বিএনপি আন্দোলন এবং নির্বাচন দুটোতেই পরাজিত হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ৭ সেপ্টেম্বর ২০২০ ২৩:৫৮

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ৭ সেপ্টেম্বর ২০২০ ২৩:৫৮

ছবি সমসাময়িক
দেশে যে কোন নির্বাচন এলেই বিএনপি তার স্বরে চিৎকার শুরু করে, তারা নির্বাচনে হারার আগেই হেরে যায়— বললেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের পাশে মুন্সিগঞ্জ সড়ক বিভাগের অধীন নবনির্মিত পরিদর্শন বাংলো ‘পদ্মা’র উদ্বোধন অনুষ্ঠানে সোমবার তিনি এ কথা বলেন। ওবায়দুল কাদের তার সরকারি বাসভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অনুষ্ঠানে যুক্ত হন। আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, “নির্বাচনে হারার আগেই বিএনপি হেরে যায়। দেশে নির্বাচন না হলে বগুড়া থেকে মির্জা ফখরুল সাহেব কীভাবে জয় পেয়েছিলেন? বিএনপি জিতলে সব ঠিক আর না জিতলে সব বেঠিক, এ মনস্তাত্ত্বিক বিভ্রান্তি ও দ্বন্দ্ব থেকে বিএনপি’কে বেরিয়ে আসতে হবে।” সরকার জনসমর্থন ছাড়া টিকে আছে— বিএনপি’র মহাসচিবের এমন অভিযোগের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, “সাম্প্রতিক নির্বাচনগুলোর দিকে তাকালে পরিষ্কারভাবে দেখা যায়, অধিকাংশ ক্ষেত্রে বিএনপি’কে জনগণ প্রত্যাখ্যান করেছে। বিএনপি আন্দোলন এবং নির্বাচন দুটোতেই পরাজিত হয়েছে এবং জনগণ তাদের প্রত্যাখ্যান করেছে।” তিনি বলেন, “জনসমর্থন আছে কি নেই তার মানদণ্ড কী? সে অভিন্ন মাপকাঠিতে বিএনপি কী জনসমর্থন মেপে দেখেছেন? নির্বাচন যদি মানদণ্ড হয় সে ক্ষেত্রে সাম্প্রতিক নির্বাচনগুলোর দিকে তাকালে বিএনপির অবস্থান স্পষ্ট।” সেতুমন্ত্রীর মতে, আন্দোলন ও নির্বাচনে ব্যর্থ হয়ে জনগণ যাদের বারবার প্রত্যাখ্যান করে তাদের মুখে এমন কথা শোভা পায় না। ওবায়দুল কাদের বলেন, “জাতীয় সংসদের আসন্ন ৫টি আসনে উপনির্বাচনে ১টি আসনের মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে, অন্য আসনগুলোতে তফসিল ঘোষণার পর প্রার্থী বাছাই বা চূড়ান্ত করতে দলীয় সভাপতির ওপর মনোনয়ন বোর্ড সর্বসম্মতিক্রমে দায়িত্ব অর্পণ করেছে।” রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় বিভিন্ন সিটি করপোরেশন এবং পৌরসভায় মশক নিধন ও পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা অভিযান জোরদারের আহ্বান জানান তিনি। ভিডিও কনফারেন্সে অন্যান্যর মাঝে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব মো. নজরুল ইসলাম, সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মো. শাহরিয়ার হোসেন, ঢাকা সড়ক জোনের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী সবুজ উদ্দীন খানসহ সওজ সদর দপ্তর, ঢাকা সড়ক জোন এবং মুন্সিগঞ্জ সড়ক বিভাগের কর্মকর্তাগণ সংযুক্ত ছিলেন। উল্লেখ্য, ঢাকা-মাওয়া মহাসড়কের পাশে সদ্যনির্মিত বাংলো পদ্মা’র নির্মাণ ব্যয় প্রায় সাত কোটি সাত লাখ টাকা। পদ্মা সেতু প্রকল্পের ক্ষতিপূরণের অর্থে নির্মিত হয়েছে এ পরিদর্শন বাংলো।


আপনার মূল্যবান মতামত দিন: