মণিরামপুর ৪ সদস্যের আ’লীগের কমিটি চলছে ৮ বছর দলের জন্য নেই কোন অগ্রগতি হয়না কর্মী মূল্যায়ন

স্টাফ রিপোর্টার,মণিরামপুর(যশোর)।। | প্রকাশিত: ২১ মে ২০২২ ২৩:১৬

স্টাফ রিপোর্টার,মণিরামপুর(যশোর)।।
প্রকাশিত: ২১ মে ২০২২ ২৩:১৬

ফাইল ফটো

মণিরামপুর উপজেলায় ৪ সদস্য বিশিষ্ট আ’লীগের কমিটি চলছে ৮ বছর। দলের জন্য নেই কোন অগ্রগতি গঠন করা হয়নি কোন ওয়ার্ড, ইউনিয়ন অথবা উপজেলা আওয়ামী লীগের পূর্নাঙ্গ কমিটি। সভাপতি থাকে মন্ত্রীর পিছু পিছু সাধারণ সম্পাদক আসছেন নিজের মতো দলের জন্য নেই কোন অগ্রগতি করা হয়না কোন কর্মী মূল্যায়ন।

বিস্তারিত: ২০১৪ সালের ২৮ ডিসেম্বর যশোরের মনিরামপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয় অধ্যক্ষ কাজী মাহমুদুল হাসানকে সভাপতি এবং গোলাম মোস্তফাকে সাধারন সম্পাদক করে। কাউন্সিলের প্রায় এক বছর যেতনা যেতেই ২০১৫ সালের ৬ ডিসেম্বর মৃত্যু হয় সাধারন সম্পাদক গোলাম মোস্তফার। প্রয়াত গোলাম মোস্তফার ছেলে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা প্রভাষক ফারুক হোসেনকে সাধারন সম্পাদক, সাবেক উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক আমজাদ হোসেন লাভলুকে সিনিয়র সহসভাপতি এবং অপর সাবেক যুগ্ম সম্পাদক আবুল কালাম আজাদকে এক নম্বর সদস্য করে দলের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারনী ফোরাম থেকে ২০১৮ সালের ১০ মার্চ ঢাকা থেকে উপজেলা কমিটি পুনর্গঠন করা হয়। সেই থেকে অধ্যাবধি উপজেলা আওয়ামী লীগের কমিটিতে রয়েছেন মাত্র ওই চারজন।

গঠন করা হয়নি কোন ওয়ার্ড, ইউনিয়ন অথবা উপজেলা আওয়ামী লীগের পূর্নাঙ্গ কমিটি। এমনকি চার সদস্যের এ কমিটির অনৈক্য ও সমন্বয়হীনতাকে কেন্দ্র করে দলের ভেতর প্রকট আকার ধারন করেছে লবিং-গ্রুপিং। এমনকি কমিটি গঠনের পর থেকে বিভেদ বেড়ে যাওয়ায় এ চার নেতাকে একসাথে কোথাও বসতেও দেখা যায়না। দলিয় কার্যালয় থাকলেও কমিটির এ চার নেতার মধ্যে অধিকাংশরা ব্যক্তিগত অফিসে অনুসারীদের নিয়ে কার্যক্রম চালাচ্ছেন।ফলে দলটির কার্যক্রমে নেমে এসেছে চরম স্থবিরতা। আওয়ামী লীগের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীদের সাথে আলাপ করে পাওয়া গেছে এসব চালচিত্র। দলিয় সূত্রে জানাযায়, ২০১৫ সালের ৬ ডিসেম্বর মৃত্যু হয় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক গোলাম মোস্তফার। ফলে সাধারন সম্পাদক পদটি ভাগ্যে জুটাতে শুরু হয় ব্যাপক লবিং গ্রুপিং।

এক পর্যায়ে প্রয়াত গোলাম মোস্তফার ছেলে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা প্রভাষক ফারুক হোসেনকে সাধারন সম্পাদক, সাবেক উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক আমজাদ হোসেন লাভলুকে সিনিয়র সহসভাপতি এবং অপর সাবেক যুগ্ম সম্পাদক আবুল কালাম আজাদকে এক নম্বর সদস্য করে দলের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারনী ফোরাম থেকে ২০১৮ সালের ১০ মার্চ ঢাকা থেকে উপজেলা কমিটি পুনর্গঠন করা হয়। সেই থেকে অধ্যাবধি উপজেলা আওয়ামী লীগের কমিটিতে রয়েছেন ওই চারজন। কিন্তু অভিযোগ রয়েছে চার সদস্যের এ কমিটির মতানৈক্য ও সমন্বয়হীনতাকে কেন্দ্র করে দলের ভেতর প্রকট আকার ধারন করেছে লবিং-গ্রুপিং। বিশেষ করে গতবছর ১৫ আগষ্ট শোক দিবস পালন করাকে কেন্দ্র করে লবিং-গ্রুপিং প্রকাশ্যে আসে। এরই ফলশ্রুতিতে দলিয় কার্যালয় থাকলেও সিনিয়র সহসভাপতি সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেন লাভলু গরুহাটের পাশে একটি ব্যক্তিগত অফিস নিয়ে তার অনুসারীদের নিয়ে কার্যক্রম করে থাকেন। সাধারন সম্পাদক প্রভাষক ফারুক হোসেন দলের পুরাতন কার্যালয়ে আওয়ামী মটরশ্রমিক লীগের ব্যানারে নিজস্ব কর্মী সমর্থকদের নিয়ে অনুরূপ কার্যক্রম পরিচালনা করেন। অবশ্য সভাপতি পৌর মেয়র কাজী মাহমুদুল হাসান মাঝেমধ্যে দলিয় কার্যালয় ব্যবহার করে থাকেন উপজেলা যুবলীগ ও প্রতিমন্ত্রী সমার্থতিত অনুসারীদের নিয়ে । অপর সদস্য আবুল কালাম আজাদ নিজ দোকানেই কার্যক্রম পরিচালনা করেন। ফলে তৃনমুল পর্যায়ে নেতাকর্মীদের মধ্যে আরো দুরুত্বের সৃষ্টি হয়েছে।

এ ব্যাপারে কথা হয় মনিরামপুর সদর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি আবুল হোসেনের সাথে। তিনি অত্যন্ত ক্ষোভের সাথে বলেন, চার সদস্যের উপজেলা কমিটির লবিং গ্রুপিংয়ের কারনে দলে অনেক বিভেদ সৃষ্টি হয়েছে। উপজেলা আ’লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারন সম্পাদক গাউসুল মোস্তাক বলেন,উপজেলা কমিটির ব্যর্থতার কারনে সাংগঠনিকভাবে দলের ভেতর স্থবিরতার সৃষ্টি হয়েছে। সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক হাশেম আলী বলেন, উপজেলা কমিটির ব্যর্থতা, অযোগ্যতা, মতানৈক্য ও সমন্বয়হীনতার কারনে তৃনমুলে নেতাকর্মীদের মধ্যে অনেক বিভেদ সৃষ্টি হয়েছে। বর্তমান কমিটির সিনিয়র সহসভাপতি সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেন লাভলু এবং সিনিয়র সদস্য আবুল কালাম আজাদ উপজেলা কমিটির বর্তমান সাংগঠনিক কোন কার্যক্রম নেই উল্লেখ করে বলেন, দলের ওয়ার্ড এবং ইউনিয়ন সম্মেলনের জন্য সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক কোন পদক্ষেন গ্রহন করেননি।

তবে সাধারন সম্পাদক প্রভাষক ফারুক হোসেন বলেন, ইতিপূর্বে রোহিতা ও মনোহরপুর ইউনিয়নে কয়েকটি ওয়ার্ড কমিটি গঠন করা হয়েছে। কিন্তু করোনার প্রাদূর্ভাবে নতুন করে আর কমিটি গঠন করা সম্ভব হয়নি। সভাপতি পৌর মেয়র অধ্যক্ষ কাজী মাহমুদুল হাসান বলেন, ইতিপূর্বে সর্বসম্মতিক্রমে উপজেলা আওয়ামী লীগের পূর্নাঙ্গ কমিটির তালিকা করে অনুমোদনের জন্য জেলা কমিটির কাছে জমা দেওয়া হলেও অধ্যাবধি তা অনুমোদন করা হয়নি। যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা শহিদুল ইসলাম মিলন বলেন, অচিরেই পূর্নাঙ্গ কমিটি গঠনের ব্যাপারে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

তথ্য সূত্রে- Qicknews




আপনার মূল্যবান মতামত দিন: