মণিরামপুর ইউপি নির্বাচনে বেপরোয়া আ.লীগের বিদ্রোহীরা, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসছে বহিষ্কারের নির্দেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ৩১ অক্টোবর ২০২১ ১০:৪৯

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ৩১ অক্টোবর ২০২১ ১০:৪৯

ছবি সমসাময়িক

মোঃ শাহ্ জালাল।।

বর্তমান সারাদেশে ধাপে ধাপে চলছে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন। আর এই ইউপি নির্বাচনে দলের হাইকমান্ডের একাধিকবার কঠোর নির্দেশনার পরও থেমে নেই নৌকা বঞ্চিত বিদ্রোহী প্রার্থীরা। প্রথম, দ্বিতীয় ধাপের মতো তৃতীয় ধাপে যশোরের মণিরামপুর ১৬ ইউপিতে নির্বাচন। এই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে অধিকাংশ ইউপিতেই মাঠে রয়েছেন দলের সিদ্ধান্ত অমান্যকারীরা (বিদ্রোহী)। এতে তৃণমূলে প্রকাশ্য রূপ নিয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব। আওয়ামী লীগ আওয়ামী লীগ কাদা ছুঁড়া ছুড়ি শুরু করেছেন। উপজেলার কোথাও কোথাও নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নেতাকর্মীরা একে অন্যের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ছেন। বিভিন্ন স্থানে ঘটছে মারামারি হুমকি ধামকির ঘটনাও। গত এক সপ্তাহে কমপক্ষে ছয়জনকে মারপিট ও বাড়ি বাড়ি হামলা, হুমকি ধামকীর খবর পাওয়া গেছে শ্যামকুড় ইউনিয়নে। একই সাথে চালুয়াহাটি ইউনিয়নে চলছে নৌকা পেয়েছে রাজাকার পুত্র এই নিয়ে বিতর্ক। যদিও এখন পরিবেশ শান্ত তবে থেমে নেই বিদ্রোহীর প্রার্থীদের নির্বাচনী প্রচার প্রচারণা। এমন অবস্থায় একরকম বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারকরা। কারণ কেন্দ্রীয় পূর্বঘোষণা অনুযায়ী, দলের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে যারা নির্বাচন করবেন, তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়ার কথা। কিন্তু আগের মতোই দলের বৃহত্তর স্বার্থের কথা চিন্তা করে এখনই তাদের বিরুদ্ধে কঠোর কোনো ব্যবস্থায় গ্রাহণ করা হয়নি। এক্ষেত্রে একরকম ‘ধীরে চলো নীতি’ অনুসরণ করা হচ্ছে। ফলে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীদের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে দাঁড়িয়েছেন বিদ্রোহীরাই। সরকারি দলের নীতিনির্ধারণী সূত্রে জানা যায় এসব তথ্য। আরও জানাযায়, টানা দীর্ঘ ক্ষমতায় থাকা এবং বিএনপি দলীয়ভাবে অংশ না নেওয়ায় প্রার্থীর সংখ্যা বেড়েছে। তবে মণিরামপুর উপজেলা বিএনপি গোপনে একক প্রার্থী দিতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। অন্যদিকে বিদ্রোহী প্রার্থীদের দাবি-স্থানীয় রাজনীতিতে গ্রুপিং এবং কেন্দ্রে নাম পাঠানোর সময় স্বজনপ্রীতি ও মনোনয়ন বাণিজ্যসহ নানা কারণে তারা বঞ্চিত হয়েছেন। এ কারণে নিজেদের ‘অধিক জনপ্রিয়’ দাবি করে মাঠ ছাড়তে নারাজ তারা। আগামি ২৮ নভেম্বর উপজেলার ১৬ ইউপিতে নির্বাচন। এই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আওয়ামীলীগ থেকে ১৬ ইউপিতে চেয়ারম্যান প্রার্থী হতে দলিয় মনোনয়নের প্রত্যাশায় ১২৮ জন প্রার্থী কেন্দ্রীয় কমিটির কাছে আবেদন করেন। ২২ অক্টোবর আওয়ামীলীগের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্বাক্ষরিত দলিয় মনোনয়ন পান ১৬ জন। নির্বাচনের বিষয় সম্পর্কে জানতে চাইলে মণিরামপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যক্ষ কাজী মাহমুদুল হাসান বলেন, বিদ্রোহীদের বিষয়ে আমাদের অবস্থান কঠোর। আমরা উপজেলা আওয়ামী লীগ বিষয়টি নিয়ে বেশি বিব্রতকর পরিস্থিতিতে বিধায় আগামী ৩ নভেম্বর জেলহত্যা দিবস ও নৌকা প্রতিক বিজয়ের লক্ষে জরুরি বর্ধিত সভার আয়োজন করেছি ইনশাআল্লাহ সভায় সকলের সম্মতিতে কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী একটা সিন্ধান্ত গ্রহণ করা হবে। বিদ্রোহীদের বিষয়ে কেমন ধরনের সিন্ধান্ত নেওয়া হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, যদি কেউ দলীয় প্রতিক নৌকার বিরুদ্ধে বিদ্রোহী প্রার্থী হয় তাকে কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সাময়িক বহিষ্কার করা হবে।


আপনার মূল্যবান মতামত দিন: