মনিরামপুরে ২১ সালের প্রথম প্রহরের দুই মানবতার ফেরিওয়ালা সজিব ও ইমন

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ৮ জানুয়ারী ২০২১ ১৮:১০

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ৮ জানুয়ারী ২০২১ ১৮:১০

ছবি সমসাময়িক
 

মোঃ শাহ্ জালাল।।

যশোর জেলার মনিরামপুর উপজেলার ২০২১ সালের প্রথম প্রহরের দুই মানবতার ফেরিওয়ালা মোঃ সজিব হোসেন ও মুর্শিদ হাসান ইমন কে নিয়ে আমার আজকের আলোচনা। ইমন, সজিব দু'জনই বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাথে জড়িত এবং ইমন স্বেচ্ছাসেবী সংস্হা বন্ধনের সভাপতি। আসুন আলোচনা করি অন্যরকম এই দুই ছাত্রনেতা গল্প। মনিরামপুর উপজেলার একটি পৌরসভা ও ১৭ টি ইউনিয়ন। করোনাভাইরাসের কারণে দেশব্যাপী লকডাউন থাকায় মনিরামপুর বাসীও অসহায় হয়ে পড়েন। আর ঠিক তখনি এগিয়ে এসেছিলেন অসহায় ঘর বন্ধি মানুষের পাশে মানবতার ফেরিওয়ালা হয়ে কোন পারিশ্রমিক ছাড়ায় করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় ইমন ও সবজি। সেতো গেল করোনার কথা এখন শীতের মৌসুম থেমে নেই তারা ছুটেছে কম্বল নিয়ে শীতার্ত অসহায় মানুষের বাড়ি বাড়ি। যে ভাবেই হয়ে উঠলেন তাঁরা মানবতার ফেরিওয়ালা। আমরা মনিরামপুর বাসী ইতিমধ্যে হয়তো এসএম ইয়াকুব আলী নামের একজন দানবীরে গল্প শুনেছি। হয়তো এখন সবার মুখে মুখে ইয়াকুব আলীর নাম। যার উদারতার গল্প বলে শেষ করার নয়। দানবীর এসএম ইয়াকুব আলী ২০২০ সাল জুড়েই ছিলো অসহায় মানুষের পাশে, ছিলো আলোচনা মানুষে মুখে মুখে। কেননা ইয়াকুব আলী করোনাভাইরাস মোকাবেলার আয়োজন টা ছিলো একটু ভিন্নতা। আর তাঁর সেই আয়োজনের সকল দায়িত্ব কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে পালন করছে ছাত্রনেতা কাজী টিটো ও তার সহযোগিতায় ছিলো এই সজিব ও ইমন। মনিরামপুর অসহায় দুস্থ দীনমজুর প্রায় ৩ হাজার পরিবারের তালিকা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট প্রদানের মাধ্যমে করেছেন সহযোগিতা। সেই তালিকা অনুযায়ী মনিরামপুর উপজেলার ১টি পৌরসভা ও ১৭টি ইউনিয়নে ব্যাপী প্রতিটি ঘরে খাদ্য সামগ্রী সরাসরি অসহায় মানুষের কাছে পৌঁছে দিয়েছেন তারা। শুধু এখানেই শেষ নয় দানবীর ইয়াকুব আলী সেদিন ঘোষণা করেছিলে উপজেলা প্রশাসনের মাধ্যমে ত্রাণের জন্য যে নাম্বারটি ওপেন আছে এই নাম্বরে ফোন করে মনিরামপুর উপজেলার অসহায় মানুষ যদি ত্রাণ না পায় কিংবা কোন কারণে যদি প্রশাসনের ত্রাণ সংকট দেখা দেয় সেক্ষেত্রে প্রশাসনের দেওয়া তালিকা অনুযায়ী পুনরায় প্রয়োজনীয় ত্রাণ সামগ্রী প্রদান করবেন তিনি। সেই ঘোষণা অনুযায়ী কেউ ফোন করা মাত্র পৌঁছে দিতেন খাদ্যসামগ্রী বাড়িতে ইমন ও সজিব। তাঁরা নিজেরাও খুঁজে খুঁজে বের করছেন অসহায় মানুষ দাড়িয়েছেন পাশে । আজও থেমে নেই এই দুই মানবতার ফেরিওয়ালা। তাদের কাছে দিন কিংবা রাত সবি সমান। এখন শীতের মৌসুমে খুঁজছেন দীন দুখি মানুষ, বলছেন আসসালামু আলাইকুম, আমি সজিব, আমি ইমন কেমন আছেন আপনারা। বলেই গায়ে কম্বল জড়িয়ে দিয়ে বলছেন এই নেন চাচা/চাচিমা মনিরামপুরের একজন দানবীর ইয়াকুব আলী আপনাদের জন্য কম্বল পাঠিয়েছেন। আপনাদের শীতের নিরাপদ ঘুমের জন্য। পাশাপাশি চলতি পথে সবাইকে করছেন সচেতন। বলছেন এখনও করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শেষ হয়নি। তাই সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হবেন না এবং আপনারা সবসময় সবাই মাস্ক ব্যবহার করবেন। দেশের দুর্যোগকালীন মুহূর্তে আপনারা সবাই সচেতন থাকেন। আমরা আপনাদের সেবাই নিয়োজিত আছি যে কোন প্রয়োজনে পাশে পাবেন। সংগ্রামী এই দুই ছাত্র নেতার কোন অহংকার নেই, নেই অর্থের পাহাড়, নেই বিলাসী গাড়ি বাড়ি আছে শুধু মানুষের প্রতি ভালোবাসা।


আপনার মূল্যবান মতামত দিন: