মনিরামপুর গজশ্রী খালের পাশের শ্মশানটির করুণ অবস্থা, নেই কোনো প্রতিনিধির নজর

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ৩১ ডিসেম্বর ২০২০ ১৪:৩৩

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ৩১ ডিসেম্বর ২০২০ ১৪:৩৩

ছবি সমসাময়িক

বিশেষ প্রতিনিধি।। মনিরামপুর উপজেলার ১২ নং শ্যামকুড় ইউনিয়নের ৫ ও ৬ নং ওয়ার্ডের হালসা গ্রামের গজশ্রী খালের পাশে এই শ্মশানটির করুণ অবস্থা। সেখানে নেই কোন টিউবয়েল নেই কোন সাকো-ব্রিজ নেই কোন শ্মশানের লোহায় গড়া রড এগুলো না থাকার কারণে বাড়ছে সাধারণ মানুষের ভুগান্তি। মুন্দিরসহ শ্মশানটির কমিটি গঠন থাকলেও সেখানে নজর নাই কারো নজর নেই কোন প্রতিনিধিরও এটা বললে ভুল হবেনা। একটি মুসলিমের যেমন শেষ ঠিকানা তার কবর স্থান, তেমনি একটি হিন্দুর শেষ ঠিকানা তার শ্মশান ঘাট। তাকে শেষ বিদায় দিতে যারা শ্মশানে গিয়ে থাকেন তাদের সেখানে অনেক কাজ করতে হয় আমরা জানি কিন্তু কাজ সম্পন্ন করে তাদের ফ্রেসও হতে হয় কিন্তু এ শ্মশানটিতে একটি টিউবয়েল পর্যন্ত আমাদের চোঁখো পড়লো না তা হলে কি করে শ্মশানে কাজ করা মানুষ গুলো ফ্রেস হবে। শ্মশানের পূর্বপাশে একটি বড়ো খাল রয়েছে তার পরই রয়েছে লাউড়ী ঋশি পাড়া। ঋশি পাড়া থেকে শ্মশানে আসার জন্য একটি বাঁশের সাকো ছিলো খুব দ্রুত মৃত ব্যাক্তিকে এ সাকোর উপর দিয়ে শ্মশানে নেওয়া যেতো কিন্তু এখন কোন সাকো সেখানে না থাকায় একটি মৃত ব্যাক্তিকে শ্মশানে আনতে ৫ মিনিটের পথের পরিবর্তে তাদের হাঁটতে হচ্ছে প্রায় ৫০ মিনিট। শ্মশানে হঠাৎ কিছু প্রয়োজন হলে হয় তারা অধিক পথ ঘুরে যাচ্ছেন তা না হলে খালের পানি পার হয়ে ভিজে বাসায় যাচ্চেন তারা। শ্মশানটি যেন অবহেলা ও অযত্নে পড়ে রয়েছে লাশ নিয়ে যাওয়া ছাড়া কোন ব্যাক্তি যায়না সেখানে মৃত ব্যাক্তিকে যার উপর রেখে পোড়ানো হয় নেই সেখানেও কোন রড যার কারণে কাঠ সাজাতে সমস্যাই পড়তে হচ্ছে তাদের লাশ শ্মশানে রেখে বাড়ি বাড়ি লড খুজে বেড়াচ্ছেন তারা। সকল প্রতিনিধিদের এ শ্মশানটির দিকে লক্ষ্য দেওয়ার জন্য বিশেষ ভাবে অনুরোধ জানিয়েছেন এলাকাবাসী। বিনীত অনুরোধ নিশ্চয়ই কোন জনপ্রতিনিধি রাখবেন বলে আশাবাদী সাধারণ মানুষের। এজন্য জরুরী ভাবে একটি টিওবয়েলসহ একটি সাঁকোর সু-ব্যবস্থা প্রয়োজন, সাথে চিতার চারি পাশে ৬টি রড।


আপনার মূল্যবান মতামত দিন: