ন্যাটো জোটের সদশ্য হবে ইউক্রেন বললেন খোদ ন্যাটো মহাসচিব 

আন্তজার্তিক ডেক্স।। | প্রকাশিত: ১ মার্চ ২০২৩ ১০:১৮

আন্তজার্তিক ডেক্স।।
প্রকাশিত: ১ মার্চ ২০২৩ ১০:১৮

দৈনিক সমসাময়িক ফটো।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমগুলো খবরে প্রকাশ করছে গত কয়েক বছর ধরে মার্কিন নেতৃত্বাধীন ন্যাটো জোটের সদস্য হতে চাইছে ইউক্রেন।
আজ মঙ্গলবার খোদ ন্যাটোর মহাসচিব জেন্স স্টোলটেনবার্গ সংবাদ মাধ্যমে ইঙ্গিত দিয়েছেন, পশ্চিমাদের সামরিক জোটের সদস্য হবে ইউক্রেন। কিন্তু ইউক্রেন যে দ্রুততার সঙ্গে সদস্য হতে চাইছে তেমন কিছু হচ্ছে না। ন্যাটোতে ইউক্রেনের যোগদান একটি দীর্ঘমেয়াদি দৃষ্টিভঙ্গি। এতে সময় লাগবে। কিন্তু রাশিয়ার আক্রমণ মোকাবিলায় কিয়েভকে স্বাধীন থাকতে হবে। মঙ্গলবার ফিনল্যান্ডের রাজধানী হেলসিঙ্কিতে সাংবাদিকদের কাছে আরো বলেন, গত বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়া দেশটিতে আক্রমণের পর ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি দ্রুততার সঙ্গে ন্যাটোর সদস্যপদ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। রাশিয়ার আক্রমণের কিছু দিন পর ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য হতে আবেদন করেছে ইউক্রেন। জুন মাসে দেশটি ব্লকটির প্রার্থী সদস্য হয়েছে। ন্যাটো মহাসচিব বলেন, ন্যাটো মিত্ররা আমাদের জোটে ইউক্রেনকে সদস্য হিসেবে গ্রহণ করতে সম্মত হয়েছে। কিন্তু একই সঙ্গে এই বিষয়টি দীর্ঘমেয়াদী দৃষ্টিভঙ্গি, এখন গুরুত্বপূর্ণ হলো ইউক্রেনকে একটি সার্বভৌম স্বাধীন দেশ হিসেবে টিকে থাকা। যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও ২৮টি ইউরোপীয় দেশের এই সামরিক জোটকে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন রাশিয়ার নিরাপত্তার জন্য একটি হুমকি হিসেবে উল্লেখ করে আসছেন। দ্রুততার সঙ্গে ন্যাটোর সদস্য হতে জেলেনস্কি চাপ দিলেও দেশটিকে পূর্ণাঙ্গ সদস্য করার বিষয়টি জোট মিত্ররা গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করছেন কিনা তা স্পষ্ট নয়, এমনকি যুদ্ধ শেষ হলেও।

মঙ্গলবার ফিনল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী সানা মারিনের সঙ্গে এক সংবাদ সম্মেলনে ন্যাটো মহাসচিব বক্তব্যে ইঙ্গিত দেন, যখন যুদ্ধ শেষ হবে তখন আমাদের নিশ্চিত করতে হবে যা ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি না ঘটে। জেন্স স্টোলটেনবার্গ বলেন, প্রেসিডেন্ট পুতিন প্রতিবেশীদের ওপর আক্রমণ চালিয়ে যেতে পারেন না। তিনি ইউক্রেনকে নিয়ন্ত্রণ করতে চান, তিনি শান্তির পরিকল্পনা করছেন না। তিনি আরও যুদ্ধের পরিকল্পনা করছেন। মঙ্গলবার ফিনল্যান্ডের পার্লামেন্টে দেশটির দ্রুত ন্যাটোতে যোগদানের একটি বিলে আলোচনা হবে। বুধবার এই বিষয়ে একটি ভোটাভুটি অনুষ্ঠিত হতে পারে। বিগত বছরগুলোতে নিরপেক্ষ থাকলেও ইউক্রেনে রুশ আক্রমণের পর গত বছর ন্যাটোতে যোগদানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ফিনল্যান্ড ও সুইডেন এদিকে ন্যাটো মিত্র তুরস্ক ও হাঙ্গেরি দেশ দুটির জোটে যোগদানের বিষয়টি অনুস্বাক্ষর করেনি।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: