মণিরামপুরে প্রয়োজন ও মাস্ক ছাড়া বের হলে জরিমানা- এসিল্যান্ড পলাশ দেবনাথ

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ১৬ এপ্রিল ২০২১ ১৪:১২

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১৬ এপ্রিল ২০২১ ১৪:১২

ছবি সমসাময়িক
 

দৈনিক সমসাময়িক ডেস্ক।।

দেশে মহামারি করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ের কঠিন ধাক্কা চলছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় ৮ দিনের কঠোর লকডাউন জারি করেছে সরকার। লকডাউন চলাকালে সাধারণ মানুষকে ঘরের বাইরে বের হতে নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে। এই নির্দেশনা অমান্য করলে ব্যবস্থা নিতে মাঠে নেমেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। তবে জরুরি প্রয়োজনে বাইরে যাওয়ার জন্য 'মুভমেন্ট পাসে'র ব্যবস্থা করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার (১৬ এপ্রিল) সকাল ১০টা থেকে যশোরের মনিরামপুর উপজেলার ইউএনও সৈয়দ জাকির হাসান ও এসিল্যান্ড পলাশ দেবনাথ অভিযান চালিয়ে জরিমানা আদায় করেন। কঠোর লকডাউনের তৃতীয় দিনে করোনা নির্দেশনা না মানায় মণিরামপুর বাজার ও রাজগজ্ঞ বাজারে ১ দোকানি ও ৩ ব্যক্তিকে ৪ মামলা সহ সর্বমোট ৮০০ জরিমানা আদায় করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। ভ্রাম্যমাণ আদালতের বেঞ্চসহকারী সাইফুল ইসলাম ও ফাহিম আল মোমেন জরিমানার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এদিকে জরিমানার পাশাপাশি দিনভর মণিরামপুর ও রাজগজ্ঞ বাজারে করোনা প্রতিরোধে সকলকে সরকারি নির্দেশনা মেনে চলতে হ্যান্ডমাইকে সচেতনমূলক প্রচারণা চালান এসিল্যান্ড পলাশ দেবনাথ। নির্ধারিত সময়ের পরে দোকান খোলা রাখায় এসময় তিনি ১ দোকানি ও স্বাস্থ্য বিধিনিষেধ মাস্ক না ব্যবহার করবার কারণে ৩ ব্যক্তি কে জরিমানা করেন। রাজগজ্ঞ বাজারে গত সপ্তাহের তুলনায় গত তিনদিন অধিকাংশ মানুষকে লকডাউন মেনে ঘরে থাকতে দেখা গেছে। এবং প্রয়োজনে ছাড়া লোকজন বাইরে বেরুলেও সেটা অন্যদিনের তুলনায় একেবারেই কম ছিল। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত মণিরামপুর বাজারের রাস্তায় ট্রাকসহ ভ্যান ইজিবাইক মোটামুটি চলতে দেখা গেলেও কাঁচাবাজার, মাছবাজার ও মুদিখানার দোকানগুলোতে ক্রেতাসমাগম ছিল অন্যদিনের তুলনায় কম। বাজারের কাপড় ও গার্মেন্টস পট্টিতে দোকানদারদের বন্ধ দোকানের সামনে অপেক্ষায় থাকতে দেখা গেছে। তবে পৌরশহরের তুলনায় উপজেলার অন্য বাজারগুলোতে লকডাউন কার্যকর হয়েছে বেশি। লকডাউনে বন্ধ ছিল চা দোকান। সকাল বেলায় দুই একজন দোকান খুললেও সেটা ছিল অল্প সময়ের জন্য। এদিকে লকডাউন কার্যকর করতে গত তিনদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত মাঠে ছিল উপজেলা প্রশাসন, এসিল্যান্ডসহ থানা ও ফাঁড়ি পুলিশ। বিশেষ এক সাক্ষাৎকারে এসিল্যান্ড পলাশ দেবনাথ বলেন, জরিমানা করা উপজেলা প্রশাসনের উদ্দেশ্য নয়। প্রশাসনের উদ্দেশ্য করোনা প্রতিরোধে জনসচেতনতা সৃষ্টি করা এবং সরকারের সর্বাত্মক কঠোর লকডাউন মানতে মানুষের মাঝে সচেতনতা তৈরি করা।


আপনার মূল্যবান মতামত দিন: