সময় কখনো থেমে থাকে না, নদীর স্রোতের মত বহমান আশির দশকের ছাত্রনেতা আজ পরিপূর্ণ জনপ্রিয় আওয়ামী লীগার, বলছি জনতার নেতা আমজাদ হোসেন লাভলুর কথা, পদে পদে বঞ্চনার শিকার হয়েছেন এই মুজিব সৈনিক আসুন এবার জেনেনি তার রাজনৈতিক জীবন।
আমজাদ হোসেন লাভলু'র রাজনৈতিক জীবন শুরু ১৯৭৮ সাল থেকে, ১৯৮২ সালে মনিরামপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হিসাবে নির্বাচিত হয়। ১৯৮৪ সালে মনিরামপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি, ১৯৮৫ সালে যশোর জেলা ছাত্রলীগের সহ সভাপতি, ১৯৮৮ সালে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সদস্য, ১৯৯২ সালে মনিরামপুর উপজেলা যুবলীগের সদস্য, ১৯৯৩ ও ১৯৯৭ সালে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক(পরপর দুইবার), ১৯৯৬ সালে যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য । ২০০১ সালে উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম- আহবায়ক, ২০০৩ ও ২০০৬ সালে উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম- সাধারণ সম্পাদক (পরপর দুইবার), ২০১৪ সালে যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য, ১৯৯৯ সালে প্রথম পৌরসভার প্রথম মেয়র (চেয়ারম্যান) নির্বাচিত হলেও বি এন পির দ্বারা হামলা মামলা এর কারনে পরিপূর্ণ ভাবে দায়িত্ব পালন করতে পারেননি এসময় আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, যারা দলীয় সমার্থন নিয়ে চেয়ারম্যান হয়েছেন তারা পুনরায় আগামী পৌর নির্বাচনে দলীয় সমার্থীত প্রার্থী হবেন কিন্তু দূর্ভাগ্য দেশের কোথাও প্রার্থী পরিবর্তন না হলেও একমাত্র মনিরামপুর এ দলীয় প্রার্থীর পরিবর্তন হয়। এসময় আওয়ামী লীগ সমার্থীত প্রার্থী হয় এম. এম. নজরুল ইসলাম যিনি বিপুল ভোটে বি, এন, পি র প্রার্থী শহীদ ইকবালের কাছে পরাজিত হয়।
২০১৪ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী দলীয় মননীত প্রার্থী হয়ে মনিরামপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়। পরবর্তীতে ঔ একই ঘটনার সাক্ষী হয় লাভলু পাগল বঙ্গবন্ধু সৈনিকেরা।
তারপর ২০১৮ সাল থেকে আমজাদ হোসেন লাভলু বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনিরামপুর উপজেলা শাখার সহ-সভাপতি হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন। ২০১৪ সালে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ দলীয় মননীত প্রার্থী হয়ে মনিরামপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর দীর্ঘ ৫ বছর বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নের লক্ষে মুজিব আদর্শ বুকে ধারণ করে নিরলসভাবে সাধারণ মানুষের তরে কাজ করেছেন।
সামনে জাতীয় সংসদ নির্বাচন এই আসনে জনপ্রিয় ও স্বচ্ছ ইমেজের পরীক্ষীত প্রার্থী দিতে চায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। সেক্ষেত্রে আমজাদ হোসেন লাভলু এক মাত্র পরীক্ষিত ও স্বচ্ছ ইমেজের প্রার্থী হিসেবে এগিয়ে। দল-মতের ঊর্ধ্বে উঠে স্থান করে নিয়েছেন জনতার হৃদয়ে, এই আসনে উত্তরসূরি আমজাদ হোসেন লাভলু আওয়ামী লীগ এর দুঃসময়ের আওয়ামী প্রেমিদের আস্থার প্রতিক। রাজপথের মুজিব আদর্শের পরীক্ষিত সৈনিক আমজাদ হোসেন লাভলু চেয়ারম্যান এর দায়িত্বে থাকাকালিন সহজ-সরল জীবনযাপনের পাশাপাশি রাজনীতিতেও সরলতার পরিচয় দিয়েছেন। মনিরামপুর আওয়ামী লীগ প্রেমী নির্যাতিত অবহেলিত জনতার শেষ ঠিকানা আমজাদ হোসেন লাভলু দলের জন্য দুইবার নিজের জীবন এর ঝুকি নিয়েছেন, করেছেন কারাবরণ। যে কারণে অনেকেরই ধারণা সামনে তাকে মনোনয়ন দেওয়া হবে। রাজনৈতিক সচেতন মহল বলছেন, একমাত্র আমজাদ হোসেন লাভলু জনপ্রিয়তার শীর্ষে রয়েছেন এই আসনে আওয়ামী লীগের এমপি প্রার্থী হিসাবে তাকে না দিলে আসনটি হারানোর সম্ভাবনা আছে। এখন দেখার বিষয় এই আসনে কে হচ্ছেন আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী? এ অংক মেলানো বেশি জটিল। কারণ এখানে প্রার্থী আছে অনেক, কিন্তু সবার জনপ্রিয়তা সমান না। তবে কে পাচ্ছেন আওয়ামী লীগ এর মনোনয়ন এটি সামনে দেখার বিষয়। তথাপি বঞ্চিতদের বঞ্চনার শিকার হওয়া জনপ্রিয় নন্দিত নেতা হয়তো মানদন্ডে দন্ডিত হবে না বলে আশায় বুক বাঁধছে লাভলু প্রেমি পোড়খাওয়া আওয়ামী প্রেমি জনতা।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: