ্টাকে সফল করতে পারে তাহলে কাবাডি ফিরে পাবে তার হারানো ঐতিহ্য। এবং ধীরে ধীরে পুনরায় ক্রিকেট, ফুটবলের মতোই জনপ্রিয় হয়ে উঠবে আমাদের এই শতবছরের ঐতিহ্যর জাতীয় খেলা কাবাডি।

লেখক, 

মোঃ শা হ্ জা লা ল। 

কলামিস্ট ও সম্পাদক- দৈনিক সমসাময়িক নিউজ।




আপনার মূল্যবান মতামত দিন: